Bengali Fiction Series| The Legend of Ram: Episode2- Rise of a Species| Part2
Watch out the Previous part (Part1) of the Series of 'The Legend of Ram: Rise of a series- Part1' here! If you love Bengali Audio stories then you may visit our YouTube channel here!
The video is at the bottom of this article.
কেমন ছিল গন্ধর্বদের আর্থ-সামাজিক মানচিত্র? কিরকম ছিল তাদের জনজাতির বিন্যাস? রাক্ষসরা প্রজাতিগতভাবে কেমন ছিল? কি নিয়ে বিবাদের সূচনা গন্ধর্বদের সঙ্গে? জানতে হলে এই পর্বটি দেখতেই হবে। মন্তব্য করুন, পছন্দ করুন, অন্যান্যদের সঙ্গে ভাগ করুন। এবং অবশ্যই দেখতে থাকুন পর পর পর্বগুলিকে।
This is the second part of the second episode of the series of The Legend of Ram; this part is known as The Rise of a Species. Story in this part as depicted:
রাক্ষস রাজত্বে ইতস্তত বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল
যে কয়েকটি মুষ্টিমেয় গন্ধর্ব রাজ্য, সেগুলির মধ্যে সবচাইতে বড় ও জনঘনত্বপূর্ণ রাজ্য
হল এই ‘ইক্ষকু’ রাজ্য। গগনচুম্বি হিমালয় পর্বতমালা শেষ হচ্ছে যেখানটায়, সেখান থেকে
শুরু হচ্ছে ‘মহাবন’। বিস্তীর্ণ এই বনভূমি অর্ধচন্দ্রাকৃতি আকারে বেষ্টন করে রয়েছে পশ্চিমে
বৈতরণী নদীর পাড় থেকে শুরু করে পূর্বে ভগীরথ নদের পাড় পর্যন্ত। তবে বনভূমির এখানেই
শেষ নয়। পূর্বদিককে বেষ্টন করে এটি আবার দক্ষিণ নেমে এসেছে, আর ল্যাজের দিকটি গিয়ে
ধাক্কা মেরেছে বিন্ধ্য পর্বতের পাদপ্রান্তে। সেখানেই এসে শেষ হয়েছে এই মহাবন।
নদনদীপূর্ণ ভূভাগটিতে সতেজ জলহাওয়ায় পুষ্ট এই অঞ্চলগুলিতে
অরণ্যের পরিমাণ মাত্রাধিক। ছোট-বড় অরণ্যের প্রাচুর্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই,তাঁরই মধ্যে
মহাবনের শেষ এই ভূভাগের যে মাঝামাঝি অংশটিতে, সেখানেই গড়ে উঠেছে ‘ইক্ষকু’রাজ্য। বিরাট
এই নগরের আয়তন, বিশাল তার জনসংখ্যা। সুরম্য রাজপ্রাসাদ, হর্মরাজি, সৌধ, অট্টালিকা,
পাকাপোক্ত সড়ক-ব্যবস্থা। নগরের বাইরের থেকেই অবস্থান শুরু গ্রাম ও তার উন্নত সেচব্যবস্থার।
কৃষি। সব মিলিয়ে এক উন্নত সভ্যতার নজীর।
ইক্ষকু রাজ্যের আশেপাশে গড়ে উঠেছে আরও বেশ কয়েকটি রাজ্য।
পূর্বপ্রান্তে রয়েছে ‘আটবিক’ রাজ্য। এছাড়াও রয়েছে ‘ভৃঙ্গ’, ‘মুদ্গল’, ‘বারাণাবাত’,
‘শুচী’ – আরও বেশ কয়েকটি গন্ধর্ব রাজ্য। এতগুলি রাজ্যের এই অংশে উৎপত্তির প্রধান কারণ
– ‘মহাবন’-এর বেষ্টনীর সুবিধা। এটি বহির্শত্রুর আক্রমণ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। তবে
বেশ কিছু রাজ্য আছে যা বেষ্টনীর সুরক্ষা-সীমার বাইরে। পশ্চিমের পাঞ্চাল প্রদেশ এর একটি
বড় উদাহরণ।
বহির্শত্রু? গন্ধর্বরা জাতিগতভাবে কখনোই যুদ্ধ-বিগ্রহের
উপাসক নয়; যুদ্ধ লাগলেও তা হত ছোট-খাটো। দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে তারা কখনই নিজ স্বার্থেই
নিজেদের জড়াত না; একটা অদৃশ্য চুক্তি তারা সবসময়ই মেনে চলত নিজেদের অস্তিত্বরক্ষার
প্রশ্নে। তাহলে এই বহির্শত্রুরা এল কোনখান থেকে?
দানব ও নাগ! এই দুটি প্রজাতির থেকে সবসময়ই গন্ধর্বরা সতর্ক
থাকতেন। বিরাট দেহকে কাজে লাগিয়ে এরা মাঝেমধ্যেই হানা দিত গন্ধর্বদের ওপর। খাদ্যশষ্য
এবং অন্যান্য দরকারি সামগ্রী তারা হরণ তো করতই, তাছাড়া অনেক সময়তেই স্ত্রীলোকদেরও জোর
করে তুলে নিয়ে যেত। নিজেদের জাতির ক্রমহ্রাসমান সংখ্যা তারা পূরণ করতে সচেষ্ট ছিল নিজেদের
অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে। এই কারণেই তারা ব্যবহার করতে চাইত গান্ধর্বীদের। এদের হাত
থেকে নিজেদের রক্ষা করাই ছিল গন্ধর্বদের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা।
তবে পাঞ্চালদের সঙ্গে ইক্ষকু বংশের একটা জন্মগত শত্রুতা
ছিল। এই দুটি রাজ্য মাঝে-মধ্যেই যুদ্ধে লিপ্ত হত। বহু যুগ আগে একসময় পাঞ্চালরা ইক্ষকু
বংশেরই একটা শাখা ছিল। কোন এক সামান্য কারণে মত-বিরোধের সূত্রপাত হয়। পাঞ্চালরা মূল
বংশ পরিত্যাগ করে বেরিয়ে আসে এবং নতুন রাজ্যের সূচনা করে। পরবর্তীকালে এই দুটি রাজ্য
একে অপরের শত্রুতে রূপান্তরিত হয়। তবে তা কখনোই একে অপরকে অধিকারের প্রশ্নে নয়।
উত্তরে হিমালয় ও দক্ষিণে অতল বারিধির মাঝখানে বিস্তীর্ণ
এই ভূ-খণ্ডের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান করছে ‘কুন্তল’রাজ্য। একে অবশ্য সব গন্ধর্ব রাজ্যই
একটু এড়িয়ে চলত; কারণ প্রত্যেকে মনে করত রাক্ষসদের ‘মধ্যভাগের কর্ণ’হল এই রাজ্যটি।
এই অঞ্চলগুলিতে যা ঘটনা ঘটে তা সিংহাসনে আসীন রাক্ষসরাজের কানে তোলেন প্রবীণ রাজা যশকর্মা।
এই জন্যই এই রাজ্যের সংশ্রব এড়িয়ে চলত সবাই।
কথাটি আংশিক সত্য। যদিও গন্ধর্বদের সীমিত বুদ্ধির মানদণ্ডে তারা কখনোই অনুমান করতে পারে নি যে রাক্ষসদের খবরাখবর প্রাপ্তি কোন বিশেষ ব্যক্তির ওপরে পুরোমাত্রায় নির্ভরশীল নয়; এই পবিত্র দায়িত্ব পালন করে তাদের প্রযুক্তি। প্রবাদপ্রতিম নজরদারির সাহায্যে তারা খুব স্বল্প সময়ে লাভ করতে পারে সমস্ত দরকারি খবর। আর একটা কথা বলে রাখা দরকার, গন্ধর্বদের কোন রাজ্যই স্বয়ংশাসিত নয়। করদানের পরিবর্তে রাজত্ব লাভ করেছেন তারা। প্রতিটি গন্ধর্ব রাজ্যই কিন্তু করদ রাজ্য।
Watch the Story Bahujuger Opaar Hote- Part2 here!
- What possibly inspired the advent of a great ancient tale?
- In search of identity of another great sage, Maharshi Markendeya
- Is there anybody before us, who roamed the Earth?
- Technological influence of modernized weapon, way before we gain the knowledge.
- Who are the Gods? What were they doing back then?
- Who are these Danavs, Rakhshasas Nagas, and other species that are mentioned in our ancient epic tales?
Story, voiceover, Concept and Editing: Aritra Das
Graphics: Shri Biswanath Dey
Background music source: YouTube Audio Library
Our books
Stay Updated
Our twitter account
Pratilipi Profile
This is a pure fictional, science fiction storyline based upon self-imagination. Any similarity with reality is a definite coincidence.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমাদের ব্লগগুলি আপনাদের কেমন লাগছে? অবশ্যই জানান আমাদের-