The Legend of Ram-Rise of a Species- Episode2 Part5
Watch out the Previous Part4 of the Story here. If you are looking for a Bengali Audio Story channel with fresh, new, original story content then you may find it here. Try us!
Watch out the video narration at the bottom of this article.
A science-fiction novel based on ancient tales of India.
আগের পর্বে আমরা দেখেছি আমাদের কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলিকে; এই পর্বে আমরা বুঝতে পারব তাদের মানসিক গঠনবিন্যাস। একটি বিপদ, যা এসে উপস্থিত হয়েছে তাঁদের রাজ্যে, কি সেই বিপদ, কেমনভাবে উদ্ধার পাওয়া যায় সেই বিপদ থেকে- সেই মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি নিয়েই শুরু আমাদের এই পর্ব। দেখতে থাকুন এই পর্বটি ও পরবর্ত্তী পর্বগুলি। কেমন লাগল তা জানাতে অবশ্যই ভুলবেন না।
এই পর্বে যা পাঠ করা হয়েছে:
পরদিন সকাল। আচমকাই বেজে উঠল তূর্যনিনাদ! কি ব্যাপার?
বীরভদ্র ও সুমিত্রসেন দুজনেই রোজকার মত সকালবেলায় অভ্যাস
সেরে নেন। তাঁদের প্রাত্যাহিকীর মধ্যেই পড়ে রোজ সকালের এই ব্যায়াম, শরীরচর্চা ও অস্ত্র
অভ্যাস। গুরুদেবের সান্নিধ্যে অন্যান্য অভ্যাসকারীদের সঙ্গে তাঁরাও ব্যস্ত থাকেন এই
কার্যে; আজকেও তার অন্যথা হয় নি। এরই মধ্যে ঘটল এই ছন্দপতন! প্রত্যেকেই দৌড় দিলেন নগরীর
পূর্বদিকের দ্বারে। ওখান থেকেই তো আসছে আওয়াজ! কিন্তু, কি হয়েছে?
বেড়িয়ে এল ভয়ংকর এক তথ্য। এক দানব দেখা গিয়েছে পূর্ব প্রান্তের
জঙ্গলে! সকালে গ্রামের একদল কাঠুরে কাঠ কাটতে গিয়েছিল সেখানে। বনের একটু গভীর অংশে
ভালো জাতের কাঠ পাওয়া যায়; সেখানেই গিয়েছিলেন আজকে ছয়জনে মিলে। ভাগ্যিস গিয়েছিলেন!
ওখানে ভিতরে একটা ছোট হেজে যাওয়া স্রোতস্বিনী মত আছে, সেখানেই জলপানরত এক দানবকে দেখতে
পান তারা। কোনক্রমে তারা পালিয়ে আসেন ওখান থেকে। তাদেরই একজনের কাছে একটা ঘোড়া ছিল;
তাতে চড়ে সতর্ক করে দিয়ে যান নগরপালকে। তার পরে পরেই এই তূর্যভেরীর নিনাদ!
খবরটা সুখকর নয়। সময়টা শীতকাল। এই সময়ে রবিশষ্যের ফলন
হয়। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা রাজধানীতে আসেন তাঁদের ফসল নিয়ে। ব্যবসায়ীরা জমা হয়;
ব্যবসা-বাণিজ্য এইসময় বেশ প্রবল বিস্তার লাভ করে। রাজধানীর চারিদিকে বেশ উঁচু প্রাকার,
তাতে প্রহরা। দানবের সাধ্য নেই এই প্রাকারকে উল্লঙ্ঘন করবার। কিন্তু গ্রামগুলি? সেগুলি
তো অরক্ষিত! দুইশতের অধিক এই গ্রামগুলিকে যদি দানব লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায় তবে অর্থনীতি
তো বেশ বড়সড় ধাক্কা খাবে! এখন উপায়? আপাতত জীবনহানির সম্ভাবনা কম কারণ ইতিমধ্যেই কাছাকাছি
যে কয়টি গ্রাম ছিল তার আবাসিকরা এসে ভীড় করেছে নগর-প্রাকারের এপারে; তারা নিরাপদ। কিন্তু
দূরবর্তী অজস্র গ্রামগুলি? এছাড়া, চাষীদের তাড়াহুড়ায় ফেলে আসা অরক্ষিত খাদ্যশষ্য? সেগুলির
কি হবে? এখন উপায়?
বীরভদ্র হাত ধরে টেনে নিয়ে এলেন সুমিত্রসেনকে একপার্শ্বে।
মোটের ওপর বুঝিয়ে বললেন পরিস্থিতি। সব শুনে টুনে তিনিও বললেন একই কথা – “এখন কি করণীয়?”
-“দানবটাকে মারতেই হবে। ব্যাটা খাদ্যশষ্য লুঠের জন্য আসে
নি, এসেছে নষ্ট করতে। কেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়। যদি লুঠের জন্য আসত তবে দল বেঁধে আসত
।”
-“এখন আমরা কি করব তাহলে দাদা?”
-“এখন আমাদের চারজনকে যোগাড় করে বেরিয়ে যেতে হবে। এখনই।
ব্যাটা রাত্রির অন্ধকারে পথ চলে এখন একটু জিরোচ্ছে, এটাই অবসর ওকে মারবার!”
-“তাহলে সেনাপতিকে বলি গিয়ে?”
-“আশেপাশে তাকা মিতে। তোর কি মনে হচ্ছে না সবাই আতংকিত
হয়ে আছে? এইসময় কেউ প্রকৃতিস্থ নেই; এই অবস্থায় কাউকে বুদ্ধি দিতে যাওয়া আর দেওয়ালের
সঙ্গে কথা বলা - একই ব্যাপার।”
-“ও, তাহলে, চারজনকে যোগাড় করি?”
-“কর। কিন্তু সাবধানে। কেউ যেন বুঝতে না পারে। উত্তর-পূর্ব
কোণে যে ছোট প্রবেশদ্বার আছে তা দেখেছিস তো? ওখানে সবাইকে জড়ো কর। ততক্ষণে আমি আমাদের
অস্ত্রগুলি নিয়ে আসি। প্রত্যেকে যেন সশস্ত্র থাকে।”
কিছুক্ষণ পরে নগর-প্রাকারের উত্তর-পূর্ব কোণের ছোট প্রবেশদ্বারের কাছে ছয়-সাতজনের ছোট অভিযাত্রি দলটি এসে একত্র হল। প্রত্যেকেই সশস্ত্র। অশ্ব সমেত জমায়েত করেছিল তারা। এরপর, বাকিরা বেড়িয়ে গেলে একজন শুধু থেকে গেল ভিতরে; সকলে বেরিয়ে গেলে দরজাটি টেনে বন্ধ করে দিল সে...
[চলবে...]
-©অরিত্র দাস
Watch out the video here:
Story, voice-over, Concept and Editing: Aritra Das
Graphics: Shri Biswanath Dey
Background music source: YouTube Audio Library
Our books
Our twitter account
Pratilipi Profile
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমাদের ব্লগগুলি আপনাদের কেমন লাগছে? অবশ্যই জানান আমাদের-