Mahakaaler Majhe- Part6| Historical Story Paranormal in Bengali| Mystic Tune of Tales |Suspense thriller
MAHAKAALER MAJHE PART6 by Mystic Tune of Tales
-A Historical story on Paranormal phenomena in Bengali by Aritra Das
Mahakaaler Majhe Part6 Cover Page |
MahakMahakaaler Majhe is paranormal, historical, suspense thriller audio story in Bengali; original fiction written by Aritra Das and presented by Mystic Tune of Tales. The entire storyline is based on two different characters belonging to two different timelines, but they can feel lives of each other and finally they meet up in an unusual place- but, how? A must-see web series in classical genre. This is the Sixth part of the story. In this part, we will see that both the characters are watching each others' lives in dream, while staying in their respective timelines. A thinner line of connection between the duos, may be? The story shapes further. Find it out.
WATCH THE COMPLETE STORY OF 'DAHANA'
Story, Concept and Editing: Aritra Das
Graphics: Shri Biswanath Dey
Vocal Effect Assistance: Priti_Ghoshal_music
Narration- Aritra Das, Priti Ghoshal
Background sound effect source: Mixkit, pixabay
Story read so far in this sixth part of the story Mahakaaler Majhe' in Bengali:
================================================================
স্থানীয় এক বৃদ্ধার বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছিলেন আহীম; ভেবেছিলেন
রাতটা সেখানে কাটিয়ে পরের দিন আবার বেরিয়ে পড়বেন ভাগ্যের অন্বেষণে। আতিথেয়তায় বৃদ্ধা
অত্যন্ত আন্তরিক ছিলেন; ওনার এক ছেলে এখন সমতলে গিয়েছে বাণিজ্যের প্রয়োজনে, এখন আহীমকে
পেয়ে বৃদ্ধা অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন কথা বলবার সুযোগ পেয়ে। রাত্রে খাওয়ার পর অনেকক্ষণ
গল্প হল; তারপর নিজের ঘরে জানলা দিয়ে বাইরের চাঁদ দেখতে দেখতে একসময় ঘুমিয়েও পড়েছিলেন
আহীম, কিন্তু…
শেষ রাত্রির দিকে হঠাৎ লোকজনের তীব্র আওয়াজে আর বিষম কটু
পোড়া গন্ধে ঘুম ভেঙে যায় আহীমের; ঘুম ভেঙে ধড়মড় করে উঠে বসেন তিনি! বাইরে তখনও বেশ
অন্ধকার; এরই মাঝে কালো ধোঁয়ার ঘন আবরণের মধ্য দিয়ে দুহাত দূরের দৃশ্যও যেন ভালো করে
দেখা যাচ্ছে না; গোটা ভবনটি যেন উনুনের ভিতরটার মত অবস্থা- শ্বাসপ্রশ্বাসও নেওয়া যাচ্ছে
না ভালো করে! এরই মধ্য দিয়ে চোখমুখ কোনমতে হাত দিয়ে আড়াল করে কাশতে কাশতে ঘর থেকে বেরিয়ে
এলেন আহীম। বাইরের খোলা বাতাসে অনুমানে ভর করে পৌঁছে উবু হয়ে বসে ভালো করে কিছুক্ষণ
শ্বাস নিয়ে শেষে একটু সুস্থিত হয়ে মাথা তুলে দেখলেন-
গোটা গ্রামটাই কার্যত জ্বলছে! সামনে-পিছনে-ডাইনে-বাঁয়ে-
কোন ভবন দেখতে পেলেন না তিনি যা কার্যত অনাহত হয়ে দাঁড়িয়ে- প্রতিটি ভবনে অগ্নিসংযোগ
করা হয়েছিল। এর মধ্যে কয়েকটি ভবন ইতিমধ্যেই ভেঙেচুরে দ’ হয়ে দাঁড়িয়ে সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত
অবস্থায়, কয়েকটি এখনও আগুনে করাল গ্রাসে! আশেপাশে লোকজনের হুড়োহুড়ি, বিশৃঙ্খলা, দৌড়োদৌড়ি-
বড় বড় চোখ মেলে কিছুক্ষণ তা তাকিয়ে দেখলেন আহীম; তারপরই সামনের দিকে চোখ গেল তার। দেখলেন-
সামনের খোলা প্রান্তরে গ্রামের সবাইকে ঘিরে দাঁড়িয়ে কালো কাপড় পরা একদল বর্শাধারী,
আর একটি প্রান্তে-
মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন সেই বৃদ্ধা যার ভবনে তিনি আশ্রয়
পেয়েছিলেন; আর তার দিকে উদ্যত চাবুক হাতে উদ্ধত ভঙ্গীতে এগিয়ে চলেছেন এক যুবক- যার
আচরণে স্পষ্ট হাতের চাবুকটার সদ্ব্যবহার করতে চলেছেন উনি, ঐ অসহায়, দূর্বল মহিলাটির
ওপর!
এক পা-এক পা করে চাবুক হাতে যুবকটি এগিয়ে এলেন ভূমিতে
পড়ে থাকা বৃদ্ধাটির দিকে, কাতরস্বরে তিনি তখনও ক্ষমাভিক্ষা করে চলেছেন সামনের দিকে
করুণভাবে হাত বাড়িয়ে! যুবকের কোন বিবেকদংশন দেখা দিল না অভিব্যক্তিতে; অকম্পিত হাতে
চাবুকটা তুলে ধরলেন তিনি স্বর্গের দিকে, তারপর ‘সপাং’ শব্দ করে সেটি নেমে আসতে লাগল
বৃদ্ধার পিঠ লক্ষ্য করে! চমকে উঠেছিলেন গ্রামবাসীরা; তারা এখন বন্দী, কিছু করণীয় নেই
তাদের; কিন্তু সকলে একপ্রকার নিশ্চিতই ছিলেন যে এই পুরুষ্টু, দাঁত বসানো চাবুক মহিলার
পিঠে পড়লে তার প্রাণে বাঁচবার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই আর! শিউরে উঠে চোখ বুঁজে ফেলেছিলেন
সকলেই ভয়ের চোটে, কিন্তু-
ভাঙা গলায় কিশোরকন্ঠে আর্তনাদ ভেসে আসতে আবার চোখ মেলে
সামনে তাকালেন সবাই। দেখা গেল- কোন ফাঁকে দৌড়ে এসে ভূমিতে শায়িত বৃদ্ধার শরীরের ওপর
নিজের শরীরটা ছুঁড়ে দিয়েছেন আশ্রিত সেই বিদেশি ছেলেটি, যাকে আগের দিন সন্ধ্যেবেলায়
তারা কুড়িয়ে পেয়েছিলেন গ্রামের বাইরে! মনোরঞ্জনের এই হঠাৎ-বিঘ্নে বোধহয় ক্ষেপে গিয়েছিলেন
প্রহারকারী যুবকটিও, হাতের চাবুক একবারের জন্যও না থামিয়ে পরপর মেরেই গেলেন তিনি; তীক্ষ্ন
শিসের শব্দ তুলে প্রতিটি চাবুকের ঘা নেমে আসতে লাগল বৃদ্ধার দেহকে আড়াল করে রাখা কিশোরটির
দেহের ওপর, তারপর একসময় হাঁফিয়ে গিয়ে প্রহার বন্ধ করলেন যুবকটি।
-“সবকটাকে শকটে তোল! এদের সবার বিচার হবে! আর এই ছোঁড়াকে
পাঠিয়ে দে আমার ঘরে।”
অজ্ঞান হওয়ার আগের মুহুর্ত্তে ঐ যুবকের বলা এই শেষ কথাগুলি
কানে এসেছিল আহীমের, তারপরই জ্ঞান হারান তিনি।
-“তুমি তো ঐ গ্রামে নতুন, ঐ বৃদ্ধাকে আগে চিনতে?”
মহিলার কথায় আবার বাস্তবে সেই আগেকার কক্ষের মধ্যে ফিরে
এলেন আহীম। তার ক্ষতস্থানগুলিকে গরম জল দিয়ে ধুইয়ে দেওয়ার পালা শেষ, এবারে মলমের বাটিটা
হাতে নিয়ে মহিলা উৎসুক চোখে তার দিকে তাকিয়ে প্রশ্নটা করলেন। আলগোছে মাথাটা দুবার নাড়ালেন
আহীম। কিছু না বলে তার ক্ষতস্থানে মলম লাগাতে শুরু করলেন মহিলা।
-“কিন্তু ঐ বৃদ্ধার ওপরে যুবকটি এরকম মর্মান্তিক চটল কেন?
এই আঘাত ঐ বৃদ্ধাকে করা হলে তো উনি-”
আহীমের পিঠে মলম
মালিশ করতে করতে তার দিকে ক্ষণিকের জন্য একবার তাকালেন মহিলাটি, তারপর চোখ নামিয়ে মৃদু
গলায় বলতে শুরু করলেন-
-“ঐ গোটা গ্রামের অধিবাসীরা রাজস্ব দিচ্ছিল না সময় মত,
তাই আমাদের দলপতির নির্দেশে গতকাল ওদের গ্রামে ভাঙ্গচুর করা হয়; ঐ বৃদ্ধার অপরাধ- উনি
প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এই লুঠতরাজের বিরুদ্ধে, তাই আমার স্বামী ওকে চাবুক- ঐ মহিলাটিকে
বাঁচিয়ে তুমি পুণ্যের কাজ করেছ, আর আমার স্বামী ওকে চাবুক মারতে গিয়ে-”
বাকিটা আর বলতে পারলেন না মহিলাটি; চুপ করে মলম লাগাতে
ব্যস্ত হয়ে গেলেন তিনি। আহীমও আর কথা বাড়ালেন না বিশেষ, চুপ করে দেওয়ালের প্রান্তে
জ্বলতে থাকা বাতির কাঁপতে থাকা শিখাটির দিকে একাগ্রভাবে চেয়ে থাকলেন তিনি। অজ্ঞান অবস্থায়
আজ ভারি অদ্ভুত একটা স্বপ্ন দেখেছেন আহীম। একটা অদ্ভুত, অচেনা পরিবেশে যেন ঠেলে উঠেছেন
তিনি…এলাকাটি বোধহয় কোন পাহাড়ি অঞ্চলই হবে, নয়তো এরকম উঁচু উঁচু ভূমিরূপ সমতলে কখনোই
হয় না…তাকে ঘিরে চারপাশে বিচিত্র পোশাক পরা অনেক মানুষের দৌড়োদৌড়ি, আর্তনাদ, ধোঁয়া,
আগুন, আর…বিকট আওয়াজের সঙ্গে বিরাট বিরাট বিস্ফোরণ, যেন ঈন্দ্রদেবের ছোঁড়া বজ্রগুলি
এসে সপাটে আঘাত করছে মাটিতে, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিচ্ছে সবকিছু! একটা উঁচু স্তম্ভের ওপরে
আধবসা অবস্থায় যেন আহীম দেখছিলেন তাকে ঘিরে ঘটে চলা এই মহাপ্রলয়; শেষে তিনি যেন তাড়াহুড়ো
করে নেমে আসতে যান নীচে, স্তম্ভের সঙ্গে সংলগ্ন খাড়া সিঁড়ি বেয়ে….কিন্তু আকাশ থেকে
অনুরূপ একটি বজ্র নেমে আসে সেই স্তম্ভের ওপর, সেই আঘাতে তিনি পড়ে যেতে থাকেন নীচে,
আরও নীচে…তারপরই চেতনা ফিরে আসে তার! কিন্তু আচমকা এরকম অদ্ভুত স্বপ্ন দেখার মানে কি?
গতরাত্রির বিশৃঙ্খলতাই কি এই স্বপ্নের হাত ধরে ফিরে এসেছিল তার চেতনে? কে জানে?
-“অচেনা কোন মানুষকে বাঁচাবার এই দুঃসাহসিক প্রয়াসের জন্য
রিমপোঁছে নিশ্চই একদিন তোমার সকল মনোবাঞ্ছা পূরণ করবেন; ক্ষতস্থানে ওষুধ লাগিয়ে দিয়েছি,
এখন যাও, আমাদের দলপতি তোমায় ডেকেছেন। বাইরে ওঁর দুই রক্ষী দাঁড়িয়ে তোমায় নিয়ে যাওয়ার
জন্য-”
ক্ষতস্থানে মলম লাগানো হয়ে গিয়েছিল; এবারে বাইরের ঠাণ্ডার
উপযোগী শীতবস্ত্র পড়তে আহীমকে সহযোগিতা করলেন মহিলাটি। এইসময় আহীম লক্ষ্য করলেন- মহিলার
মুখটি যেন অতীব বিষণ্ণ হয়ে গিয়েছে অজানা কোন আশংকায়, হাতদুটি এত কাঁপছিল যে কাপড়ের
গিঁটগুলি পর্যন্ত ভালোভাবে বাঁধতে পারছিলেন না উনি! চুপ করে তার দিকে তাকিয়েছিলেন আহীম;
তারপর মহিলার কাজ শেষ হতে তিনি বললেন-
-“আপনি কি কোন বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত?”
প্রায় কাঁদো-কাঁদো ভঙ্গীতে ঘাড় নেড়ে হ্যাঁ বললেন মহিলাটি,
তারপর বললেন-
-“আমার স্বামী শ্রুং খুবই নির্দয় প্রকৃতির মানুষ…সকলেই
ভয় পায় ওকে, ঘেন্না বাসে ওর নির্দয় স্বভাবের জন্য…সামনে পড়ে গেলে ওকে দেখে সবাই বিগলিত
হয়ে কথা বলে, কিন্তু আড়ালে কেউ ওকে পছন্দ করে না…কি করব কিছু বুঝতে পারছি না, আমাদের
একটা মেয়ে আছে…ও চলে গেলে মেয়েটির কি হবে তা নিয়ে চিন্তায় আমার রাত্রে ঘুম হয় না…”
আরও অনেক কিছু বলে যাচ্ছিলেন মহিলা গড়গড় করে; পাহাড়ি অঞ্চলের
রুক্ষ উচ্চারণে এত তাড়াতাড়িতে বলা কথাগুলি ক্রমশঃ দূর্ভেদ্য হয়ে উঠছিল আহীমের কাছে।
মহিলাটি বোধহয় অনেকদিন কাউকে মন খুলে কথা বলবার সুযোগ পান নি; অনেক কষ্টে তাকে নিরস্ত
করে অতীব ধীর গলায় এবারে জিজ্ঞেস করলেন আহীম-
-“আপনাদের মেয়ে…ওর প্রতি ওর বাবার ব্যবহার কেমন?”
কেঁদেই ফেলেছিলেন মহিলাটি; এবারে আহীমের প্রশ্নে চোখের
জল মুছে কিছুটা সময় নীরব থেকে শান্ত হয়ে শেষে তিনি বললেন-
-“মেয়েকে ভীষণ ভালোবাসে শ্রুং, অসম্ভব ভালোবাসে। মেয়ে
যাই বলুক না কেন, সবসময় তার পক্ষ নেওয়া চাই-ই চাই। মেয়েও তেমনি- বাবা-অন্ত প্রাণ! এক
মুহুর্ত্তের জন্যও বাবা চোখের আড়ালে চলে গেলেই এমন কান্নাকাটি জুড়বে-”
-“যেখানে কিছুটা ভালোবাসার পরশ রয়েছে সেখানে এখনও আশা
রয়েছে। আপনার স্বামীকে ওর পড়শিদের সাহায্য করতে বলুন, এইভাবে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে
কাজ করবার যে অভ্যাসটা ওর ছেড়ে গিয়েছে তা ধীরে ধীরে ফেরৎ আসবে। অন্যের সুখ-দুঃখ ভাগ
করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে মানবিক গুণগুলি আপনার স্বামীর মধ্যে ফেরৎ আসবে বলেই আমার বিশ্বাস!”
-“আমি…চেষ্টা করব ওর সঙ্গে কথা বলে…”
একটা স্মিত হাস্য হেসে ভবনের বাইরে বেরিয়ে এলেন আহীম; এগিয়ে গিয়ে মিলিত হলেন তার জন্য অপেক্ষারত প্রহরীদের সাথে। এরপর তারা সমবেতভাবে এগিয়ে চললেন দলপতির ভবনের উদ্দেশ্যে-
=========================================================================
Watch out the narration in the following video:
In case, if you want to see my works on Bengali literature, you may watch them here on Pratilipi
You may twit us on twitter
This is Our Blog
You may like our page to stay updated
RELATED ARTICLES:
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমাদের ব্লগগুলি আপনাদের কেমন লাগছে? অবশ্যই জানান আমাদের-