Bengali Fiction Story| The Legend of Ram: Episode2- Rise of a Species| Part1
Watch out the Bengali Historical fiction 'Bahujuger Opaar Hote' first part here!
Stories so far in this part:
-“ইক্ষকু বংশের অধিপতি মহারাজ মহাসেন, আপনি কি আপনার ওপর
ন্যস্ত দায়িত্ববোধ সম্পর্কে অবহিত?”
-“আজ্ঞে হ্যাঁ, ভগবন্।”
-“দেবতাদের দেওয়া এই উপহার আপনি এবং আপনার স্ত্রীরা কি মাথা পেতে মেনে নিতে প্রস্তুত?”
-“আমি এবং আমার স্ত্রীগণ, আমরা সকলেই ঘটনাক্রমের সঙ্গে একমত এবং আমরা প্রস্তুত।”
-“কোন দুইজন ভাগ্যবতীকে বেছে নিয়েছেন আপনি?”
-“আমার পাটরাণী পদ্মিনী এবং অনুজা স্ত্রী সুমিত্রাকে।”
-“উত্তম! এবার মন দিয়ে শুনুন। দেবতা ব্রহ্মাদেবের ঔরসধন্য
এই শ্বেত তরল দেবতাদের গবেষণাগারে বহু গবেষণার মাধ্যমে সৃষ্ট হয়েছে। এই তরল সেবনে উপযুক্ত
বংশধর পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই ব্রহ্ম ঔরসজাত তরল সেবনে জাতক হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক,
জাতিকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অপরাপর গন্ধর্বদের তুলনায় এই গন্ধর্বরা হবে উন্নত
ধীশক্তি ও শারীরিক শক্তির অধিকারী। আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যেন এই তরলের সকল অংশ আপনার
স্ত্রীদের গর্ভেই প্রোথিত হয়; কারণ ভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশ একমাত্র মাতৃগর্ভেই সম্ভব,
কোন গবেষণাগারে নয়, এতে ফল ভালো হয় না। মিষ্টান্ন বা মিষ্টজাতীয় কোন বস্তুর সঙ্গে মিশ্রিত
করে আপনার নির্বাচিত স্ত্রীদের খাওয়াবেন। আর হ্যাঁ, এদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে হবে।
কোন অবস্থাতেই বংশরক্ষার আগে যেন এদের মৃত্যু না ঘটে। এটা সুনিশ্চিত করবার দায় কিন্তু
আপনার ওপরেই বর্তাবে।”
-“কথা দিলাম দেবতা।”
-“রাক্ষস জাতিকে প্রতিহত করবার বীজ বুনে দিয়ে গেলাম আজ
। ভবিষ্যৎই বলবে আমরা কতটা সফল! এই কার্যে সপরিবারে আপনাদের সহযোগিতা দেবতারা কখনোই
ভুলবে না। আমার কার্য সমাপ্ত। এখন আমাদের অনুমতি দিন মহারাজ?”
-“আপনার যাত্রা শুভ হোক অগ্নিদেব। আর, নিঃসন্তান এই পরিবারের
বংশরক্ষার জন্য আপনাদের, দেবতাদের উদ্দেশ্যে আমার শতকোটি প্রণাম। ব্রহ্মাদেবকে আমার
নমস্কার জানাবেন।”
সন্মত হলেন অগ্নিদেব। অতঃপর কোমরের কাছে বর্তুলাকার অংশে
একটা চাপ দিতেই সেখানে একটা নীল আলো জ্বলে উঠল। কয়েক মুহূর্ত বাদে একটা আলোর পথ নেমে
এল অগ্নিদেবের ওপর। তার ভিতরে তাঁর স্থূল শরীর যেন সুক্ষ্ম থেকে সুক্ষ্মতর হয়ে গেল,
দৃশ্যমান থেকে অদৃশ্য হয়ে অগ্নিদেব যেন উঠে গেলেন সেই আলোর পথ বেয়ে, সকলের চোখের সামনে।
কিছুক্ষণ পর সেই আলোও নিভে গেল, আবার স্বাভাবিক হয়ে গেল ঘরের পরিস্থিতি।
-“এই শ্বেত তরল একবাটি পায়েসের মধ্যে ঢেলে নিয়ে আয় আমার
কাছে, আমিই স্বহস্তে তা বিতরণ করব রাণীদের মধ্যে।”
পরিচারককে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন মহারাজ মহাসেন।
ইক্ষকু রাজ্যের কেউই খেয়াল করল না সেদিন রাত্রে রাজপ্রাসাদের মাথার ওপর স্থির হয়ে আকাশে দাঁড়িয়ে ছিল যে ত্রিকোণ ঊড্ডীয়মান যানটি, তা আবার সচল হয়ে ঊর্দ্ধে উঠে মিলিয়ে গেল আকাশের অগুন্তি তারাদের মাঝে...
[চলবে...]
©অরিত্র দাস
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমাদের ব্লগগুলি আপনাদের কেমন লাগছে? অবশ্যই জানান আমাদের-