সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

The Legacy of Ram: Prologue- Part4 (দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম: আদি পর্ব- অধ্যায়৪)- A mystery, post-apocalyptic fiction Bengali Novel series by Aritra Das

দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- আদি পর্ব (The Legacy of Ram- Prologue):  অধ্যায়৪  ( PART4 ) - A Bengali science fiction, mystery, suspense thriller and post-apocalyptic fiction novel series by Aritra Das, the Bengali writer   The Legacy of Ram: Prologue (আদি পর্ব) Part4 [দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- আদি পর্ব (প্রলগ) গল্পটির প্রথম তিনটি পর্ব প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে, পেজে গল্পের শেষে অন্যান্য লিঙ্কগুলি পাওয়া যাবে। অবশ্যই পড়বেন] দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম: আদি পর্ব- অধ্যায়৪ অধ্যায়৩ থেকে শেষের কিছুটা অংশ- -“অভিযুক্ত… দ্যূহ… অভিযুক্ত… দ্যূহ… দ্যূহ…” একটি কথাই পর্যায়ক্রমে উচ্চারণ করে চলেছে ‘মদন’! অস্পষ্টভাবে ‘ব্যূহ’ কথাটি মহর্ষির কানে শোনাল ‘দ্যূহ’। কিন্তু সেদিকে তখন মন নেই তাঁর, তিনি শুধু বিস্মিত এই ভেবে যে এই আদিম মানব দম্পতি তা হলে কথা বলতেও সক্ষম! তিনি আবিষ্ট হয়ে তাকিয়েই থাকলেন তাদের দিকে। -“বিচারকরা সকলেই আপনার জন্য অপেক্ষমান, মহর্ষি! চলুন, আর বেশি দেরি করা উচিৎ হবে না। আমি উপযাচক হয়ে এগিয়ে এসেছিলাম আপনাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আসুন।” -“আমাকে পথ দেখান, ভগবান!”   মাথা নীচু করে ভগবান শ্রীবি

বহুযুগের ওপার হতে- পর্ব ১১ | Bangla audio story Historical |Aritra Das|S...

বহুযুগের ওপার হতে- পর্ব ১১ | Bangla audio story Historical |Aritra Das|Science Fiction novel



Bahujuger opaar hote is a Bengali science fiction, suspense-thriller audio story. This is a Bangla fiction novel, the story tells about an ancient time travelling design of the Gods which needs to be activated in our time...and the way it was activated! A must-see web series which breaks the story-line in many time frames.
#MysticTuneofTales #ScienceFictionBanglaGolpo #paranormalBengali #BengaliAudioStory

Background music source: YOUTUBE LIBRARY

বহুযুগের ওপার হতে- পর্ব ১০ Video here: https://youtu.be/RvSUdVUGDxc

VISIT US AGAIN

তিন বোন-এর খোঁজে এবার লাদাখ অঞ্চলে অগস্ত্যদের যাত্রা, স্থানীয় আর্মি অফিসারদের সহযোগিতায় তাদের এই ভ্রমণ। কিন্তু কেন 'কলস' জাতির বর্তমান বাসস্থান ছেড়ে এরকম উল্টো দিকে অগস্ত্যদের সরে যাওয়া? 'তিন বোন' প্রকৃতপক্ষে কারা? দেখতে থাকুন এই পর্বটি। মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন, কেমন লাগছে গল্পটি।

Watch the video till the end. SUBSCRIBE. If you liked the video then do COMMENT, LIKE, SHARE. Thanks.

আজকের পাঠ করা অংশ: 

[লেহ জেলা, লাদাখ, চুচোট-আইয়োকমা গ্রাম থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে - ২৮শে জুন ২০১৬]

 

-“গতকাল এখানে পা রেখে আগেই সব দরকারি ও সরকারি বিধিগুলি এগিয়ে রেখেছিলাম, এইজন্যই তো আজকে সব এত তাড়াতাড়ি হয়ে গেল। এখন গন্তব্যে পৌঁছতে বেশি সময় লাগবে না।”

 

গাড়ির ঝাঁকুনিতে পথ চলতে চলতে বললেন অগস্ত্য, সামনের সিটে বসা লুইসি ও জোয়ানাকে উদ্দেশ করে। দুজনেই স্মিত হাস্যে ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানালেন সে কথায়।

 

-“আমরা এখন তাহলে কোথায় যাচ্ছি অগুস্টা?”- উৎসুক হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন লুইসি।

 

-“আপনাদের কথাবার্তায় বেশ কয়েকবার ‘কলস’ জনজাতির বসতির কাছে ‘তিন বোন’-এর উপস্থিতির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে; এখান থেকেই মোটামুটি আঁচ করতে পেরেছি ব্যাপারটা। ভার্গবকাকা যেহেতু ‘কলস’দের আদি বসতিটি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন, তাই এখন আমাদের খুঁজে বের করতে হবে ঐ অঞ্চলের নিকটবর্ত্তী পাশাপাশি তিনটি জলপ্রপাত-”

 

-“জলপ্রপাত?” – বিষ্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন জোয়ানা। ইনি একজন নির্বাক শ্রোতা, বেশিরভাগ সময়তেই চুপচাপ থাকতে পছন্দ করেন; এখন তিনি ছুঁড়ে দিলেন প্রশ্নটি।

 

-“এখানকার স্থানীয় মানুষজন জলপ্রপাতগুলিকে ‘রমণী’ হিসেবে দেখেন, আর এই ধারণা বহুযুগ ধরে বংশ-পরম্পরায় চলে আসছে। হয়তো প্রাচীনকালেও এই ধারণাটি ছিল। গতকাল আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম এই অঞ্চলে কোথাও পাশাপাশি তিনটি জলপ্রপাত আছে কি না; এখানকার আর্মির লোকজন অঞ্চলটিকে হাতের তালুর মত চেনেন। একজন প্রবীণ জওয়ান আমায় বললেন যে ‘চুচোট আইয়োকমা’ গ্রামটির পঞ্চাশ কিলোমিটার দায়রার মধ্যে পাশাপাশি এরকম তিনটি জলপ্রপাত পড়ে; উনি একটি ম্যাপও এঁকে দিয়েছেন আমায়। এই দেখুন, এই জায়গাটির নাম ‘রাবসাং’, এখানেই পাশাপাশি তিনটি জলপ্রপাত আছে কয়েক কিলোমিটারের দূরত্বে। আমরা এখন এখানেই যাচ্ছি।”

 

-“ও! তা যেতে কতক্ষণ লাগতে পারে অগুস্টা?”- জিজ্ঞেস করলেন লুইসি।

 

-“কোন ঠিক নেই! পাহাড়ি পথে ঘড়ি ধরে কোনকিছু বলা সম্ভব নয়। একঘন্টাতেও চলে যেতে পারি, তিন ঘন্টাও লাগতে পারে, আবার ওর অনেক আগে আমাদের ফেরতও চলে আসতে হতে পারে! সবকিছুই নির্ভর করছে রাস্তার ওপর। তবে এখন তো সদ্য বর্ষাকালের শুরু, রাস্তাঘাট এখনও খুব খারাপ থাকবার কথা নয়। দেখা যাক!”

 

লুইসির দিকে একটু সমীহের চোখে তাকালেন অগস্ত্য। ফরাসি এই মহিলাটিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখেন তিনি। প্রথমদিন ভার্গবকাকা যখন তাকে ডেকে এই দুই মহিলার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং তাদের আসার উদ্দেশ্য ব্যক্ত করেন, একটু অবাকই হয়ে যান অগস্ত্য। সম্পূর্ণ অজানা একটি দেশে অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় দুটি অল্পবয়ষ্কা তরুণী? তারপর সময় যত এগিয়েছে, বিষ্ময়ের পারদ চড়েছে ততখানিই। নিছক গালভরা ‘উইমেন্স লিবার্টি’র কথা বলে আত্মপ্রসাদ অনুভব করা ‘গলুই-আহ্লাদি’ আধুনিকা নন, এই মহিলারা সত্যিই দুঃসাহসের জীবন্ত প্রতীক!

 

ভার্গবকাকা অবশ্য আরও একটি কথা বলেছেন তাদের আড়ালে ডেকে- তার জীবনের যে বৃহত্তর প্রশ্নের মুখে তিনি দৌড়ে বেরিয়েছেন আজীবন, তার উত্তর এই দুইজনের কাছে থাকতে পারে; রহস্যটা অবশ্য এর থেকে বেশি ভেঙে বলেন নি তিনি। কি বোঝাতে চেয়েছেন ভার্গবকাকা সেদিন?

 

অগস্ত্যকে একভাবে তাদের দিকে চেয়ে থাকতে দেখে জোয়ানা হেসে লুইসির কানে কানে কিসব বললেন, তাতে লুইসিও প্রথমে হেসে উঠলেন একচোট, তারপর হাসতে হাসতেই বললেন-

 

-“কি ব্যাপার অগুস্টা, আপনি কি কিছু হারিয়ে ফেলেছেন আমাদের কাছে?”

 

প্রশ্নটির মর্মার্থ বুঝে একটু লজ্জা পেয়ে গেলেন অগস্ত্য; পাশের সীটে বসা আর্মি অফিসারের দিকে তাকিয়ে দেখলেন, তিনিও তখন হাসি চাপতে ব্যস্ত একদিকে মুখ ফিরিয়ে! প্রাথমিক জড়তা কাটিয়ে উঠে অবশেষে তিনি বললেন-

 

-“পাহাড় আর জঙ্গলের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে আপনাদের মত অল্পবয়সী মেয়েরা যে অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে আসবেন তা আমি ঠিক- আচ্ছা, আপনাদের মোটিভেশনটা ঠিক কি ছিল?”

 

এ কথার উত্তরে একটু থমকালেন লুইসি, তারপর রুকস্যাকের সাইডপকেট থেকে প্রথমে বের করে আনলেন একটি ফটো ও নোটবুক। সে দুটি তিনি তুলে দিলেন অগস্ত্যর হাতে। দেখেই বোঝা গেল জিনিষগুলি বেশ পুরোন। এবার ফটোটির ওপর আঙুল রেখে তিনি বললেন-

 

-“আমার বাবা ফিলিপ এডুইন গিবস। ইনি জাতিগতভাবে ফরাসি, পড়াশোনা ও চাকরি মার্কিন মুলুকে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় ইনি সেনাবাহিনিতে নাম লেখান; অসীম সাহসিকতা ও অসামান্য বীরত্বের কারণে শেষে সার্জেন্ট পোস্টে প্রমোটেড হন। যুদ্ধের একেবারে শেষের দিকে ডান্যাং শহরের উপকন্ঠে একটি আশ্চর্য ঘটনার সম্মুখীন হন তিনি-”

 

সার্জেন্ট গিবসের সঙ্গে ‘রেডস্টার’ খুয়ানের সাক্ষাৎকার পর্বটি এরপর তিনি মেলে ধরেন অগস্ত্যর সামনে, মন দিয়ে পুরোটা শোনেন তিনি। পুরোটা ব্যক্ত করে এরপর তিনি দ্বিতীয়বার হাত ঢোকান রুকস্যাকের সাইডপকেটে, আর এবার যে জিনিষটি বের করে আনেন তিনি, তা দেখে হতচকিত হয়ে যান অগস্ত্য। এ কি?

 

লুইসি তার দিকে বাড়িয়ে ধরেছেন সেই ‘চোখ’, যা বহুকাল আগে তিনি দেখেছেন বাবার কাছে! তফাৎ শুধু এখানেই যে বাবার কাছে যেটি দেখেছিলেন, সেটি মানুষের ডান চোখের আদলে তৈরি, আর এটি বাঁ চোখের আদলে! এই প্রভেদটুকুনি ছাড়া অন্য কোন প্রভেদ নেই দুটি ক্ষেত্রেই; একই কারুকার্য, একই আকার ও প্রকৃতি- সবই এক প্রকারের!

 

হাঁ করে ‘চোখ’টির দিকে তাকিয়ে রইলেন অগস্ত্য, উত্তেজনায় বুক কেঁপে উঠছে তার। এত বছর পর সেই অভিশপ্ত চোখের জোড়াটি ফেরৎ এল তার কাছে, তাহলে কি এবার বাবাকে খুঁজে-

 

-“যুদ্ধের বীভৎসতা বাবার মনটাকে পুরোমাত্রায় বিষিয়ে দিয়েছিল…”- বলতে থাকেন লুইসি -“যুদ্ধের উপান্তে আর আমেরিকায় ফেরৎ যান নি তিনি, সোজা চলে আসেন ফ্রান্সে। ইতিহাসের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতার কারণে চাকরি পেতে অসুবিধে হয় নি তার, আজীবন ফ্রান্সেই কাটান তিনি। তবে যে দরজা খোলে এই চাবি দিয়ে তার অনেক খোঁজ করেছিলেন তিনি। পাকিস্তানেও গিয়েছিলেন; অনুমতিও যোগাড় করেছিলেন তিনি ওখানে ঘোরাঘুরির। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে প্রথমে সোভিয়েত-তালিবান যুদ্ধ ও পরে তালিবান শাসনের উথ্থানের কারণে পাকিস্তান সরকার সেই অনুমোদন প্রত্যাহার করে নেন। নোটবুকের লেখাগুলি ওনার নিজের-”

 

নোটবুকটা খুলে সেটি খুব মন দিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন অগস্ত্য; দেখা শেষ হলে তিনি সেটি ফেরৎ দেন লুইসিকে, তারপর বলেন-

 

-“‘কলস’দের স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টি বোধহয় তিনি জানতেন না, নাহলে আমার বিশ্বাস উনি জায়গাটি নিশ্চই ধরে ফেলতেন। তবে ‘তিন বোন’এর ব্যাপারটা যে প্রকৃতপক্ষে জলপ্রপাত তা তিনি নিশ্চিতভাবে বুঝেছিলেন- ওঁনার নোটবুকে লেখা আছে ব্যাপারটা। আচ্ছা, ‘কলস’দের বর্তমান বসতি অঞ্চল থেকে উনি আর কিছু জানতে পারলেন কি?”

 

-“ওদের একটি অদ্ভুত ধর্মীয় আচরণের বিষয়ে উনি বলতেন আমায়…‘কলস’ জনজাতির লোকজন প্রতিবছর শীতের গোড়ায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে- কোন এক আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠানের চল ওদের মধ্যে-”

 

-“কিরকম?”

 

-“এমনিতেই ওদের আচার আচরণ বিবিধ, বারোমাসে তেরো পার্বণ না হলেও সংখ্যাটা দশের নীচে কিছুতেই হবে না তা নিশ্চিত; তার মধ্যে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি একেবারে স্বতন্ত্র্য! ওদের বিশ্বাস- বহুকাল আগে কোন এক বিদেশি আগন্তুক এসে ছিলেন ওদের এলাকায়, দেবতাদের মন্দিরে স্বর্গে যাওয়ার দরজা খুলে দিতে। স্বর্গের দরজা খোলবার দুটি চাবির মধ্যে একটি চাবি ওঁনার কাছে ছিল, কিন্তু সেই চাবি হারিয়ে ফেলায় দেবতা ওঁনার প্রতি রুষ্ট হন এবং এবং চিরকালের জন্য তাঁর আত্মাকে বন্দী করে রাখেন নিজ মন্দিরের বলয়ে! প্রতিবছর ‘কলস’দের তিনটি গ্রামের লোকেরা সমবেত হন, একইসাথে উত্তর-পূর্বদিকে মুখ করে সকলেই মঙ্গলোচ্চারণ করে, স্তুতিগান গায়। এই রেওয়াজ নাকি বহু প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে ওদের মধ্যে।”

 

-“দুটি চাবি…হুঁ…এই চাবির ব্যাপারটি কি?”

 

-“আমার বাবা প্রয়াত হন এ বছর ১১ই জানুয়ারি। আমৃত্যু তিনি বিশ্বাস করে এসেছেন এই ‘চোখ’এর মত বস্তুটি একটি চাবি। প্রয়াত খুয়ামও এই কথা বলেছিলেন তাঁকে। এটি যদি একটি চাবি হয়, এবং এটি যদি মানুষের বাঁ চোখ হিসেবে ধরা হয়, তবে-”

 

-“তবে মানুষের ডান চোখের মতও একটি চাবি থাকা উচিৎ, তাই না?”

 

-“বিষয়টি তো তাই দাঁড়ায়, যদিও বাবা কখনোই খুঁজে পান নি সেই ডান ‘চোখ’। সেটি আদৌ আছে কি না-”

 

এ কথায় একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল অগস্ত্যর বুক থেকে; তারপর একটু নীরব থেকে তিনি বললেন-

 

-“আছে! ওটি-”

 

অগস্ত্য মুখ খুলেছিলেন তার জীবনের ভয়াবহতম অভিজ্ঞতা লুইসির সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য; এমন সময় ড্রাইভারের পাশের সীট থেকে গার্ডবাহাদুর হেঁকে উঠলেন-

 

-“সাব! রাবসাং উওয়টার ফলস্ আ গৈলা!!”

 

একটু পরেই গাড়িটা থেমে যেতেই সকলে জিপ থেকে নেমে এগিয়ে গেলেন জলপ্রপাতের দিকে।


Story, voice-over, Concept and Editing: Aritra Das
Graphics: Shri Biswanath Dey

Our books: https://play.google.com/store/books/author?id=Aritra+Das
Our twitter account: https://twitter.com/aritradas1982

This is a pure imaginative, science fiction, original story-line based upon imagination. Any similarity with reality is a definite coincidence.


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

The Legacy of Ram: Prologue- Part4 (দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম: আদি পর্ব- অধ্যায়৪)- A mystery, post-apocalyptic fiction Bengali Novel series by Aritra Das

দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- আদি পর্ব (The Legacy of Ram- Prologue):  অধ্যায়৪  ( PART4 ) - A Bengali science fiction, mystery, suspense thriller and post-apocalyptic fiction novel series by Aritra Das, the Bengali writer   The Legacy of Ram: Prologue (আদি পর্ব) Part4 [দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- আদি পর্ব (প্রলগ) গল্পটির প্রথম তিনটি পর্ব প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে, পেজে গল্পের শেষে অন্যান্য লিঙ্কগুলি পাওয়া যাবে। অবশ্যই পড়বেন] দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম: আদি পর্ব- অধ্যায়৪ অধ্যায়৩ থেকে শেষের কিছুটা অংশ- -“অভিযুক্ত… দ্যূহ… অভিযুক্ত… দ্যূহ… দ্যূহ…” একটি কথাই পর্যায়ক্রমে উচ্চারণ করে চলেছে ‘মদন’! অস্পষ্টভাবে ‘ব্যূহ’ কথাটি মহর্ষির কানে শোনাল ‘দ্যূহ’। কিন্তু সেদিকে তখন মন নেই তাঁর, তিনি শুধু বিস্মিত এই ভেবে যে এই আদিম মানব দম্পতি তা হলে কথা বলতেও সক্ষম! তিনি আবিষ্ট হয়ে তাকিয়েই থাকলেন তাদের দিকে। -“বিচারকরা সকলেই আপনার জন্য অপেক্ষমান, মহর্ষি! চলুন, আর বেশি দেরি করা উচিৎ হবে না। আমি উপযাচক হয়ে এগিয়ে এসেছিলাম আপনাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আসুন।” -“আমাকে পথ দেখান, ভগবান!”   মাথা নীচু করে ভগবান শ্রীবি

What is the story-plot of the series? A Summery from the Writer's End of the Series of The Legacy of Ram- A Bengali science fiction action-adventure and Suspense novel by Aritra Das, the Author

দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- নিঃসঙ্গ যাত্রার সূচনা - গল্পের প্লট ও এই প্রসঙ্গে কিছু কথা আপনাদের সাথে - © অরিত্র দাস Discussing the plot of The Legacy of Ram by Aritra Das এর আগের ব্লগটিতে আলোচনা করা হয়েছিল মূলতঃ ‘লেগ্যাসি’ সমগ্রটির চরিত্রগুলির নামকরণ নিয়ে বিশদে। এই ব্লগে আমি গল্পটির প্লট নিয়ে দু-চার কথা আলোচনা করব; তবে আলোচনা যত দীর্ঘই হোক না কেন, যা বলব তার থেকে বাকি থেকে যাবে অনেক বেশি! এতটা দীর্ঘ, জটিল, বিভিন্ন তত্ত্ব ও প্রাচীন সভ্যতাগুলিকে ছুঁয়ে যাওয়া ঘটনাবহুল উপন্যাস এই ‘লেগ্যাসি’ পর্বটি যে একে একটি সীমিত ক্ষেত্রে বেঁধে রাখা খুবই কষ্টসাধ্য কাজ!   এই প্রসঙ্গে প্রথমেই যে কথাটি স্বীকার করে নেওয়া ভাল তা হল- আমি মহাকাব্যের একটি অন্ধ অনুকরণ গড়ে তুলতে চাই নি!   এই ছোট্ট কথাটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে অনেকগুলি কথা চলে আসে মনে, কিন্তু সেই সব কথার পুরোটা এই একটি ব্লগের মধ্যে লিখে ফেলা সম্ভব নয় (যেমনটা প্রথমেই উল্লেখ করেছি), তাই আমি যা লিখব, তা হবে আমার সেই চিন্তাধারার একটি নির্যাস মাত্র, পুরো বিষয়টি কিন্তু নয়।   আরও একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন, ‘লেজেণ্ড’ বা ‘লেগ্যাসি’- কোনটিই কিন্তু কোন

A Confession from the Writer's End Part2 on the Series of The Legacy of Ram- A Bengali science fiction action-adventure and Suspense novel by Aritra Das, the Author

দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- নিঃসঙ্গ যাত্রার সূচনা প্রসঙ্গে দু-চার কথা পর্ব২- বিবিধ চরিত্রগুলির নামকরণ - © অরিত্র দাস On the new novel 'The Legacy of Ram' এর আগের আলোচনায় মোটামুটি ‘লেগ্যাসি’ পর্বটির মূল ধারাটি আপনাদের কাছে তুলে ধরেছিলাম; এই পর্বে আমি আলোচনা করব এই সমগ্রটিতে ব্যবহার করা নামগুলি প্রসঙ্গে। প্রসঙ্গক্রমে আপনাদের জানাই- মূল গল্পটি প্রাথমিকভাবে ভেবে রাখা হয়েছিল আগেই, কিন্তু ‘সলতে পাকানোর পর্বে’ এসে যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় পড়েছিলাম- চরিত্রগুলির নাম, ও সঙ্গতি মিলিয়ে আনুষঙ্গিক কিছু স্থান বা অন্যান্য বিষয়ের নামকরণ। একটু খোলসা করলে বিষয়টি আশা করি পরিষ্কার হবে।   যেমনটি আমি আগেও বলেছি- ‘লেগ্যাসি’ সমগ্রটিতে গল্প কিন্তু এগিয়ে চলেছে পৃথক, সমান্তরাল দুটি খাতে। এই দুটি খাত কখনোই একটি বিন্দুতে এসে মিলিত হতে পারে না, কারণ- এদের সময়কাল ভিন্ন। একটি খাত গন্ধর্বদের নিয়ে, আধুনিক মানব বিকাশের অনেক আগের সময় সেটি; এমন একটি সময়কাল যখন গন্ধর্বরা প্রযুক্তিগতভাবে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি। কিন্তু- তাদের বিলাসিতা, জীবনের মূল্যবোধ সম্পর্কে পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গী এবং স্বজাতির প্রতি ভ্রান্ত নী