Historical audio story in Bengali Paranormal | Mahakaaler Majhe- Part13 | Aritra Das | Suspense-thriller
Mahakaaler Majhe- Part13
-Historical, suspense Paranormal audio story in Bengali by Aritra Das
Mahakaaler Majhe Part13 by Aritra Das |
Mahakaaler Majhe is paranormal, historical, suspense thriller audio story in Bengali; original fiction written by Aritra Das and presented by Mystic Tune of Tales. The entire storyline is based on two different souls belonging to two different timelines, but they can sneak through lives of each other and finally they meet up in an unusual place- but, how? A must-see Bengali historical audio story series in classical genre. This is part13 of the story. Watch till the end.
কি হয়েছিল এর আগের পর্বে?
যে গ্রামটিতে আশ্রয় পেয়েছিলেন আহীম, সেই গ্রামের মানুষজনকে আশু ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে স্বেচ্ছায় তিনি রাজি হন টণ্ডুপের গ্রামের অপদেবতাকে নিধন করতে, অবশেষে তিনি চলেও আসেন কুখ্যাত সেই কুয়োটির কাছে, যেখানে মাটির নীচে আশ্রয় নিয়েছে সেই অপদেবতা! কিন্তু এখানে পৌঁছে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটে; দলপতির প্রধান অনুচর শ্রুং-য়ের মেয়ে রুংমালাই পড়ে যায় কুয়োতে! তড়িঘড়ি কুয়োর মধ্যে নেমে আসেন আহীম, কিন্তু বিষ্মিত হয়ে দেখেন- রুংমালাইয়ের দেহ নীচে কোথাও পড়ে নেই, এর অর্থ- অপদেবতা তুলে নিয়ে গিয়েছে সেই অচৈতন্য দেহ! কুয়োর ভিতরে একটি সুড়ঙ্গের মুখ খুঁজে পেয়ে সেই মুখটি দিয়ে প্রবেশ করে ভিতরে এক অদ্ভুত পাতালঘর আবিষ্কার করেন আহীম; সময় নষ্ট না করে রুংমালাইকে খুঁজে থাকেন তিনি। এরপর কি হবে? দেখুন এই পর্বে।
কি ঘটছে ভূগর্ভস্থ খুপড়িতে? পড়ুন 'মহাকালের মাঝে-পর্ব১২' এখানে
কি ঘটতে চলেছে পর্ব১৩-তে?
[পূর্বে প্রকাশিতর পর (পর্ব১২)]...
...এ রকম সাতপাঁচ চিন্তা করছিলেন তিনি দাঁড়িয়ে, এমন সময় হঠাৎ চমকে উঠে খেয়াল করলেন- ডানদিকের পথের ঠিক মুখটাতেই যেন দাঁড়িয়ে এক ছায়ামূর্ত্তি; মশালের আলোয় আবছাভাবে তার মনে হল, বিরাট দীর্ঘ সেই মূর্ত্তিটি! বর্শাটাকে বাগিয়ে ধরে সেদিকে এগোতেই পথের মুখ থেকে অন্ধকারের দিকে সরে গেল ছায়াটি। আহীমও যাচ্ছিলেন সেদিকে, এমন সময় কি একটি কথা মনে হতে থমকে দাঁড়িয়ে গেলেন। প্রাণীটি তাকে দেখে পালিয়ে গেল কেন?
দ্বিধা কাটিয়ে উঠে এবারে বাঁ দিকের পথটি ধরলেন আহীম। তার
মনে হল- ঐ অজ্ঞাত প্রাণীটি যেন ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে অন্যত্র কোথাও;
যেন সেটি চাইছে আহীম তার পিছু ধাওয়া করে সরে যাক এখান থেকে। নাহলে এই প্রশস্ত জায়গায়
অরক্ষিত ও অপ্রস্তুত আহীমকে দেখে সে পালিয়ে যাবে কেন?
পড়ুন 'মহাকালের মাঝে পর্ব১১'
বাঁদিকের পথটি সোজা একটুখানি এগিয়ে গিয়ে ধাক্কা মেরেছে
একদম শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সুপ্রশস্ত খুপড়িতে; মশালের স্তিমিত হয়ে আসা, কাঁপতে
থাকা আলোয় মনে হল এই খুপড়িটি আড়ে-বহরে বিরাট একটি ঘরের মত! এটিতে সোজা প্রবেশ করলেন
আহীম, আর একটু এগোতেই-
স্থানুবৎ হয়ে যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়লেন
তিনি। গোটা ঘরময় ছড়িয়ে অনেকগুলি, অসংখ্য আধখাওয়া, ভাঙাচোরা কঙ্কাল, বিভিন্ন ভঙ্গিমায়
অন্তিম শয়ানে শায়িত তারা! বোঝাই যাচ্ছে যে মৃত্যুর আগে বেশ ভালোরকম যুদ্ধ হয়েছিল এখানে,
প্রচণ্ড বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করতে করতে অজ্ঞাত শত্রুর হাতে প্রাণ দেন এই যোদ্ধারা,
তারপর শেষ শয়ানে লুটিয়ে পড়েন মাটিতে! কয়েকটি কঙ্কালের ঘাড়ের কাছটায় হাড় ভাঙার স্পষ্ট
নিদর্শনও চোখে পড়ল তার; এতক্ষণে বুঝতে পারেন দলপতি টুণ্ডুপের অনুচরের বলা কথাগুলির
অর্থ! বাস্তবিকই এই প্রাণী পিছন দিক দিয়ে আক্রমণ করে শিকারের ঘাড় লক্ষ্য করে প্রবল
আঘাত হানে, আর তার ফলাফল যে কি, তা তো এই মৃতদেহগুলি থেকে পরিষ্কার!
নিজের মাথায় বসানো কাঁটার মুকুটটিতে একবার হাত বুলিয়ে
নিলেন আহীম। বেশ বুদ্ধি করে এই মুকুটটি বানানো হয়েছে বলতে হবে। এতে যে সূঁচ্যাগ্র কাঁটাগুলি
বসানো হয়েছে তা বাইরের দিকে ঘোরানো, আর মুকুটটি এমনভাবে তৈরি করা যাতে গলাসমেত তার
আস্ত মাথাটিই সুরক্ষার বেড়াজালের ভিতরে। মনে মনে একটু আশ্বস্ত হলেন আহীম, মশালের আলো
ঘুরিয়ে ধরলেন আরেকদিকে। কিন্তু…এ কি!!
মশাল যেদিকে ঘুরিয়ে ধরেছেন আহীম, সেদিকে দুটি পাশাপাশি
আধখাওয়া নরকঙ্কালের মাঝখানে একটি তৃতীয় মানুষের দেহ; এই প্রথম একটি সম্পূর্ণ মৃতদেহ
চোখে পড়ল তার, হোক না কঙ্কাল, তাও তো সম্পূর্ণ এটি! এই কঙ্কালের পরণে ছেঁড়াখোঁড়া কিছু
বসন, কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় তার ডানহাতটি। মৃত্যুর সময় তার দেহটি পড়েছিল এমনভাবে যে ডানহাতটি
গিয়ে ঠেকে দুটি কঙ্কালের মাঝখানে, তাদের মাঝখানে গোঁজে মত আটকে যায় হাতটি, ফলে ঐ একই
হাতে ধরা তলোয়ারটি উঁচিয়ে থাকে সামনের দিকে, সোজা, ভূপতিত সম্পূর্ণ দেহসমেত ঐ ব্যক্তির
মৃত্যুর পরেও, তার কঙ্কাল দশাতেও! কেউ এসে ঠেলে না সরালে ঐ হাত নীচে নামবে না কখনও,
ঐ একইভাবে থাকবে ওটি, অদৃশ্য কোন শত্রুর দিকে হাতের অস্ত্র উঁচিয়ে!
কি দেখেছিলেন নন্দীশ, স্বদেশের সীমানা গার্ড দেওয়ার সময়? পড়ুন 'মহাকালের মাঝে- পর্ব৯'
আরও একটি কারণ ছিল যা আহীমকে বিষ্মিত করে তুলেছিল, ঐ ডানহাতে
একট অঙ্গুরীয় দেখতে পেয়েছিলেন তিনি, সেই একই অঙ্গুরীয়, যা তিনি দেখেছিলেন পুরোহিত পদবিশিষ্ট
দলপতি টুণ্ডুপের সেই অনুচরটির হাতে! তবে কি এই মৃত ব্যক্তিটি আর ঐ পুরোহিত- দুজনে একে
অপরের আত্মীয়? এরা কি বাপ-ছেলে? তাকে বলা দলপতি টুণ্ডুপের অনুচরটির শেষ কথাগুলি মনে
করবার চেষ্টা করলেন আহীম…কিছু একটা রহস্য লুকিয়ে ছিল তার শেষ কথাগুলির মধ্যে, যা তিনি
বলবেন বলেছিলেন আহীম এই অন্ধকূপ থেকে ফেরৎ আসবার পর…এই কি সেই রহস্য? ওনার নিজের কোন
স্বজনবিয়োগের করুণ কোন আখ্যান?
বিষয়টি আরও ভালো করে বোঝবার জন্য কঙ্কালটির আরও কাছে সরে
এলেন আহীম, মশালের আলো আরও স্তিমিত হয়ে এসেছে, এই ক্ষীণ আলোয় কিছু বোঝা কঠিন। শায়িত
কঙ্কালটির দিকে দুই পা এগিয়ে আসতেই-
আলো কম ছিল, আর আহীমের সমস্ত মনোযোগ আকৃষ্ট ছিল কঙ্কালটির
দিকে, ফলে অন্য কোনদিকে তিনি সেরকম লক্ষ্য করতে পারেন নি। এখন দুই পা এগিয়ে আসতে হঠাৎ
মনে হল- কঙ্কালের মাথার নীচে নীচু, ঢালু অংশটাতে কি যেন নড়ে উঠল একবার; চমকে সেদিকে
মশাল ঘোরাতেই চোখে পড়ল- গুটিসুটি মেরে পড়ে থাকা রুংমালাইয়ের অচেতন দেহটি! তাকে দেখতে
পেয়েই একটি প্রকাণ্ড স্বস্তির শ্বাস ফেলে এবারে তাকে লক্ষ্য করে এগোতে যাবেন আহীম,
এমন সময়…
মশালের আলোর শিখা কাঁপতে কাঁপতে নিভে গেল ঠিক এই সময়েই;
মুহুর্ত্তে গাঢ় অন্ধকারে ডুবে গেলেন আহীম!
কি কারণে কর্ণেল ইয়ুফেই আক্রমণ করেন ভারতীয় চেকপোস্টটিকে? পড়ুন 'মহাকালের মাঝে- পর্ব৮'
অন্ধকারের মধ্যে যে কাজটি প্রথমেই করলেন তিনি তা হল- ধপ্
করে নিজের অবস্থানে হাঁটু গেড়ে বসে পড়া। এই প্রাণীটি যদি আক্রমণ করে অন্ধকারের সুযোগ
নিয়ে তবে অন্তত আত্মরক্ষার কিছুটা সময় পাওয়া যাবে! এবারে দ্রুতহাতে কোমরের গেঁজ থেকে
তিনি বের করলেন চকমকি পাথরের টুকরো, তূষ। দ্রুত মশালটিকে জ্বাললেন তিনি, তারপর প্রদীপ্ত
মশাল আর বর্শাটিকে নিয়ে উঠে দাঁড়াতেই-
সামনে থেকে ভারি হাতের এক প্রবল রদ্দায় টাল সামলাতে না
পরে মাটিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলেন আহীম! ঘাড়ে বেশ ব্যথা লেগেছিল তার, তবে সে ব্যথা ভুলে
গেলেন তিনি প্রবল এক কাতর, বিজাতীয় চিৎকারে! তার গায়ের একপ্রকার পাশ দিয়েই চলে গেল
ভারি, লোমশ, দ্বিপদ একটি দেহ; যন্ত্রণা সামলে পিছনে ঘুরে তাকাতেই মশালের আলোয় তিনি
দেখতে পেলেন দীর্ঘদেহী সেই প্রাণীটিকে। প্রথম নজরে সেটিকে দেখে ‘বানর’ বলে ভ্রম হয়েছিল
তার; কিন্তু তার পরণে উদ্ভিজ্জ বাকল দেখে পরক্ষণেই সেই ভ্রম মিলিয়ে গেল। এই প্রাণীটি
‘মানুষ’, কিন্তু তার ঢালু কপাল, গা-ভর্ত্তি বড় বড় লোম, মাথায় সুদীর্ঘ কেশ আর ঠেলে বেরিয়ে
আসা থুৎনি দেখে তাকে ‘মানুষ’ বলে মনেই হয় না! এ কি তাহলে সেই আদিম মানুষদের কোন উত্তরপুরুষ,
গ্রামবাসীরা যাদের কথা বলেছিলেন? চোখ বড় বড় করে সামনের দিকে হাঁ হয়ে তাকিয়ে রইলেন তিনি;
এরকম ‘বানর-মানব’ প্রত্যহ দেখতে পাওয়ার সৌভাগ্য আর হবে না, যদি ‘আগামিকাল’ শব্দটি তার
অভিধানে আজকের পর অবশিষ্ট থাকে!
ডান হাতের রক্তাক্ত পাঞ্জাটি চেপে ধরে তখনও গোঙাচ্ছিল
দীর্ঘকায় মানুষটি, এবারে হাতের বর্শা আর মশালটিকে ধরে দুই পা পেছিয়ে এসে প্রস্তুত হয়ে
দাঁড়ালেন আহীম। তিনি বুঝেছিলেন, যন্ত্রণাশেষে একটু অবসর পেলেই মানুষটি ঘুরে দাঁড়িয়ে
আক্রমণ করবে, তাই এই পেছিয়ে এসে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব তৈরি করা দুজনের মধ্যে- আর ঠিক
তাই হল! আহীম পেছিয়ে আসতেই দ্রুত ঘুরে গেল বানর-মানুষটি, তারপর দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে দিল
প্রবলবেগে এক লাফ!
নিজেকে বাঁচানোর জন্য মাথা নীচু করে বসে পড়লেন আহীম একেবারে
শেষ মুহুর্ত্তে, বানর-মানুষটির দেহ উড়ে গেল তার মাথার ওপর দিয়ে! পরমুহুর্ত্তেই আহীমের
কানে এল একটি গিঁথে যাওয়ার আওয়াজ, আর তার সাথে যন্ত্রণাকাতর একটি ক্ষীণ গোঙানি! সাথে
সাথে পিছনে ঘুরে গেলেন আহীম; পরক্ষণেই বিষ্ময়ের সাথে দেখলেন-
কে এই আহীম? জানতে হলে অবশ্যই পড়ুন 'মহাকালের মাঝে- প্রথম পর্ব'
খুব সম্ভবত আহীমের পিছনে থাকায় এই উঁচিয়ে থাকা তলোয়ারটিকে
দেখতে পায় নি বানর-মানুষটি; সবেগে লাফ দিয়েছিল সে আহীমকে লক্ষ্য করে, এদিকে আহীমও বসে
পড়ায় বানর-মানুষটির দেহ তাকে টপকে চলে গিয়েছিল অপর প্রান্তে- একেবারে তলোয়ারটির ওপরে
পড়ে বিদীর্ণ হয়ে গিয়েছে তার কন্ঠনালী! মৃত্যুকালীন জিঘাংসায় মানুষটি কিছুক্ষণ নিঃশব্দে
তাকিয়ে রইল তার ‘মৃত’ আততায়ীর করোটীর শূণ্য অক্ষিকোটরের দিকে, তারপর একসময় ছটফট করতে
করতে মারা গেল সে! আর সেটি মারা পড়তেই এবারে আহীম ফিরে তাকালেন কঙ্কালটির দিকে। যে
আরাধ্য কাজ সম্পন্ন করতে নিজের জীবনকালে তার এই গোলোকধাঁধায় নেমে আসা, নিজের মৃত্যুর
পরেও তা সম্পন্ন করতে পেরে একসার দাঁত বের করে যেন অট্টহাস্য হেসে চলেছে তার মাথার
খুলিটি!! কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ভূতলোকের শিকারী ও সদ্যমৃত শিকার- দুজনকেই তাকিয়ে দেখলেন
আহীম, তারপর এগিয়ে এসে কঙ্কালটির ডানহাত থেকে অঙ্গুরীয়টি খুলে নিয়ে কোমরের গেঁজে ভরে
নিলেন তিনি।
হাতের বর্শাটাকে পিঠে বেঁধে নিয়ে এবারে রুংমালাইয়ের দিকে
এগিয়ে এলেন আহীম। ততক্ষণে জ্ঞান ফিরে এসেছে তার, এবারে কোনমতে উঠে বসে অবাক বিষ্ময়ে
চারদিকে একবার তাকিয়েই ডুকরে কেঁদে উঠেছিল মেয়েটি, বোধহয় ভয় পেয়ে গিয়েছিল সে। এবারে
নাম ধরে ডেকে আহীম সামনে এসে দাঁড়াতে অবাক চোখে কিছুক্ষণ তাকে তাকিয়ে দেখল সে, তারপর
কাঁদতে কাঁদতে বলল-
-“বাবা-মা কোথায়? বাড়ি যাব!”
অনেক বোঝানোতে অবশেষে কান্না থামল রুংমালাইয়ের, তাকে নিয়ে এবারে ধীরে ধীরে ঘরটির বাইরে বেরিয়ে এলেন আহীম। পথদুটি যেখানে এসে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সেখানটায় এসে সামনের দিকে তাকিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লেন তিনি। কি একটা চিন্তা করে নিলেন তিনি মনে মনে, শেষে অধৈর্য্য হয়ে রুংমালাই তার হাত ধরে টানাতে তার দিকে তাকিয়ে একটি মিষ্টি হাসি হেসে এবার ডানদিকের রাস্তাটি ধরে এগিয়ে চললেন দুজনে মিলে…
[চলবে...]
Watch the video here:
To Stay updated with our Page, Like, Follow, and Share
In case if you want to twit me
If you want to know my works, you may check my profile on 'Pratilipi'
Subscribe to our YouTube channel for more narration of my stories
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমাদের ব্লগগুলি আপনাদের কেমন লাগছে? অবশ্যই জানান আমাদের-