সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

The Legacy of Ram: Prologue- Part4 (দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম: আদি পর্ব- অধ্যায়৪)- A mystery, post-apocalyptic fiction Bengali Novel series by Aritra Das

দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- আদি পর্ব (The Legacy of Ram- Prologue):  অধ্যায়৪  ( PART4 ) - A Bengali science fiction, mystery, suspense thriller and post-apocalyptic fiction novel series by Aritra Das, the Bengali writer   The Legacy of Ram: Prologue (আদি পর্ব) Part4 [দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- আদি পর্ব (প্রলগ) গল্পটির প্রথম তিনটি পর্ব প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে, পেজে গল্পের শেষে অন্যান্য লিঙ্কগুলি পাওয়া যাবে। অবশ্যই পড়বেন] দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম: আদি পর্ব- অধ্যায়৪ অধ্যায়৩ থেকে শেষের কিছুটা অংশ- -“অভিযুক্ত… দ্যূহ… অভিযুক্ত… দ্যূহ… দ্যূহ…” একটি কথাই পর্যায়ক্রমে উচ্চারণ করে চলেছে ‘মদন’! অস্পষ্টভাবে ‘ব্যূহ’ কথাটি মহর্ষির কানে শোনাল ‘দ্যূহ’। কিন্তু সেদিকে তখন মন নেই তাঁর, তিনি শুধু বিস্মিত এই ভেবে যে এই আদিম মানব দম্পতি তা হলে কথা বলতেও সক্ষম! তিনি আবিষ্ট হয়ে তাকিয়েই থাকলেন তাদের দিকে। -“বিচারকরা সকলেই আপনার জন্য অপেক্ষমান, মহর্ষি! চলুন, আর বেশি দেরি করা উচিৎ হবে না। আমি উপযাচক হয়ে এগিয়ে এসেছিলাম আপনাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আসুন।” -“আমাকে পথ দেখান, ভগবান!”   মাথা নীচু করে ভগবান শ্রীবি

A Confession from the Writer's End on the Series of The Legacy of Ram- A Bengali science fiction action-adventure and Suspense novel by Aritra Das, the Author

দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- নিঃসঙ্গ যাত্রার সূচনা সম্পর্কে আমার কিছু কথা 

পর্ব১- সমগ্রটি বিষয়ে কিছু কথা, প্রেক্ষাপটের না বলা ইতিহাস

- © অরিত্র দাস


A Confession from the Writer's End on the Series of The Legacy of Ram- A Bengali science fiction action-adventure and Suspense novel by Aritra Das
Aritra Das- Author of 'The Legacy of Ram'


'দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম' উপন্যাসসমগ্রটির মূল ধারাটি কি নিয়ে তা জানতে চান? দেখুন গল্পের প্লট নিয়ে 'আমার আলোচনা' এখানে

‘লেগ্যাসি অফ্ রাম’- এই সমগ্রটির প্রায় সবকটি খণ্ডই ইতিমধ্যে আপলোড করে রাখা আছে ‘প্রতিলিপি’তে, শেষ খণ্ডটির আপলোডিং এখনও চলছে; চলতি মাস (মে ২০২২) শেষ হওয়ার আগেই এই কাজটিও হয়ে যাবে, এর অর্থ- সমগ্রটি সম্পূর্ণ আকারে আপলোডেড হয়ে থাকবে ‘প্রতিলিপি’তে।

এখনও অবধি আপনাদের দিক থেকে যা সাড়া পেয়েছি তাতে আমি…সত্যি বলতে কি, একটু হতাশই বলব।

‘দ্যা লেজেণ্ড অফ্ রাম’ এবং তার অনুসারী সমগ্র ‘দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম’- এই সমগ্রদুটিকে লেখার কাজটা সত্যি বলতে কি, একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেছিলাম আমি। দীর্ঘদিন ধরে প্রাচীন অপার্থিবদের নিয়ে নাড়াঘাঁটা করে এই সংক্রান্ত তত্ত্বটিকে প্রথমে বুঝতে হয়েছিল; এরপরেও যে দীর্ঘ সময় লাগে তা ছিল মূলতঃ সলতে পাকানোর পর্ব! যা অর্জন করেছি বিভিন্ন সময়ে অনুসন্ধান করে, তাকে সাজিয়ে-গুছিয়ে নিয়ে একটি চিত্ররূপ আকারে প্রকাশ করতে হবে যে! কাজটি মোটেও সহজ ছিল না, একে সহজ করে নিতে হয়েছে, নয়তো ‘শিব গড়তে বাঁদর’ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল বিরাট। এই সমগ্রদুটি ও তাদের অনুসারী সমগ্রগুলিকে একদমই ভিন্ন, স্বকীয়, ও মৌলিক রাখতে হবে; আমার চরিত্রগুলি হবে একদম আমি যেরকম চাইছি, সেরকম, অন্য কারোর মত নয়- এই দিকে বরাবর দৃষ্টি রেখে চলতে হয়েছে আমায়!


Know about the Upcoming Bengali Historical fiction Novel 'Duranta Ghurni- MahaShongbarter Majhkhane'


এই প্রসঙ্গ ধরেই বলি- দুটি ভিন্ন সময়কালকে প্রেক্ষাপটে রেখে তৈরি হওয়া এই পৃথক দুটি সমগ্র কিন্তু সত্যিই একেবারে মনের মত হয়েছে; একদম স্বকীয়, নিজ মস্তিষ্কপ্রসূত, এবং এযাবৎকাল সারা বিশ্বে যত অদ্ভুত, আধিদৈবীক ঘটনা ঘটেছে হতে পারে তার একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা। এই ব্যাখ্যা কিন্তু সম্পূর্ণ মস্তিষ্কপ্রসূত, কল্পনা, বাস্তবের সাথে কোথাও কোন মিল থেকে থাকলে তা নিছকই দূর্ঘটনা।

‘দ্যা লেজেণ্ড অফ্ রাম’ সমগ্রটি এতটা কষ্টসাধ্য হয় নি। যারা মূল আদিকাব্যটি পড়েছেন তারা জানেন এর একটি বড় গুণ- এর সরল উপস্থাপনা! জটিল বিষয়গুলিকে এত সুন্দরভাবে, এত সরলভাবে তুলে ধরা হয়েছে এর মধ্য দিয়ে যে একজন শিশুর মনেও সহজে দাগ কেটে গিয়েছে সম্পূর্ণ মহাকাব্যটি! একে প্রেক্ষাপটে রেখে যে ঘটনাক্রম সাজিয়েছি তাতে মূলতঃ গন্ধর্বদের উথ্থানপর্ব দেখানো হয়েছে। দেবতাদের সৃষ্ট চারটি উন্নততর প্রজাতি- দানব, রাক্ষস, গন্ধর্ব ও মানব (এই মানবরা কিন্তু আধুনিক চেতনাসম্পন্ন ‘সেপিয়েন’ গোষ্ঠী নয়, বরং এরা ‘প্রি-নিয়াণ্ডারথাল’ বা ‘হোমো ইরেকটাস’ গোষ্ঠী হওয়াই সম্ভব, যাদের সাথে বানরদের অঙ্গসংস্থানিক সাদৃশ্য অত্যন্ত বেশি) । এই চারটি প্রজাতির মধ্যে ‘যোগ্যতমের নির্বাচন’ সূত্র ধরে প্রথমেই কেটে যায় দানবগোষ্ঠী; অপরদিকে তুলনামূলকভাবে উন্নততর রাক্ষসপ্রজাতির সঙ্গে অস্তিত্বরক্ষার লড়াইতে নামতে হয় সদ্য চেতনা ও সভ্যতার আলোকে আলোকিত গন্ধর্বদের। রাক্ষসদের অবশ্য একটি বড় অপরাধও ছিল- বিভিন্ন কারণে দেবতাদের বিরোধিতায় তাঁদের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নেন রাক্ষসরা, ফলে আসন্ন বিপদ খণ্ডণ করবার উদ্দেশ্যে রাক্ষসধ্বংসের জন্য দেবতারা সাহায্য নেন গন্ধর্বদের; এই গন্ধর্বরা আবার ‘অসভ্য’ মানবগোষ্ঠীকে পাশে নিয়ে শুরু করেন রাক্ষসদের বিরুদ্ধে মহাসংগ্রাম। রাক্ষসদের নেতৃত্বে থাকেন রাবণ, গন্ধর্বদের নেতৃত্ব দেন বীরভদ্র। এই আমরণ সংগ্রামে দেবতাদের কৃপায় অবশেষে জয়ী হন বীরভদ্র; বিভিন্ন দশায় ক্ষয় পেতে পেতে অবশেষে বিলুপ্ত হয়ে যায় রাক্ষসপ্রজাতি।

বহুযুগ পরে মহর্ষি মার্কণ্ডেয়র কাছ থেকেএই ঘটনাবলীর বিবরণ পান মহর্ষি বাল্মীকি; এই বিবরণের ভিত্তিতে, এবং নিজের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া আর্য-অনার্য যুদ্ধের ভয়াবহতা ও শোচনীয় পরিণামের সাথে সাযুজ্য রেখে তিনি সৃষ্টি করেন কালজয়ী এক মহাকাব্য- সৃষ্টি হয় কালজয়ী এক অলৌকিক লোকগাঁথা!


Who is Aheem, and what is going on with him? Read the first part of the story 'Mahakaaler majhe' part1 now!


যেমনটি আগেই বলেছি- ‘লেজেণ্ড’ পর্বে সেরকম কোন অসুবিধাই যে বোধ করতে হয় নি তার অন্যতম প্রধান কারণ – বিষয়বস্তুর সারল্য! একরৈখিক ঘটনাবলীর মধ্যদিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়েছে উপাখ্যান, সরলরৈখিকভাবে।

কিন্তু আক্ষরিক অর্থে পরিশ্রম হয়েছে ‘লেগ্যাসি’ পর্বটি লিখতে গিয়ে!

এই সমগ্রটির নেপথ্যে অনুপ্রেরণা যে মহাকাব্যটি, তার ঘটনাবলী বহুমুখী, বিবিধ ধারায় বিভক্ত, চরিত্রগুলি অনেক বেশি জটিল, সংখ্যাও অনেক বেশি, এবং…প্রতিটি চরিত্রকে ভিন্নভাবে মনস্তত্বগতভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে! নিজস্ব কোন পৃথক ধারার গল্প না টেনেও যদি শুধুমাত্র চরিত্রগুলিকে বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলেও এটি কলেবরে বিপুল হয়ে যাবে। আমার পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নিরর্থক, কারণ এই মহাকাব্যের চরিত্র বিশ্লেষণ করবার মত প্রজ্ঞা আমার নেই, আর তাছাড়া- অনেক যোগ্য ও সমধিক শিক্ষিত লেখক এই পুরাণগাঁথার চরিত্র বিশ্লেষণ অতীতে বহুবার করে গিয়েছেন যা সাহিত্যকে পুষ্ট করেছে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। অনর্থক সংখ্যাবৃদ্ধি করে কোন লাভ নেই!

মনে রাখা প্রয়োজন- ‘জয়সংহিতার কোন পকেট এডিশন হয় না’।

পড়ুন 'দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম উপন্যাস-সমগ্রের পাঁচটি স্মরণীয় মুহুর্ত্ত' সম্পর্কে লেখকের নিজস্ব মতামত এখানে

প্রথম থেকেই আমার উদ্দেশ্য অন্য; প্রাচীন অপার্থিবদের তত্ত্বের আলোকে আমাদের পুরাণকে একটু ফিরে দেখা; রূপক ও কল্পনার মিশেলে (অথবা হয়তো সত্যিই ইতিহাস, যার নির্মাণ আধুনিক মানবসমাজের অনেক আগে) তৈরি হওয়া আমাদের মহাকাব্যগুলিকে একটু তলিয়ে দেখা, খোঁজবার চেষ্টা করা এই কথামালার নেপথ্যে কি লুকিয়ে রয়েছে যা আমাদের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত? এ কথা মনে রাখা প্রয়োজন- সময়কে সুশৃঙ্খলভাবে ভেঙে তাকে একটি রূপ দেওয়া বিষয়টি কিন্তু অনেকটাই নবীন, কিন্তু সমগ্র মানবজাতির ইতিহাস কিন্তু লক্ষাধিক বছর প্রাচীন! এর অর্থ- মানবসভ্যতার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস প্রায় পচানব্বুই শতাংশ, যা কিন্তু আমাদের সময়সারণিতে আর ফেরৎ আসবে না! হতেও পারে- রূপকের আড়ালে লুকিয়ে ‘যারা আমাদের আগে পৃথিবীতে এসেছিলেন’ তাদের একটি জীবন্ত ইতিহাস! আপাতত, ‘কল্পনা বিনে গতি নাই’!

একটি কথা প্রথমেই স্বীকার করে নেওয়া ভালো- ‘দ্যা লেজেণ্ড অফ্ রাম’ এবং তার অনুসারী সমগ্র ‘দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম’- দুটিরই কিন্তু প্রেক্ষাপট দুটি মহাকাব্য সৃষ্টির অনেক আগে, এমন একটি সময় যখন চারটি পৃথক সভ্যতাই একত্রে সহাবস্থান করত। কাজেই কিছুটা সাদৃশ্য থাকলেও বাকি পুরোটাই যে বৈসাদৃশ্যমূলক হবে এ কথা বলাই বাহুল্য! এবং আরেকটি কথা…এটি আমি বারংবার বলব- ঘটনাশৃঙ্খল কিন্তু সম্পূর্ণ কাল্পনিক, বাস্তবের সাথে এর কোন মিল নেই; ঘটনাশৃঙ্খল সম্পূর্ণ ভাবে লেখকের মস্তিষ্কপ্রসূত।


Who is Nandish? How is he connected to Aheem? Can he really see him? Find the answer on 'Mahakaaler Majhe' Part3...


বিধিবদ্ধভাবে ‘লেগ্যাসি’ গল্পের প্যাটার্নটিও কিন্তু অনেক বেশি জটিল। এখানে সমগ্রটি দুটি পৃথক, সমান্তরাল শাখা মেনে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছে। প্রথম শাখাটি গন্ধর্বদের সময়, যেখানে গল্প এগোচ্ছে ‘জয়সংহিতা’র সাথে কিছু মূলগত সাদৃশ্য ধরে রেখে। কিন্তু দ্বিতীয় শাখাটি মহর্ষি ব্যাসদেবের সমসাময়িক; মহর্ষি ব্যাসদেব, অর্থাৎ আধুনিক চেতনাসম্পন্ন সুসভ্য মানুষদের সময় যখন মানুষ ধীরে ধীরে গড়ে তুলছে শিল্প-শিক্ষা-সংস্কৃতি, গড়ে উঠছে সমাজ ও সুসংহত সমাজব্যবস্থা, মানুষ চিন্তা করছে ‘প্রাণ’ ও ‘প্রাণের উদ্দেশ্য’ নিয়ে, স্থাপত্য-ভাষ্কর্য-চিত্র ও বহুবিধ ললিতকলাগুলি ধীরে ধীরে জমাট বাঁধছে, আপাতদৃষ্টিতে যার সাথে দৈননন্দিন কাজের কোন সাদৃশ্যই নেই। মানবসভ্যতার এই পর্যায়ের উন্নততর ধীশক্তির অধিকারী মহর্ষি ব্যাস মার্কণ্ডেয় মুনির কাছ থেকে শুনছেন পূর্ববর্ত্তী উন্নততম প্রজাতি গন্ধর্ব গোষ্ঠীর দিনরাতের বারোমাস্যা; তাদের উন্নত প্রযুক্তি, তাদের উন্নততম জীবনযাত্রার মান, দেবতাদের সাথে তাদের দৈননন্দিন সখ্যতা, এবং- তাদের সবংশে ধ্বংসের করুণ কাহিনি! মহর্ষি ব্যাস নিজেও ভুক্তভোগী; মেকি আত্মগরিমা ও অপরিসীম অহংবোধের কারণে তিনি নিজের সৃষ্টি করা বংশটিকে তলিয়ে যেতে দেখেছেন রসাতলে অন্ধকারে, একে অপরের বিরুদ্ধে ভয়ংকর এক প্রাণঘাতী যুদ্ধে! দুটি পৃথক সময়কে তাদের সকল পরিণতিসমেত একজায়গায় গ্রন্থিত করে কালজয়ী এক কথামালা নির্মাণের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে তাঁর ওপর; তিনি কি পারবেন এই দুঃসাধ্য কার্যটি সম্পন্ন করতে?

আগেই বলেছি- ‘দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম’ সমগ্রটিকে লেখা মোটেও সহজ কাজ ছিল না; পাঁচটি খণ্ডে বিভক্ত এই সমগ্রটির দুটি সমান্তরাল শাখার মধ্যে প্রায় অদৃশ্য হয়ে মিশে একটি তৃতীয় শাখা, কিন্তু এই ‘প্রায় অদৃশ্য’ শাখাটি কিন্তু সমান্তরাল নয় মোটেও, বরং এর প্রান্তভাগদুটি আড়াআড়িভাবে ছুঁয়ে রয়েছে অপর দুটি শাখাকেও! এই তৃতীয় ভেদক শাখাটিই এই গল্পের আসল চমক; এই ক্ষুদ্র শাখাটির ওপরেই ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে সমগ্রটির সাতকাহন! মহর্ষি ব্যাসদেবের ‘পরিচিতি’ সম্বলিত এই শাখাটির ওপরেই দাঁড়িয়ে এই উপাখ্যানের মূল বিষয়বস্তু। কি সেই পরিচিতি?

-“সেটি কি, মহর্ষি মার্কণ্ডেয়?”- উদ্গ্রীব হয়ে প্রশ্ন করলেন মহর্ষি ব্যাসদেব। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে তিনি একটু ধোঁয়াশার মধ্যে ছিলেন, তবে আগাগোড়া তিনি ভিতরে ভিতরে কৌতুহলী হয়ে উঠেছিলেন নিজের ‘স্বাস্থ্যপরীক্ষার ফল জানতে।

উত্তরে মহর্ষি ব্যাসদেবের দিকে ক্ষণিকের জন্য তাকালেন মহর্ষি মার্কণ্ডেয়, তারপর বললেন-

-“নাঃ! এখনই কোন কথা প্রকাশ করা উচিৎ হবে না। আচ্ছা মহর্ষি ব্যাস, একটি কথার উত্তর দিন তো! আপনার বংশ সম্বন্ধে, মানে আপনার পিতা, আপনার মাতাআপনার বংশের পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে সংক্ষেপে একটু আলোকদান করুন আমায়-”


আজকের থেকেই শুরু করা উচিৎ এই কল্পনার জগতে ডানা মেলে উড়ে চলা; পরীক্ষা করে দেখা হোক এই কল্পনাকে, যা হয়তো বাস্তবের চেয়েও বেশি কঠিন! শুরু হোক- ‘দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম’- গন্ধর্বদের পতনের এক অশ্রুতপূর্ব উপাখ্যান!

 

 

‘দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম’ সমগ্রের পাঁচটি খণ্ড, যা আপনারা পাবেন ‘প্রতিলিপি’ প্রোফাইলে-


For more Information, Like and Follow our Page

You may twit us here

In case if you wish to check my works on Pratilipi

You may watch our vocal narration on my YouTube channel


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

The Legacy of Ram: Prologue- Part4 (দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম: আদি পর্ব- অধ্যায়৪)- A mystery, post-apocalyptic fiction Bengali Novel series by Aritra Das

দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- আদি পর্ব (The Legacy of Ram- Prologue):  অধ্যায়৪  ( PART4 ) - A Bengali science fiction, mystery, suspense thriller and post-apocalyptic fiction novel series by Aritra Das, the Bengali writer   The Legacy of Ram: Prologue (আদি পর্ব) Part4 [দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- আদি পর্ব (প্রলগ) গল্পটির প্রথম তিনটি পর্ব প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে, পেজে গল্পের শেষে অন্যান্য লিঙ্কগুলি পাওয়া যাবে। অবশ্যই পড়বেন] দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম: আদি পর্ব- অধ্যায়৪ অধ্যায়৩ থেকে শেষের কিছুটা অংশ- -“অভিযুক্ত… দ্যূহ… অভিযুক্ত… দ্যূহ… দ্যূহ…” একটি কথাই পর্যায়ক্রমে উচ্চারণ করে চলেছে ‘মদন’! অস্পষ্টভাবে ‘ব্যূহ’ কথাটি মহর্ষির কানে শোনাল ‘দ্যূহ’। কিন্তু সেদিকে তখন মন নেই তাঁর, তিনি শুধু বিস্মিত এই ভেবে যে এই আদিম মানব দম্পতি তা হলে কথা বলতেও সক্ষম! তিনি আবিষ্ট হয়ে তাকিয়েই থাকলেন তাদের দিকে। -“বিচারকরা সকলেই আপনার জন্য অপেক্ষমান, মহর্ষি! চলুন, আর বেশি দেরি করা উচিৎ হবে না। আমি উপযাচক হয়ে এগিয়ে এসেছিলাম আপনাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আসুন।” -“আমাকে পথ দেখান, ভগবান!”   মাথা নীচু করে ভগবান শ্রীবি

What is the story-plot of the series? A Summery from the Writer's End of the Series of The Legacy of Ram- A Bengali science fiction action-adventure and Suspense novel by Aritra Das, the Author

দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- নিঃসঙ্গ যাত্রার সূচনা - গল্পের প্লট ও এই প্রসঙ্গে কিছু কথা আপনাদের সাথে - © অরিত্র দাস Discussing the plot of The Legacy of Ram by Aritra Das এর আগের ব্লগটিতে আলোচনা করা হয়েছিল মূলতঃ ‘লেগ্যাসি’ সমগ্রটির চরিত্রগুলির নামকরণ নিয়ে বিশদে। এই ব্লগে আমি গল্পটির প্লট নিয়ে দু-চার কথা আলোচনা করব; তবে আলোচনা যত দীর্ঘই হোক না কেন, যা বলব তার থেকে বাকি থেকে যাবে অনেক বেশি! এতটা দীর্ঘ, জটিল, বিভিন্ন তত্ত্ব ও প্রাচীন সভ্যতাগুলিকে ছুঁয়ে যাওয়া ঘটনাবহুল উপন্যাস এই ‘লেগ্যাসি’ পর্বটি যে একে একটি সীমিত ক্ষেত্রে বেঁধে রাখা খুবই কষ্টসাধ্য কাজ!   এই প্রসঙ্গে প্রথমেই যে কথাটি স্বীকার করে নেওয়া ভাল তা হল- আমি মহাকাব্যের একটি অন্ধ অনুকরণ গড়ে তুলতে চাই নি!   এই ছোট্ট কথাটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে অনেকগুলি কথা চলে আসে মনে, কিন্তু সেই সব কথার পুরোটা এই একটি ব্লগের মধ্যে লিখে ফেলা সম্ভব নয় (যেমনটা প্রথমেই উল্লেখ করেছি), তাই আমি যা লিখব, তা হবে আমার সেই চিন্তাধারার একটি নির্যাস মাত্র, পুরো বিষয়টি কিন্তু নয়।   আরও একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন, ‘লেজেণ্ড’ বা ‘লেগ্যাসি’- কোনটিই কিন্তু কোন

A Confession from the Writer's End Part2 on the Series of The Legacy of Ram- A Bengali science fiction action-adventure and Suspense novel by Aritra Das, the Author

দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- নিঃসঙ্গ যাত্রার সূচনা প্রসঙ্গে দু-চার কথা পর্ব২- বিবিধ চরিত্রগুলির নামকরণ - © অরিত্র দাস On the new novel 'The Legacy of Ram' এর আগের আলোচনায় মোটামুটি ‘লেগ্যাসি’ পর্বটির মূল ধারাটি আপনাদের কাছে তুলে ধরেছিলাম; এই পর্বে আমি আলোচনা করব এই সমগ্রটিতে ব্যবহার করা নামগুলি প্রসঙ্গে। প্রসঙ্গক্রমে আপনাদের জানাই- মূল গল্পটি প্রাথমিকভাবে ভেবে রাখা হয়েছিল আগেই, কিন্তু ‘সলতে পাকানোর পর্বে’ এসে যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় পড়েছিলাম- চরিত্রগুলির নাম, ও সঙ্গতি মিলিয়ে আনুষঙ্গিক কিছু স্থান বা অন্যান্য বিষয়ের নামকরণ। একটু খোলসা করলে বিষয়টি আশা করি পরিষ্কার হবে।   যেমনটি আমি আগেও বলেছি- ‘লেগ্যাসি’ সমগ্রটিতে গল্প কিন্তু এগিয়ে চলেছে পৃথক, সমান্তরাল দুটি খাতে। এই দুটি খাত কখনোই একটি বিন্দুতে এসে মিলিত হতে পারে না, কারণ- এদের সময়কাল ভিন্ন। একটি খাত গন্ধর্বদের নিয়ে, আধুনিক মানব বিকাশের অনেক আগের সময় সেটি; এমন একটি সময়কাল যখন গন্ধর্বরা প্রযুক্তিগতভাবে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি। কিন্তু- তাদের বিলাসিতা, জীবনের মূল্যবোধ সম্পর্কে পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গী এবং স্বজাতির প্রতি ভ্রান্ত নী