Bengali Historical Paranormal audio story | Mahakaaler Majhe- Part14 | Aritra Das | Suspense-thriller
MAHAKAALER MAJHE -PART14
-A Bengali Paranormal and Historical Fiction by Aritra Das
Mahakaaler Majhe Part14 by Aritra Das |
Mahakaaler Majhe is paranormal, historical, suspense thriller audio story in Bengali; original fiction written by Aritra Das and presented by Mystic Tune of Tales. The entire storyline is based on two different souls belonging to two different timelines, but they can sneak through lives of each other and finally they meet up in an unusual place- but, how? A must-see Bengali historical audio story series in classical genre. This is part14 of the story. Watch till the end.
You may look into the audio narration in our channel:
গল্পের আহীমের পর্ব এগিয়ে চলেছে তরতর করে, কিন্তু কি হল নন্দীশের? তিনি তো ধরা পড়ে গিয়েছিলেন কর্ণেল ইয়ুফেইয়ের হাতে, এর আগে নন্দীশকে নিয়ে শেষ পর্বে আমরা দেখেছি কেমন ভাবে কর্ণেল ইয়ুফেইয়ের সহকারী হাইতাওয়ের হাতে মারা পড়লেন কমাণ্ডার সুরেশ বেনিওয়াল; এখন রোমান রক্তজাত এই চৈনিক কর্ণেলের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছেন নন্দীশ! কি হবে এবার? শুরু হল মহাকালের মাঝে গল্পটিতে নন্দীশের কথা। অবশ্যই পড়ুন-
Don't miss any part of the series, don't skip anywhere either! All the parts are interlinked ending up to an original, complete story.
Story, Concept and Editing: Aritra Das
Graphics: Shri Biswanath Dey
Vocal Effect Assistance: Priti_Ghoshal_music
Narration- Aritra Das
Background sound effect source: Mixkit, pixabay
VISIT US AGAIN
CHECK OUT THE PREVIOUS PART (PART13) HERE WITH TEXT AND NARRATION
In this part14-
-“কমাণ্ডার, কমাণ্ডার!”
চাপা স্বরে করুণ আকুতি ও মৃদু ঠেলাঠেলিতে যেন ঘুম ভাঙল নন্দীশের; চোখ মেলে একবার তাকিয়েই ধড়মড় করে উঠে বসলেন তিনি। চারদিকে তাকিয়ে দেখলেন- অন্ধকারের মধ্যে তাকে ঘিরে একসার উদ্বিগ্ন মুখ! সকলের দিকে একবার তাকিয়ে নন্দীশ জিজ্ঞাসা করলেন-
-“বিপিন, হোলকার, সুরেশ, কেপি, টু বাই টু…তোমরা সকলে এখানে? বাকিরা কোথায়?”
-“আমরা জনাদশেক বাদে আর কেউ বেঁচে নেই, কমাণ্ডার! আরও জনা-চারেক ছিল, চাউমিগুলো ওদের মেরে নুডলস্ বানিয়ে টাঙিয়ে রেখেছে! ঐ দেখুন!”
অন্ধকারের মধ্যে নন্দীশ খেয়াল করলেন- একটি ঘর, খুব সম্ভবত কাঠের তৈরি ঘরটি কারণ এরকম বড় কাঠের ঘরেই নন্দীশরা ক্যাম্পের নানা বিষয় নিয়ে জমায়েত হতেন, এখন এই ঘরটিতে সকলকে এনে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তা না হয় হল, কিন্তু এরা সকলে তাকে ‘কমাণ্ডার’ বলছিল কেন? প্রশ্নটা করতে কেপি বললেন-
-“পূর্ববর্ত্তী কমাণ্ডার ক্যাপ্টেন বেনিওয়াল তো শহীদ হয়ে গিয়েছেন স্যার…ওঁনার অবর্তমানে তো এখন আপনিই-”
এক ঝটকায় বাস্তবে ফেরৎ এলেন নন্দীশ। সত্যিই তো, কমাণ্ডার বেনিওয়ালকে তো তার সামনেই মারা হয়েছিল বটে; এখন ওঁনার অবর্তমানে তো আস্ত ক্যাম্পের দায়িত্ব তার ওপরেই এসে বর্তায়! সে তো না হয় হল, কিন্তু এই ‘চাউমিন’, ‘নুডলসের’ ব্যাপার-স্যাপারগুলি কি? ফের প্রশ্ন করাতে এবার ছোট্ট একখুপড়ি জানলার দিকে হাত বাড়িয়ে দেন কেপি; তার দেখানো পথে এবার বাইরে তাকাতেই একটি দৃশ্য দেখে পিলে চমকে ওঠে নন্দীশের!
খোলা, অপ্রশস্ত জানলাটি দিয়ে বাইরের যেটুকুনি দৃশ্য দেখা যায় তাতে বোঝা যাচ্ছে যে অনতিদূরে তিনটি বাঁশ দিয়ে তৈরি একটি অস্থায়ী ত্রিভুজাকৃতি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে, তা থেকে তিনটি দেহ ঝুলছে নীচে, আর…মাটি থেকে মুখ বাড়িয়ে সেই দেহগুলি থেকে মাংস টেনে টেনে ছিঁড়ে খাচ্ছে কয়েকটি শুয়োর! অবাধ্য মুখ থেকে কথা টেনে বার করবার বিশুদ্ধ চৈনিক কায়দা- ‘কথা কও, নয়তো নিজেদের অন্তিম পরিণতি দেখে নাও!’
-“কমাণ্ডার, মানে প্রাক্তন কমাণ্ডারও আছেন ঐ ঝুলতে থাকা হতভাগ্যদের দলে!”- বলে উঠলেন কেপি- “চতুর্থজন অবশ্য এখানে নেই, জায়গা সংকুলান হবে না বলেই…ওকে ওরা নিয়ে গিয়েছে গ্রামের দিকে-”
-“আর গ্রামের লোকজন?”
মাথা নাড়লেন কেপি, তারপর বললেন-
-“নেই! প্রায় সকলে পালিয়েছে গ্রাম ছেড়ে, কিছু রয়ে গিয়েছিল পিছনে, তাদের বেশিরভাগই মৃত, কয়েকজনকে আটক করে রেখেছে…বেশিরভাগই মহিলা- ঐদিকটা করে রেখেছে ওদের-”
-“হুঁমম…যাকে নিয়ে গেল কে সে?”
-“আমাদের ‘কম’ অফিসার কমাণ্ডার…ওকে ওরা বোধহয়…আমার ভয় করছে স্যার!”
একরাশ আশংকা ঝরে পড়ল কেপির গলা থেকে; ঘাড় ঘুরিয়ে বাকিদের দেখে নিয়ে নন্দীশ বুঝলেন- সকলেই আশংকিত। ভয় কাটানোর জন্য তিনি বললেন-
-“ভয় পেও না কেপি, এটা ভয়ের সময় নয়, লড়ার সময়। আজ কত তারিখ? কটা বাজে এখন?”
তারিখটা মোটের ওপরে জানা গেলেও সময়টা বলা সম্ভব হল না কারোর পক্ষেই; এই নরকে তারা কতক্ষণ রয়েছেন সে সম্বন্ধ ধারণা নেই কারোরই। সব খুঁটিনাটি ভালো করে জেনে নিলেন নন্দীশ, তারপর বললেন-
-“শেষ খবরের আপডেট আমার কাছে ছিল…আজকে মেজর রাওয়াতের টিমের এখানে দল নিয়ে আসার কথা…এটা বেঁটেদের অ্যাটাক শুরু হওয়ার ঠিক আগেই কমাণ্ডার বলেছিলেন আমায়। মেজর রাওয়াত নিশ্চই বুঝেছেন যে আমাদের ক্যাম্প হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে, এর অর্থ উনি ক্যাম্পটিকে ঘিরে নিঃশব্দে বসে থাকবেন, যতক্ষণ না নিশ্চিত হন যে আমরা বিপদসীমার বাইরে; আমার ধারণা উনি ফুটসাংলার দিকটা করে থাকবেন। এখান থেকে বেরোতে হবে সদলবলে-”
-“কিন্তু দরজা খুলবেন কি করে কমাণ্ডার? দরজা তো বাইরে থেকে তালা মারা!”
বিপিনের প্রশ্নের উত্তরে তার দিকে অন্ধকারে একবার তাকালেন নন্দীশ। এটা সত্যিই একটি গুরুতর প্রশ্ন। বহুদিন এই ক্যাম্পে থাকার সুবাদে তারা প্রত্যেকেই এখানকার ভূগোলের সঙ্গে পরিচিত; অন্ধকারেও তারা ঠিক পথ চিনে চিনে পৌঁছে যাবেন তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে, সকল বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে, এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিন্ত। কিন্তু আসল সমস্যাটি তো এখানেই- প্রথম বাধাটি তারা অতিক্রম করবেন কিভাবে?
বসে বসে সাতপাঁচ ভাবছিলেন তিনি, এমন সময় হঠাৎ- মৃদু একটি ক্যাঁচ শব্দ করে খুলে গেল সেই বহু-আকাঙ্খিত প্রবেশদ্বার, এই ঘরে ঢোকবার একমাত্র দরজাটি! খোলা দরজা দিয়ে যন্ত্রবৎ পায়ে হেঁটে ঘরের ভিতর প্রবেশ করলেন একজন মাত্র চিনা গার্ড; উপস্থিত সকলেই যখন উদ্বিগ্ন কি করতে চলেছেন এই গার্ডটি সেই কথা ভেবে, ঠিক সেই সময়তে পিছন থেকে একটি ভারি আঘাতে অচৈতন্য হয়ে গার্ডটি পড়ে গেলেন মেঝেতে! চমকে সকলে এবারে মাথা তুলে দেখলেন- পিছনেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন সেই কম অফিসারটি, যাকে আজ সন্ধ্যায় কিছুক্ষণ আগে জনাতিনেক গার্ড নিয়ে গিয়েছিলেন গ্রামে, মেরে ফেলবার উদ্দেশ্যে! বিষ্মিত নন্দীশই প্রথম প্রশ্নটা করলেন-
-“হার্নাণ্ডেজ তুমি? তোমাকে না ওরা-”
-“আমাকে হজম করা এত সহজ নয় কমাণ্ডার; গ্রামের অলিগলি ওদের থেকে অনেক ভালো চিনি আমরা, চোখ বেঁধে দিলেও আমি ওদের গোটা গ্রাম ঘুরিয়ে নিয়ে আসব…বডিগুলো লুকিয়ে রাখতে হবে ঘরের ভিতর…একটু সাহায্য?”
একজন তো ভিতরে পড়েই আছে, আরও দুইজন মৃত গার্ডসকে ঘরের ভিতর এনে রাখা হল; তারপর অজ্ঞান গার্ডটিকে ভালো করে পিছমোড়া করে বেঁধে, মুখে কাপড় বেঁধে ফেলে রাখা হল ঘরের ভিতর। ওদের অস্ত্রশস্ত্রগুলির দখল নিয়েছিলেন নন্দীশরা; ভালো শুটাররা প্রত্যেকেই একটি করে বন্দুক নিলেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় যে গুলিভর্ত্তি ম্যাগাজিন অনেক থাকলেও একটিই সাইলেন্সার পাওয়া গিয়েছিল ওদের কাছ থেকে। নিজের হাতের একে সেভেন্টি-ফোর এ.এস.ইউতে সেই সাইলেন্সার লাগিয়ে বাকিদের প্রয়োজন না পড়লে অস্ত্র চালাতে বারণ করলেন নন্দীশ; আনসাপ্রেসড্ রাইফেলের আওয়াজে না হলে সতর্ক হয়ে যেতে পারে শত্রুপক্ষ।
ঝুলতে থাকা দেহগুলির দিকে এবারে একবার ফিরে তাকালেন দলের প্রত্যেকে। চাঁদটাকে পিছনে রেখে তিনজনেই তখন ঝুলছিলেন অসহায়ের মত। নীচের আপাত-নিরীহ গৃহপালিত জন্তুগুলির মধ্যে একটিকে উদ্দেশ করে হাতের বন্দুকটিকে তুলেও আবার নামিয়ে নিলেন নন্দীশ; কি জানি, এদের আতংকিত ঘোঁত ঘোঁত আওয়াজেও যদি শত্রুপক্ষ সাবধান হয়ে যায়! এবারে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন-
-“গ্রামেও কি ওরা পাহারা দিচ্ছে?”
-“খুব বেশি লোক নেই কমাণ্ডার, ওটা তো ওদেরই লাইন ঘেঁষে, ওখানে খুব বেশি লোক রাখে নি ওরা।ওদের সৈনিকরা কড়া নজর রেখেছে আমাদের দিক ঘেঁষা লাইনে, সেখানেই গ্রামের কয়েকজনকে আটকে রেখেছে ওরা খোলা ময়দানে, যাতে ওদের পরিষ্কার দেখা যায় ওপাশ থেকে! আর একটি ব্যাপার কমাণ্ডার, ওরা আক্রমণ করেছিল অনেকে, কিন্তু ক্যাম্প গার্ডে কিন্তু খুব বেশি লোক নেই-”
-“তুমি কি নিশ্চিত এই ব্যাপারে হার্নাণ্ডেজ?”
-“ওরা যখন আমায় ‘ইন্টারঅগেট’ করছিল, তখন আরেকজন অফিসার এসেছিল অকুস্থলে…দুই অফিসারের মধ্যে অত্যন্ত তর্কাতর্কি হচ্ছিল তাইওয়ানি ভাষায়…একবর্ণও কিছু বুঝি নি তখন, কিচিরমিচির আর মাঝেমধ্যে ঢেঁকুর তোলার মত কিছু শব্দ ছাড়া! আমায় অচেতন ভেবে ওরা ফেলে রেখেছিল খোলা মাঠে খড়ের গাদার ওপর, ব্রিজের পাশে…তখনই চোখে পড়ল- বিরাট একটি দল ব্রিজ অতিক্রম করে চলে গেল ওপারে। ওখানেই সন্ধ্যে অবধি পড়ে ছিলাম…ঐ দলটি কিন্তু আর ফিরে আসে নি নদী টপকে এপারে-”
বোঝা গেল যে দখলীকৃত ক্যাম্পে থাকার বিষয়টি নিয়ে কর্ণেল ইয়ুফেই অন্ধকারে রেখেছিলেন সহকর্ম্মীদেরও, পরে তার সঙ্গে একমত হতে না পেরে স্থানত্যাগ করে শত্রুসেনাদের একটি বড় অংশ। সে তো না হয় হল, কিন্ত গ্রামবাসীদের এখান থেকে উদ্ধার করে সদলবলে পালানো যায় কিভাবে? একটু চোখ বুঁজে পুরো ক্যাম্প আর তার গুরুত্বপূর্ণ পোজিশনগুলি ছকে নিলেন নন্দীশ, তারপর নীচু গলায় সকলকে বললেন-
========================================================
This is the complete playlist of Mahakaaler Majhe
Watch the video till the end. SUBSCRIBE. If you liked the video then do COMMENT, LIKE, SHARE. Thanks.
You may want to see my stories on my Pratilipi Profile
You may like to twit us...
Watch for Our Blog
Stay updated for latest news and releases on our page
This is a pure imaginative, mystery fiction, original story-line based upon imagination. Any similarity with reality is a definite coincidence.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমাদের ব্লগগুলি আপনাদের কেমন লাগছে? অবশ্যই জানান আমাদের-