The Legend of Ram-Rise of a Species- Episode2 Part3- A Bengali suspense fiction
Watch the previous part of The Legend of Ram: Rise of a Species- Part2 Here! If you are looking for an Audio story channel with new, original, fresh stories, you may visit us here!
The video is at the bottom of this article. Don't forget to check it out!
Check out the Third part of the Bengali Historical fiction- Bahujuger Opaar Hote here!
Part3 Story:
...এই করদানের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ইদানীং খুব চিন্তায় আছেন
মহাসেন। সম্প্রতি, রাক্ষসদের সিংহাসন পরিবর্তন হয়েছে। নতুন একজন রাজা উঠে এসেছেন ওদের,
নাম রাবণ। উনি নাকি ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রীতি-নীতি বদল করেছেন, যার মধ্যে অন্যতম করদ
রাজ্যগুলির করের পরিমাণ বৃদ্ধি। এ বিষয়ে কোন বিজ্ঞপ্তি এখনও এসে পৌছায় নি বটে কিন্তু
শোনা যাচ্ছে তা আসন্ন; হয়তো আজ –কালের মধ্যেই তা এসে যাবে। বর্ধিত করের পরিমাণ নাকি
অনেকটাই বেশি। কিছুদিন আগে রাক্ষসদের যে রাজ-প্রতিনিধিদল এসেছিলেন সভায় তাঁদের অবশ্য
তিনি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন যে এত কর দেওয়া সম্ভব নয়; রাজ্যের নিজস্ব আয় -ব্যয়ের সঙ্গে
সঙ্গতি রেখে চলা উচিৎ ধার্য করের পরিমাণ। সব শুনেটুনে ওঁরা যাওয়ার আগে বলে গিয়েছিলেন
যে বিষয়টা ভেবে দেখা হবে। তবে মহাসেন এ কথায় বিশেষ আশাণ্বিত নন। রাবণ নাকি কর আদায়ের
প্রশ্নে খুবই কড়া ব্যক্তি, আর গন্ধর্বজাতির প্রতি তাঁর কোন সমবেদনাই নেই। হাওয়ায় ভর
করে বিভিন্ন উড়ো কথা কানে এসে পৌছচ্ছে; কিন্তু সত্যিটা কি? কেউ কিছু বলতে পারছে না।
-“রাজপুত্রেরা কেউ নিজ কক্ষে নেই মহারাজ।”— হাতজোড় করে
এসে দাঁড়াল পরিচারক।
-“হুমম্...ঠিক আছে। তুই যা।”
ব্রহ্মাদেবের আশীর্বাদধন্য সেই শ্বেততরল পায়েসের মধ্যে
দিয়ে তা তিনজন রাণীরই হাতে তুলে দিয়ে এসেছিলেন মহাসেন। হ্যাঁ, তিনজন রাণীই! কথা ছিল
দুজনের মধ্যে তা বণ্টনের, কিন্তু শেষ মুহূর্তে রাণী সুভদ্রার জেদ তাঁকে বাধ্য করেছিল
তাঁর নিজের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করতে। কোন এক বদমায়েশ পরিচারিকার কুমন্ত্রণায় রাণী সুভদ্রার
বোধ বিলুপ্তি ঘটে। “বাকি রাণীরা পাবে দেবোপম বালক, আর আমি কিনা জন্ম দেব এক সাধারণ
গন্ধর্ব বা গান্ধর্বীর? বাকিদের পুত্রেরা হবে অনুপম ও অতুলনীয়, আমার সন্তানাদি কিনা
হবে কৃশ, খর্বকায়,বিশ্রী? হয় ভাগ দিন, নচেৎ বিষ দিন -” এই ছিল তাঁর তখনকার উক্তি। দৈব-সন্তানলাভের
আশু সম্ভাবনার মোহে আবদ্ধ রাণী সুভদ্রার সেদিন মহাসেনের ক্লীবত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতেও
মুখে বাঁধে নি। একপ্রকার বাধ্য হয়েই জেদী স্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন মহাসেন।
নির্দিষ্ট সময়ে সকলেই সন্তান প্রসব করেন। বড় রাণী পদ্মিণী
জন্ম দেন সবচেয়ে বড়, অগ্রজ বীরভদ্রকে। মেজরাণী সুভদ্রা জন্ম দেন দুইজন পুত্রকে – বিক্রমবাহু
ও অখণ্ডপ্রতাপকে। ছোটরাণী সুমিত্রা জন্ম দেন আরও একজন পুত্রকে – সুমিত্রসেন। চারজনই
পুত্র; যেমন বলে গিয়েছিলেন অগ্নিদেব।
কিন্তু তাঁদের সুরক্ষা বিধানও তো জরুরি। এঁদের সুরক্ষার
প্রশ্নটাই তো দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি! প্রথমটা ভাঙা হয়েছিল অবস্থান্তরে, কিন্তু দ্বিতীয়টা
কোন অবস্থাতেই যেন ভাঙ্গা না হয়। এটা যেমন সত্য যে এত কর তাঁদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব
নয় তেমনি এটাও সত্য যে কর না নিয়ে রাবণ ক্ষান্ত হবেন না। এর অর্থ যুদ্ধ এবং তিনি ভালো
করেই জানেন যে এই অসম যুদ্ধ জয় করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। দেবতাদের পর্যন্ত হার মানিয়ে
দিয়েছেন রাবণ; তাও তখন তো তিনি যুবরাজ ছিলেন, আর এখন তো তিনি নিজেই রাজা! এখন উপায়?
-“মহর্ষি বিশ্বামিত্র আপনার দর্শনার্থী, মহারাজ।” সংবাদ
নিয়ে এল পরিচারক।
খানিক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রইলেন মহারাজ
মহাসেন। চকিৎে একটা বিকল্প সম্ভাবনা খেলে গেল তাঁর মাথায়! তাই তো! এও তো সম্ভব!! এত
সহজ পরিকল্পনা তাঁর মাথায় আগে আসে নি কেন?
-“ওঁনাকে কি অধিবেশন কক্ষে বসাব মহারাজ?”
-“না! ওঁনাকে সোজা আমার এই কক্ষে প্রেরণ কর। আর নিশ্চিত
কর আমাদের কথাবার্তা চলাকালীন কেউ যেন এই কক্ষে প্রবেশ না করে।”
শশব্যস্ত হয়ে নিজেই স্বতঃপ্রণোদিত
হয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করতে লাগলেন মহাসেন। দৈব-সম্ভূত এই সম্ভাবনা এক মুহূর্তের জন্যও
হাতছাড়া করতে চান না তিনি।
=========================================================================
This is based on an ancient Indian tale, but definitely, the story line is something else. Keep watching us for more videos and updates. Your comment, likes and shares would boost up our motivation, so, please do them, and, Subscribe. Thanks!!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমাদের ব্লগগুলি আপনাদের কেমন লাগছে? অবশ্যই জানান আমাদের-