Mahakaaler Majhe- Part12| Historical audio story in Bengali |Paranormal fiction | Aritra Das | Suspense-thriller
Mahakaaler Majhe- Part12
-Historical audio story in Bengali by Aritra Das
Mahakaaler Majhe Part12 Cover Page |
Mahakaaler Majhe is paranormal, historical, suspense thriller audio story in Bengali; original fiction written by Aritra Das and presented by Mystic Tune of Tales. The entire storyline is based on two different souls belonging to two different timelines, but they can sneak through lives of each other and finally they meet up in an unusual place- but, how? A must-see Bengali historical audio story series in classical genre. This is part12 of the story. Watch till the end.
Read and Watch out the Part11 of the Bengali Historical fiction 'Mahakaaler Majhe' here!
Into the incidence finally...it doesn't seem to be the same way as it seemed earlier! The matter is much complicated, the situation is deadly, and the opponent is well-organised; however, it was the most cunning one to stand face to face! It was the most silent hunter to circle around its prey and kill ruthlessly. What happened down there into the rabbit's hole? Let's find out!
=================================================================
Story, Concept and Editing: Aritra Das
Graphics: Shri Biswanath Dey
Vocal Effect Assistance: Priti_Ghoshal_music
Narration- Aritra Das, Priti Ghoshal as Aheem
Background sound effect source: Mixkit, pixabay
===================================================================
What happened to the same story in Part9? Read it out here!
===================================================================
Watch what happened previously on Part10:
Part of the story so far read in Part12:
================================================================
মাটি ছুঁতেই আগে একপাক গড়িয়ে নিলেন আহীম; এতে তার নিজেরই
দেহের ভার ছড়িয়ে যাবে পুরো শরীরটা জুড়ে, ফলে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। মশালটা
হাত থেকে গড়িয়ে গিয়েছিল, সেটিকে চট্ করে আবার হাতে তুলে নিলেন তিনি; এই অন্ধকারের রাজত্বে
মশালের আলো নিভে যাওয়ার ঝুঁকি তিনি নিতে পারেন না; বিশেষ করে বিপদ যেখানে অন্ধকারের
মধ্য ওঁত পেতে রয়েছে! মশাল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আগে নিজের চারদিক দেখে নিলেন তিনি, তারপর
গর্ত্তের মেঝে ভালো করে পরীক্ষা করে দেখে একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস বেরোল তার মুখ দিয়ে। নেই,
রুংমালাইয়ের দেহ এখানে কোথাও পড়ে নেই; এই অভিশপ্ত গহ্বর যেন জীবন্ত গিলে নিয়েছে তাকে!
গর্ত্তের ভূমি মশালের আলোয় আরও একবার ভালো করে ঘুরে ঘুরে
পরীক্ষা করে দেখলেন আহীম; না! কোথাও কোন রক্তের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না, এর অর্থ মেয়েটি
আহত হয় নি। কিন্তু সে তবে গেল কোথায়?
মশালটি হাতে ধরে এদিক-ওদিক খুঁজে দেখছিলেন আহীম; হঠাৎ
একটা ব্যাপার দেখে শিউড়ে উঠলেন তিনি। দীর্ঘদিন বৃষ্টির জল জমে জমে কুয়োতে প্রবেশপথের
ঠিক নীচের নরম মাটিতে জংলা ঘাস কিছু গজিয়ে ছিল, সেখানে দুটি আগুপিছু পতনের চিহ্ন। এর
মধ্যে বড়টি তার নিজের, অপরটি বোঝা গেল রুংমালাইয়ের…দুটি ক্ষেত্রেই ঘাস দেবে গিয়েছে…এই
অবধি না হয় বোঝা গেল, কিন্তু…
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
Read out the Part8 of the story here!
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------মশালের আলোয় একটা কিছু সন্দেহ হওয়াতে মশালধরা হাতটি সামনের
দিকে বাড়িয়ে ধরলে আহীম- যা ভেবেছেন, ঠিক তাই! রুংমালাই-এর দেহটি যেখানে পড়েছিল তার
ঠিক সামনেই ঘাসের ওপর পরিষ্কার দুটি পায়ের ছাপ- বেশ বড় সেগুলির আকার! এর অর্থ-
রুংমালাই নীচে পড়ার পর খুব সম্ভবত অজ্ঞান হয়ে যায়। তার
দেহটি এখানেই পড়ে ছিল, এরপর সেই ‘অপদেবতা’ অকুস্থলে আসে, এবং অচেতন রুংমালাইকে বহন
করে নিয়ে যায়…কিন্তু কোথায়?
এতক্ষণ পায়ের নীচের দিকে দৃষ্টি ছিল আহীমের, এবারে গর্ত্তের
দেওয়ালের দিকে মশাল বাড়িয়ে ধরলেন তিনি। এতক্ষণে চোখে পড়ল গর্ত্তের ভিতরের দিকে চলে
যাওয়া অন্ধকার সুড়ঙ্গপথটির দিকে- প্রবেশপথের একেবারে উল্টোদিকেই ছিল সেটি; উত্তেজনা
ও আশংকায় এতক্ষণ ধরে ওটি চোখে পড়ে নি তার। ওপরের দিকে মুখ তুলে কুয়োয় প্রবেশের মুখটার
দিকে একবার তাকিয়ে দেখে নিলেন আহীম, তারপর সঙ্গে থাকা তূষের কিছুটা অংশ মশালে ফেলে
আগুনটাকে গমগমে করে নিয়ে এবারে এগিয়ে চললেন অন্ধকার সুড়ঙ্গপথটির দিকে…
সুড়ঙ্গপথের ভিতরে পরিবেশ একদম অন্যরকম!
এই পথটি বাইরের কুয়োর গর্ত্তের থেকে বেশ কয়েক আঙুল উঁচুতে-
ঢোকবার সময়তে বিষয়টি চোখে পড়েছিল আহীমের। এই কারণেই বোধহয় পথটির মধ্যে কোন জল ঢুকতে
পারে নি কোনদিনই, ফলে বেশ শুকনো, খটখটে গোটা পথটি। তবে আরও কয়েটি বিশেষত্ব রয়েছে এটির।
আড়ে-বহরে বেশ প্রশস্ত এই পথের দেওয়ালগুলিও বেশ মসৃণ, যেন ঘষে-মেজে ইচ্ছাকৃতভাবে মসৃণ
করা হয়েছে এটিকে। আর- একটি নির্দিষ্ট নতিকোণ মেনে পথটি যেন ঢালু হয়ে গিয়েছে নীচের দিকে।
গ্রামের লোকরা তার মানে ঠিকই অনুমান করেছিলেন, এটি সেই প্রাচীন জনগোষ্ঠির মাটির নীচে
তৈরি করা ‘পিঁপড়ের বাসা’-ই বটে, যার ঠিক মুখটাতেই নতুন জনগোষ্ঠির মানুষজন তাদের কুয়ো
নির্মাণ করতে গিয়েছিলেন। অতীতে এই পথটি হয়তো সরাসরি ভূপৃষ্ঠে এসে মিলত, পরে কোনভাবে
এখানকার ভূমি উঁচু হয়ে গিয়ে পথটি চাপা পড়ে মাটির নীচে! পাহাড়ের ভূমিরূপ রোজ পরিবর্তন
হয়!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
Read the Part7 of 'Mahakaaler Majhe'
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পথটি বেশ প্রশস্ত ও উঁচু, সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে চলতে এখানে
কোন সমস্যাই হচ্ছে না। মশালটিকে সামনের দিকে বাড়িয়ে ধরে ধীর পদক্ষেপে, সন্তপর্ণে এগোচ্ছিলেন
আহীম। একটা জায়গায় এসে একটু বেঁকে গিয়েছে পথটি ডানদিকে, তিনিও বেঁকতে যাবেন, এমন সময়-
একটা মৃদু আওয়াজে চমকে উঠে মাথা নামিয়ে বসে পড়তেই মাথার
ওপর দিয়ে একটি ভারি, মধ্যম আকৃতির পাথর উড়ে গিয়ে পিছনের দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে পড়ে রইল
সেখানেই! চমকে উঠে সামনের দিকে ঘাড় ঘোরালেন আহীম- মশালের আলোয় মনে হল যেন অন্ধকারে
একটি ছায়ামূর্ত্তি মৃদু নড়ে উঠে দ্রুতগতিতে মিলিয়ে গেল পিছনদিকে! পড়ে থাকা পাথরখণ্ডটিকে
এবার হাতে তুলে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখলেন তিনি- একটি মধ্যম আকৃতির সাধারণ পাথর, কিন্তু
এর মুখটি আবার ঘষে ঘষে সূঁচোল করা হয়েছে। এই বস্তু মাথায় লাগলে আর দেখতে হত না- অবধারিত
ভাবে মারা পড়তেন তিনি! পাথরটি হাত থেকে ফেলে দিয়ে ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগোতে লাগলেন
আহীম।
এই অপদেবতাটির পায়ের ছাপ মাটিতে পড়ে, আবার নিজেকে বাঁচানোর
পন্থা হিসেবে এটি অন্ধকারকে আশ্রয় করে আগত শত্রুর দিকে তাগ করে সূঁচোল পাথরখণ্ড ছুঁড়ে
মারে! এই অপদেবতাটি যে প্রাণী, আর সেটি যে প্রথম সারির শিকারি এই বিষয়ে কোন সন্দেহই
নেই। এখন দেখবার বিষয়- প্রাণীটি কি!
পথটি কিন্তু ক্রমশঃ আঁকাবাঁকা হয়ে উঠছে, আর এতক্ষণে পরিষ্কার
হয়ে উঠছে দুপাশে সারিবদ্ধ খুপড়িগুলি। এর সবকটিতেই মাথা বাড়িয়ে দেখেছেন আহীম; না, রুংমালাই
এর কোনটিতেই নেই! খুঁজতে খুঁজতে সোজা সামনের দিকেএগিয়ে চললেন আহীম, অবশেষে তিনি পৌঁছলেন
একটি তুলনামূলকভাবে প্রশস্ত অংশে। এখান থেকে সামনের দিকে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে
পথটি। কোন পথটি ধরে যাওয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তা করতে লাগলেন আহীম।
একটি বিষয় উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল আহীমকে ভিতর থেকে। তার
হাতের মশাল এতক্ষণে দপ্ দপ্ করা শুরু করেছে; এর অর্থ এখানে বাতাসের অভাব ঘটছে। আরও
একটি উদ্বেগের বিষয় হল- যে পথটি ধরে তিনি এখানে পৌঁছেছেন তা মোটের ওপর সরল হলেও মাঝে-মধ্যেই
সেখান থেকে সরু কিছু পথ বেরিয়ে গিয়েছে দুইধারে, খুপড়িগুলিকে বেড় দিয়ে ঘুরে সেই পথগুলি
কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে তা তিনি তলিয়ে দেখার সুযোগ পান নি। এখন হাতের আলো যদি ফিরবার
সময় নিভে যায়, আর তিনি যদি ভুল পথটি ধরে বসে থাকেন, তবে প্রাণসংশয় হয়ে উঠতে পারে! যা
করবার দ্রুত করতে হবে।
এ রকম সাতপাঁচ চিন্তা করছিলেন তিনি দাঁড়িয়ে, এমন সময় হঠাৎ চমকে উঠে খেয়াল করলেন- ডানদিকের পথের ঠিক মুখটাতেই যেন দাঁড়িয়ে এক ছায়ামূর্ত্তি; মশালের আলোয় আবছাভাবে তার মনে হল, বিরাট দীর্ঘ সেই মূর্ত্তিটি! বর্শাটাকে বাগিয়ে ধরে সেদিকে এগোতেই পথের মুখ থেকে অন্ধকারের দিকে সরে গেল ছায়াটি। আহীমও যাচ্ছিলেন সেদিকে, এমন সময় কি একটি কথা মনে হতে থমকে দাঁড়িয়ে গেলেন। প্রাণীটি তাকে দেখে পালিয়ে গেল কেন?
=========================================================================
Watch out the audio narration here:
=========================================================================
You may check out the Entire playlist on YouTube here
In case if you want the latest news and updates, here's the link to our page
Want to twit us? Here where you may find us on Twitter
You may want to visit my profile on Pratilipi
Until next part of the Historical fiction story 'Mahakaaler Majhe', it's time to say bye!!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমাদের ব্লগগুলি আপনাদের কেমন লাগছে? অবশ্যই জানান আমাদের-