The Legend of Ram-Rise of a Species- Episode2 Part7
Watch out the Previous Part6 of the series here. If you are looking for a Bengali Audio story channel with fresh, new, original audio stories then you may have a try on us here!
The audio story to this part is down below at the bottom of this article.
A science-fiction novel based on ancient aliens and ancient tales of India, Bengali audio book visual story
দানব-নিধন প্রক্রিয়া শুরু হল। যা ভাবা হয়েছিল, বাস্তবে দেখা গেল আগত বিপদ তার চেয়ে অনেক, অনেক বেশি! তাহলে কি আদৌ সম্ভব কয়েকটি সাধারণ অস্ত্র দিয়ে দানব-সংহার? হলে...কিভাবে? জানতে গেলে চোখ রাখতেই হবে এই পর্বে।
The Story so far read in this part:
সামনের দিকে ঘুমন্ত দানবটিকে আড়চোখে একবার দেখে নিয়ে বক্তব্য
শুরু করলেন বীরভদ্র:
-“দানবটাকে প্রস্তরখণ্ড ছুঁড়ে প্রথমে নিজের দিকে আকর্ষণ করবি। যেই ও তেড়ে আসবে তোর দিকে, বিরহিণী প্রেমিকার মত আচরণ করবি না, দৌড়ে ঢুকে যাবি জঙ্গলের মধ্যে। কোন অবস্থাতেই সোজা দৌড়বি না, এঁকে বেঁকে দৌড়বি। সোজা দৌড়লে ও তোকে কিন্তু ধরে ফেলবে। মনে থাকবে তো?”
এতক্ষণে বেশ কিছুটা সাহস ফেরৎ পেয়েছেন সুমিত্রসেন, বিষয়টার মধ্যে একটা নতুনত্বও আছে, আবার বেশ একটা বীরত্ব বীরত্ব ব্যাপারও আছে বটে! তিনি সোৎসাহে উঠে দাঁড়িয়ে ‘হ্যাঁ‘বলতে গিয়েছিলেন, বাধা দিলেন বীরভদ্রই। মনে মনে ভাবলেন - “যাক, চোরাবালিটা কাছেই আছে, ওখানে পৌছাতে বেশি সময় লাগবে না।”
দুজনকে অকুস্থলে নজর রাখতে দিয়ে চোরাবালি অঞ্চলটি একবার ভালো করে দেখে নিলেন বীরভদ্র। প্রতিটি নিকটবর্তী গাছ, তাদের অবস্থান, লতাগুলি দিয়ে সহজেই জায়গা পরিবর্তন করা যায় কিনা; সব খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখে নিলেন তিনি দ্রুত, অভ্যস্ত চোখে। পরীক্ষা করে তিনি সিদ্ধান্তে এলেন যে না, এটি তাঁর পরিকল্পনার সঙ্গে খাপ খায়।
এবার দানবকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে আসবার জন্য সুমিত্রসেনকে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি নিজে চড়ে বসলেন সবচেয়ে সামনের গাছটির মগডালে। পাশেই ঝুলে রইল একটি ঝুরি, মাটি অবধি সেটি প্রায় পৌছিয়ে গিয়েছে। ভালোই হল, এটায় করে দোল খেয়ে সামনের গাছে চলেও যাওয়া যাবে, আবার দরকারে চট্ করে মাটিতে নেমেও যাওয়া যাবে। দুজন অনুচর পিছনদিকের দুটি গাছে উঠে বসে রইল ধনুকে শরযোজনা করে। বাকিরাও জায়গা নিয়ে নিল পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট অবস্থানে। সবকিছু খতিয়ে দেখে পাখির একটা কুঁহু ডাক ছাড়লেন বীরভদ্র। ওটাই সংকেত। এবারে নিঃশব্দে সকলেই অপেক্ষা করতে লাগলেন দানবের জন্য।
বেশ কিছুটা সময় অতিক্রান্ত হল। এবারে শুরু হল একটা মৃদু ধুপধুপ আওয়াজ। বেশ কিছুক্ষণ পরে আওয়াজটা তীব্রতর হল; বোঝা গেল নিকটেই এসে পড়েছে দানব। কিছুক্ষণ পরেই সামনের জঙ্গল থেকে ছুটে বেড়িয়ে আসতে দেখা গেল সুমিত্রসেনকে, কিন্তু এ কি? কোন পরিকল্পনা মেনে নয়,তিনি ছুটছেন তখন উন্মত্তের মত! চুল আলুথালু, বেশভূষা ঠিক নেই; এঁকেবেঁকে নয়, তিনি ছুটছেন একেবারে সিধা! সবাই যখন বিষ্মিত তাঁকে দেখে ঠিক সেই সময়তেই সুমিত্রসেনের পিছন পিছন যেন জঙ্গল ফুঁড়ে বেড়িয়ে এল বিরাট সেই দানব! বিরাট উঁচু, খাড়া পাহাড়ের মত মাংসল দেহ, কিন্তু গতিতে সামান্য একটু শ্লথ। বীরভদ্র বুঝলেন, এই দানব যদি আর একটু ক্ষিপ্রগতি হত, তবে আর প্রাণে বাঁচতেন না সুমিত্রসেন! ততক্ষণে তিনি অবশ্য ধনুকে শরযোজনা করে ফেলেছেন, উদ্দেশ্য দানবটির একটি চোখ ক্ষতিগ্রস্ত করা। নীচু হয়ে ঝুঁকে দানব যখন প্রায় ধরে ফেলেছেন সুমিত্রসেনকে ঠিক তখনই মাথা ঠান্ডা করে, অব্যর্থ লক্ষ্যে প্রথম শরটি ছুঁড়লেন তিনি। পলকের মধ্যে সেটি ঢুকে গেল দানবটির ডান দিকের চোখে।
সিদ্ধান্ত নিতে বেশি দেরি করলেন না বীরভদ্র। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন দানবটির নজর ঘুরিয়ে দিতে হবে সুমিত্রসেনের ওপর থেকে, নাহলে আজ তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত। চকিৎে ঝুরি বেয়ে তিনি নেমে এলেন গাছ থেকে। দানবটির থেকে বেশ কিছুটা তফাৎে ওটির সামনে এসে দাঁড়ালেন তিনি। দানবটি তখন থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছিল, খুঁজছিল তার আক্রমণকারীকে। বীরভদ্রকে দেখতে পেয়েই দুহাত বাড়িয়ে তাঁকে ধরতে এল সে। বীরভদ্রও দৌড় লাগালেন এঁকেবেঁকে, চোরাবালির দিকে।
এরপরের ঘটনা সংক্ষিপ্ত। ক্ষিপ্রগতিতে বীরভদ্র পেরিয়ে গেলেন পূর্বেই নির্দিষ্ট করা গন্ডী; সামনের গাছটায় উঠে পড়লেন চোখের নিমেষে। দানব তাঁকে ধরতে যেতেই দুপাশ থেকে ধেয়ে এল শর, দানবের জানু লক্ষ্য করে। অব্যর্থ শরসন্ধান! শরবিদ্ধ দানব যখন টালমাটাল ঠিক তখনই ধেয়ে এল তৃতীয়টি, এর গোড়ায় একটি মোটা কাছি বাঁধা। সোজা ঢুকে গেল সেটি দানবের সামনে থাকা গাছটিতে আড়াআড়িভাবে। টানটান হয়ে থাকা এই কাছিতেই হুমড়ি খেয়ে আছড়ে পড়ল দানব। কিন্তু –
হিসেবে একটু গণ্ডগোল করে ফেলেছিলেন তাঁরা। তাঁদের ধারণা ছিল দানব হুমড়ি খেয়ে পড়বে চোরাবালিতে, বাকি কাজ সেটিই করবে। চোরাবালির অতলে তলিয়ে যাবে দানব। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল দানব হুমড়ি খেয়ে পড়ল বীরভদ্র যে গাছটিতে চড়ে বসেছিলেন, তার গোড়ায়। মুখ নীচের দিকে ছিল অবশ্য। কিন্তু এখন উপায়?
উপায় করে দেখালেন বীরভদ্র। কোমর থেকে খুলে নিলেন তরোয়াল; তারপর ওপর থেকে লাফ দিলেন দানবের গলা লক্ষ্য করে। দানবটা তখন ধীরে ধীরে উঠে বসবার চেষ্টা করছিল; শরীর তখনও ছিল অনুভূমিক। তরোয়াল সোজা গিঁথে গেল দানবের ঘাড়ে; পিছনদিক দিয়ে কন্ঠনালি ভেদ করে তা বেরিয়ে এল সামনের দিক দিয়ে। কোন শব্দ গলা চিরে বেরিয়ে আসবার আগেই মৃত্যু হল তার। কন্ঠনালি ভেদ করে তরোয়ালের অগ্রভাগ তখনও বের হয়ে এসে সদম্ভে ঘোষণা করছে দানবদের ওপর গন্ধর্বদের বিজয় নিশান!
[চলবে...]
-©অরিত্র দাস
==========================================================================
Stay updated here.
Our books
Our twitter account
Pratilipi Profile
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমাদের ব্লগগুলি আপনাদের কেমন লাগছে? অবশ্যই জানান আমাদের-