Bengali Historical and Paranormal fiction |Mahakaaler Majhe- Part8| Mystic Tune of Tales |New Suspense
A Bengali Suspense Thriller by Aritra Das
MAHAKAALER MAJHE PART8: THE INTERAUGATION OF THE PRISONER |
Mahakaaler Majhe is paranormal, historical, suspense thriller audio story in Bengali; original fiction written by Aritra Das and presented by Mystic Tune of Tales. The entire storyline is based on two different souls belonging to two different timelines, but they can sneak through lives of each other and finally they meet up in an unusual place- but, how? A must-see Bengali historical audio story series in classical genre. This is the eighth part of the story. Read the article till the end.
Story, Concept and Editing: Aritra Das
Graphics: Shri Biswanath Dey
Vocal Effect Assistance: Priti_Ghoshal_music
Narration- Aritra Das
Background sound effect source: Mixkit, pixabay
WATCH THE HISTORICAL, SCIENCE FICTION BENGALI STORY 'BAHUJUGER OPAAR HOTE' PART10
Story narrated so far in this part8:
=================================================================
-“তোমাদের এই ‘ক্রোধ’ ব্যাপারটা কি জম্মগত, নাকি তোমরা
এই বিদ্যেটা ভালো করে রপ্ত করেছ? যাকেই ধরে নিয়ে আসছি তারাই দেখছি খুব গরম থাকছে…যাই
হোক, মাথা ঠাণ্ডা করে চল আমরা একটা খেলা খেলব। তুমি তো কমাণ্ডার, তোমাকে আমি একটি রেডিও
সেট দেব। তোমাদেরই রেডিও সেট ওটি। এরপর তুমি ঐ সেট দিয়ে তোমার দলের সাথে যোগাযোগ করে
বলবে- ‘এখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক, রিএনফোর্সমেন্ট টিমের কোন প্রয়োজন এখানে নেই’- ব্যস!
খুব সহজ না খেলাটা?”
-“এর থেকে অনেক সহজ একটা খেলা আমি বলছি-” – রাগত স্বরে
বলে উঠলেন কমাণ্ডার- “একবার আমার হাতদুটো খুলে দাও, তারপর আমি তোমায় দেখাব আমরা, হরিয়ানভিরা
কিভাবে শুয়োর মেরে থাকি-”
প্রচণ্ড রাগে ঝকমক করে উঠল কর্ণেল ইয়ুফেই-এর সবুজ চোখদুটি,
পুরো পাঁচ সেকেণ্ড তিনি খর চোখে তাকিয়ে রইলেন কমাণ্ডারের দিকে! তারপর পাশে দাঁড়িয়ে
থাকা হাইতাওয়ের দিকে মাথা নেড়ে কিছু একটা ইশারা করতেই-
কথা বলবার উত্তেজনায় কমাণ্ডার খেয়াল করেন নি- টেবিলের
ওপর ন্যস্ত তার বাম হাতের আঙুলগুলি প্রসারিত করে রাখা ছিল টেবিলের ওপর; এবারে নিজের
কোমর থেকে দীর্ঘ ছুরিখানি বের করে সেই আঙুলগুলি লক্ষ্য করে হাইতাও মারলেন ছুরির এক
কোপ! পরক্ষণেই কমাণ্ডারের বাঁ হাতের শেষ দুটি আঙুল কেটে উপড়ে গেল সমূলে; প্রচণ্ড ব্যথায়
সজোরে কাতরে উঠলেন তিনি!
-“হাইতাও, হাইতাও…এ তুমি কি করলে? তুমি তো দেখছি ওর শরীরের
সমস্ত রক্ত বার করে দেবে! আর তুমি কমাণ্ডার…তোমার মোটা খুলিতে এই কথাটি কি একবারও ঢুকছে
না কি নৃশংস আমার সহকারী এই ভদ্রলোকটি? ও তোমার আঙুল কেটে নেবে, তোমার হাত কেটে নেবে,
তোমার চোখ উপড়ে…ও তোমার আস্ত মাথাটাই কেটে নেবে…কিন্তু আমার কথা অনুযায়ী কাজ করলে আমি
কথা দিচ্ছি তোমায় আমি নিজের হাতে চাউমিন রেঁধে খাওয়াব…সত্যি! তুমি কি রাজি?”
পাশে বসে তখন বলির পাঁঠার মত ভয়ে কাঁপছিলেন নন্দীশ। রোমান
পূর্বপুরুষদের রক্ত-সম্বলিত এই খাপছাড়া কর্ণেল আর তার সাথীটি যে আস্ত নরখাদক এ বিষয়ে
আর কোন সন্দেহ নেই তার! নির্বিকার মুখে এত দ্রুত কাজটা করলেন দুজনে মিলে যেন তা অত্যন্ত
স্বাভাবিক! কি নৃশংস এরা!
কর্ণেলের প্রশ্নের উত্তরে অসীম যন্ত্রণা নিয়েও কোনমতে
মাথা নেড়ে সম্মতি জানালেন কমাণ্ডার; প্রীত হয়ে স্মিত হাস্যে বললেন কর্ণেল-
-“দেখেছেন, কত সহজ এই খেলাটা! আপনি আপনার আঙুলগুলি বাঁচাতে
পারতেন, তা না করে খামোখা- হাইতাও, এর অক্ষত হাতটি খুলে দাও, নাহলে উনি মাইকটিকে জায়গামতন
চেপে ধরবেন কিভাবে? আর প্লীজ…একটু ব্যাণ্ডেজ-”
কমাণ্ডারকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল- কি অসীম কষ্ট পাচ্ছেন
মানুষটি! যন্ত্রণায় কুঁকড়ে ছোট হয়ে গিয়েছে তার শরীর; ডানহাত দিয়ে বাঁহাতটিকে চেপে ধরে
অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি, গোঙাচ্ছেন প্রচণ্ড যাতনায়। এই অবস্থায় হাইতাও এগিয়ে
এসে নীচু হয়ে খুলতে গিয়েছিলেন কমাণ্ডারের হাতে পরানো হ্যাণ্ডকাফটি, খুলেও ফেলেছিলেন,
আর ঠিক এই সময়তেই একটি অদ্ভুত কাণ্ড করে বসেন কমাণ্ডার- হাইতাওয়ের কানটি মুখের সামনে
পেয়ে সজোরে কামড়ে ধরেন সেটিকে! যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠে নিজেকে ছাড়াতে চান হাইতাও,
অবশেষে ছাড়াও পান তিনি, কিন্তু ততক্ষণে-
কমাণ্ডারের মুখের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন কর্ণেল ইয়ুফেই
আর নন্দীশ দুজনেই; কি একটা জিনিষ আটকে ছিল তার মুখে, এবার থুঃ করে সেটি টেবিলের ওপর
ফেলতে দুজনেই দেখলেন- সেটি হাইতাওয়ের আধখানা কান! ঐ সময়ের মধ্যেই তার কান ছিঁড়ে নিয়েছিলেন
কমাণ্ডার!
নিজের ক্ষতস্থানটি চেপে ধরে বিজাতীয় ভাষায় চিৎকার করে
বেশ কিছুক্ষণ দাপাদাপি করে নিলেন হাইতাও, এবারে একটু ধাতস্থ হয়ে জ্বলন্ত দৃষ্টিতে তিনি
প্রথমে ফিরে তাকালেন কমাণ্ডারের দিকে! এরপর তিনি দ্রুতপদে এগিয়ে এলেন সামনে, একটানে
বসা অবস্থা থেকে দাঁড় করালেন তাকে, তারপর নিজের কোমরে রাখা ছুরির হাতলে হাত রাখলেন।
এবারে নন্দীশের দিকে ফিরে নিস্পৃহ গলায় কমাণ্ডার বললেন-
-“ভয় পেও না গোখলে!”
নন্দীশের বিহ্বল চোখের সামনে হাইতাও নিজের ছুরিটা বাগিয়ে
ধরে ঘুরিয়ে ধরলেন কমাণ্ডারের মুখটি নিজের দিকে, তারপর…তার গলাটার ওপর দিয়ে আড়াআড়িভাবে
ছুরিটিকে টেনে দিলেন একবার!
কয়েক মুহুর্ত্ত পরেই নিজের গলা চেপে ধরে কাঁপতে কাঁপতে
মেঝের ওপর পড়ে গেলেন কমাণ্ডার, সেখানে কয়েকটি ঝাঁকুনি দিয়ে স্থির হয়ে পড়ে রইল তার দেহ-
আপন রক্তস্নাত হয়ে! ভয়ংকর সেই দৃশ্য!! ছুরি টানবার সময়তেই অবশ্য মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন
নন্দীশ, তিনি আর তাকিয়ে থাকতে পারেন নি সেদিকে। যতক্ষণ মৃত্যুর দাপাদাপি চলেছিল, ততক্ষণ
মুখ ফিরিয়ে ছিলেন তিনি; সব থামতে এবারে সরাসরি কর্ণেলের মুখের দিকে তাকালেন নন্দীশ।
পুরো দৃশ্যটা নির্লিপ্ত চোখে দেখছিলেন কর্ণেল ইয়ুফেই;
কমাণ্ডারের দেহ স্থির হয়ে যেতে এবারে দাঁড়িয়ে থাকা হাইতাওকে এক পেল্লাই থাপ্পড় বসিয়ে
চৈনিক ভাষায় কি নির্দেশ দিলেন তিনি তা ঠিক বোঝা গেল না- চড় খেয়ে গালে হাত বুলোতে বুলোতে
সাক্ষাৎকার ঘরের বাইরে বেরিয়ে গেলেন হাইতাও। কমাণ্ডারের স্থির দেহটির দিকে একপলক তাকিয়ে
এবারে নন্দীশের দিকে ফিরে তিনি বললেন-
-“এই অনভিপ্রেত পরিণতির জন্য আমি দুঃখিত; আমার সহকারী
হঠকারী সিদ্ধান্তে এই কাজটি করে ফেলেছে, যদিও তোমাদের কমাণ্ডারেরও এরকম দুঃসাহসিক কাজটা
ঠিক হয় নি-”
-“আপনি বোধহয় খেয়াল করেন নি কর্ণেল-” – উঁচু, কঠিন গলায়
বলে উঠলেন নন্দীশ- “আপনার সহকারী বিনা কারণে ওর হাতের আঙুলগুলি কেটে ফেলেছিলেন-”
-“যাই হোক, ব্যাপারটি একটি দুঃখজনক পরিণতির মধ্য দিয়ে
যে শেষ হয়েছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই…এখন আপনার কমাণ্ডারের অসমাপ্ত কাজটি আপনাকেই করতে
হবে; রেডিও সেটটি আনতে বলি তবে?”
-“আমাদের এই ছোট ক্যাম্পটিকে ঘিরে আপনার এত আগ্রহ কেন?
এখানে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে আপনারা থাকতে চাইছেনই বা কেন?”
-“বুঝলাম না!”
-“না বোঝার মত বেকুব তো আপনি নন কর্ণেল! এই চেকপোস্টটি
চিনা আর্টিলেরির সাপোর্ট থেকে অনেক দূরে, ভারতীয় মূল ভূখণ্ডের কাছাকাছি। মানালি এখান
থেকে দুশো কিলোমিটারের মধ্যে, কাছাকাছি বৃহৎ একটি আর্মি ব্যারাক যেখান থেকে যেকোন সময়ে
রিজার্ভড সৈন্যরা চলে আসতে পারে, লো-অল্টিচিউড পাহাড়ি এলাকা, ফলে এয়ার-রেইড সম্ভব,
আপনাদের মত ‘যাদের না জানিয়ে অন্যের ফ্রিজে হাত দেওয়ার’ অভ্যাস রয়েছে তাদের জন্য বিশেষ
ব্যবস্থা করে রাখা আছে…আর্টিলেরি…আপনারাও জানেন এখানে টিঁকে থাকা কতটা কঠিন, তাও বিপদের
ঝুঁকি মাথায় নিয়ে এখানে পড়ে রয়েছেন, অবশ্যই আমাদের হোস্টেজ বানিয়ে- কেন?”
সাক্ষাৎকারের শুরুতেই কমাণ্ডারের বলা কথাগুলি মাথায় ঘুরছিল
নন্দীশের, এখন সেই কথার সূত্র ধরেই আচমকা প্রশ্নটি করে বসেন তিনি। এই হঠাৎ-প্রশ্নে
কিছুক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভেবে নিলেন কর্ণেল, তারপর যেন মনস্থির করে নিয়েই
নড়ে উঠলেন তিনি। দরজার কাছে গিয়ে কিছু একটা বলতেই তিনজন অস্ত্রধারী গার্ডস ঢুকে এল
ভিতরে। দুজন মৃত কমাণ্ডারের দেহটি নিয়ে চলে গেল বাইরে, শেষজন পোজিশন নিয়ে দাঁড়াল ঘরের
ভিতরে। মেঝেয় কাৎ হয়ে অবহেলায় পড়ে থাকা চেয়ারটিকে তুলে নন্দীশের উল্টোদিকে সেটিকে রেখে
তার ওপরে বসলেন কর্ণেল, এরপর নন্দীশের দিকে তাকিয়ে তিনি বলতে লাগলেন-
-“তোমাদের এই ক্যাম্পের অবস্থান আমাদের মিশনের পক্ষে অতীব
গুরুত্বপূর্ণ। তুমি শিক্ষিত লোক, হয়তো ব্যাপারটা বুঝতে পারবে…এই দেখ-”
==========================================================================
Feel free to listen to the voice narration of (Part8) here:
Want to stay updated? Like our page
You may twit us any time.
In case if you want to have a look into my profile on Pratilipi
RELATED POSTS:
MAHAKAALER MAJHE PART1 |
MAHAKAALER MAJHE PART2 |
MAHAKAALER MAJHE PART3 |
MAHAKAALER MAJHE PART4 |
MAHAKAALER MAJHE PART5 |
MAHAKAALER MAJHE PART6 |
MAHAKAALER MAJHE PART7 |
MAHAKAALER MAJHE PART9 |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমাদের ব্লগগুলি আপনাদের কেমন লাগছে? অবশ্যই জানান আমাদের-