দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- আদি পর্ব (The Legacy of Ram- Prologue): অধ্যায়৪ ( PART4 ) - A Bengali science fiction, mystery, suspense thriller and post-apocalyptic fiction novel series by Aritra Das, the Bengali writer The Legacy of Ram: Prologue (আদি পর্ব) Part4 [দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- আদি পর্ব (প্রলগ) গল্পটির প্রথম তিনটি পর্ব প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে, পেজে গল্পের শেষে অন্যান্য লিঙ্কগুলি পাওয়া যাবে। অবশ্যই পড়বেন] দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম: আদি পর্ব- অধ্যায়৪ অধ্যায়৩ থেকে শেষের কিছুটা অংশ- -“অভিযুক্ত… দ্যূহ… অভিযুক্ত… দ্যূহ… দ্যূহ…” একটি কথাই পর্যায়ক্রমে উচ্চারণ করে চলেছে ‘মদন’! অস্পষ্টভাবে ‘ব্যূহ’ কথাটি মহর্ষির কানে শোনাল ‘দ্যূহ’। কিন্তু সেদিকে তখন মন নেই তাঁর, তিনি শুধু বিস্মিত এই ভেবে যে এই আদিম মানব দম্পতি তা হলে কথা বলতেও সক্ষম! তিনি আবিষ্ট হয়ে তাকিয়েই থাকলেন তাদের দিকে। -“বিচারকরা সকলেই আপনার জন্য অপেক্ষমান, মহর্ষি! চলুন, আর বেশি দেরি করা উচিৎ হবে না। আমি উপযাচক হয়ে এগিয়ে এসেছিলাম আপনাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আসুন।” -“আমাকে পথ দেখান, ভগবান!” মাথা নীচু করে ভগবান শ্রীবি
এই পর্বের সূত্রপাত মূলতঃ রাবণের স্মৃতিচারণা দিয়ে; তাঁর পূর্বপুরুষদের সময় থেকে তাঁর সিংহাসনলাভের সময়কাল পর্যন্ত রাক্ষসদের প্রযুক্তিগত উথ্থান, রাজধানীর স্থান নির্বাচন ও স্থাপনা, রাজধানী অন্যত্র সরানোর পিছনে কারণ- স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে জানা যাবে রাক্ষসদের কিছু ইতিহাস যা পরবর্ত্তী ক্ষেত্রে গল্পটি বুঝতে আমাদের সহায়তা করবে। দেখতে থাকুন নতুন এই পর্বটি, এবং অবশ্যই মতামতের মাধ্যমে জানান আপনাদের কেমন লাগছে। ধন্যবাদ।
কাহিনি সূত্র:
দক্ষিণ, পশ্চিম ও পূর্ব- তিনদিকে সমুদ্রের বেষ্টন ও উত্তরদিকে অতন্দ্র প্রহরায় থাকা হিমালয় পর্বতমালার মাঝামাঝি বিস্তৃত এই ভূভাগ; হিমালয় পর্বতমালা অতিক্রম করে অপরদিকে শুরু হয়েছে প্রায় অখণ্ড এক মহাদেশ যার শেষ হয়েছে উত্তরে, আরও উত্তরে, যেখানে এসে শেষ হচ্ছে পৃথিবীর সীমানা। অনেক দিন আগের কথা, বিশ্ব চরাচরে যখন কেউ ছিল না তখন এই প্রত্যেকটি মহাদেশ সংযুক্ত ছিল স্থলপথেই; কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মহাদেশগুলি বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে এবং আস্তে আস্তে তারা পরষ্পরের থেকে দূরে সরে যায়। বর্তমানে মহাদেশগুলি উত্তর গোলার্ধের কাছে এবং ভূমধ্যরেখা সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে মোটামুটি সংযুক্ত থাকলেও দক্ষিণ গোলার্ধে এসে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছে; বিচ্ছিন্নকরণের প্রভাব দক্ষিণ গোলার্ধে মাত্রাতিরিক্ত বেশি। এর একটা বড় কারণ, সমুদ্রের বহুদূরব্যাপী বিস্তার। তবে মোটের ওপর তর্কের খাতিরে এখনও বলা যেতেই পারে, গোটা পৃথিবীর জমি একটা কেন্দ্রীয় জায়গায় অবস্থিত সমষ্টিগতভাবে।
স্পষ্টঃতই এই বিরাট ভূমিকে প্রতিরক্ষা দানের উদ্দেশ্যে নজরদারি কেন্দ্র স্থাপনা করা হয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে, কিন্তু মূল রাজধানী স্থাপন করা হয়েছে পৃথিবীর সমগ্র ভূমিপূঞ্জের একেবারে শেষপ্রান্তে; ঠিক যেখান থেকে শুরু হচ্ছে অতল বারিধির আধিপত্য। মূল ভূমিপুঞ্জের যৎসামান্য দূরে ‘রৌরব’রাজ্যে স্থাপনা করা হয়েছে রাক্ষসদের রাজধানী।
প্রতিরক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে রাজা রাবণের রাজধানীর এ হেন স্থান নির্বাচন এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। পূর্বতন রাজাদের রাজধানী ছিল ভূমিপুঞ্জের একেবারে মধ্যভাগে, ‘মহেন্দ্র’ পর্বতের নীচে। পর্বতের সুরক্ষার মধ্যে থেকে তারা দেশ শাসন করতেন। পৃথিবী বিজয় তাঁদের কৃতিত্ব নয় বটে, কিন্তু এই জয়ের পিছনে তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। প্রযুক্তি ধীরে ধীরে আয়ত্ব করবার পিছনে তাঁদের অনলস পরিশ্রম পরিকল্পনা আজকের উন্নতির পিছনে বড় কারণ। কিন্তু তাও, রাজধানী ভূমিপুঞ্জের একেবারে মধ্যভাগে থাকায় অনেকগুলি সমস্যা তৈরি হয়েছিল।
Follow us on: https://www.facebook.com/mystictuneoftales
Background music source: YOUTUBE AUDIO LIBRARY.
Story, voice-over, Concept and Editing: ARITRA DAS
Graphics: BISWANATH DEY
Our books: https://play.google.com/store/books/author?id=Aritra+Das
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমাদের ব্লগগুলি আপনাদের কেমন লাগছে? অবশ্যই জানান আমাদের-