Bengali Historical Story Mahakaaler Majhe Part15 | A Science fiction, suspense thriller story on Historical fiction by Aritra Das
মহাকালের মাঝে- পর্ব১৫
-Bengali Historical audio story Paranormal Suspense-thriller by Aritra Das
Mahakaler Majhe Part15 by Aritra Das |
Mahakaaler Majhe is paranormal, historical, suspense thriller audio story in Bengali; original fiction written by Aritra Das and presented by Mystic Tune of Tales. The entire storyline is based on two different souls belonging to two different timelines, but they can sneak through lives of each other and finally they meet up in an unusual place- but, how? A must-see Bengali historical audio story series in classical genre. This is part15 of the story. Watch till the end.
'মহাকালের মাঝে পর্ব১৫' অডিও আকারে শুনুন এই ভিডিওটিতে। এই পর্বটি পড়ার জন্য নীচে স্ক্রল করুন:
মহাকালের মাঝে পর্ব১৪- পড়ুন ও গল্পটি শুনুন এখানে
এখনও অবধি পর্ব ১৫ তে গল্প যতটুকুনি এগিয়েছে-
একটু চোখ বুঁজে পুরো ক্যাম্প আর তার গুরুত্বপূর্ণ পোজিশনগুলি
ছকে নিলেন নন্দীশ, তারপর নীচু গলায় সকলকে বললেন-
-“আগে আমাদের লোকজনকে ছাড়াতে হবে, তারপর অবশিষ্ট গ্রামবাসীদের।
আলাদা হওয়া যাক, কিন্তু তোমরা আগেভাগে গুলি ছুঁড়ে বসবে না; একটা সিকিওর্ড জায়গা বেছে
নিয়ে ঘাপটি মেরে বসে থাকবে, দরকারে গুলি চালাবে। ওরা অবশ্য এক্ষুণি খবর পেয়ে যাবে আমরা
যে পালিয়েছি…”
-“রেডিওকম নিষ্ক্রিয় করে দিয়ে এসেছি কমাণ্ডার…”
-“ওতেই ওদের সন্দেহ হবে। যাক গে, বিপিন, তুমি আর কয়েকজন
মিলে বাইরে পাহারা দেবে; আমরা ঢুকব আমাদের ছাউনিগুলিতে। প্রতিটি ছাউনি খুঁজে দেখতে
হবে…চল!”
হার্নাণ্ডেজের কথাই ঠিক প্রমাণিত হল; দেখা গেল, এই ক্যাম্পটির
প্রহরার দায়িত্বে খুব স্বল্পসংখ্যক গার্ডস রয়েছে, বেশিরভাগই সরে গিয়েছে নিজেদের লাইনের
দিকে। কর্ণেল ইয়ুফেই মনে হয় নিজের ধারণাটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন, নাহলে সাধারণ
অবস্থায় এত অল্প গার্ডস নিয়ে এই ক্যাম্পটিকে দখলে রাখবার চিন্তাটাকে পাগলামো ছাড়া আর
কিছুই বলা যায় না! পিপলস্ আর্মির দ্বিতীয় কমাণ্ডিং অফিসারটি নিশ্চিতভাবে এই পাগলামোর
সাথে তাল মেলাতে চান নি বলেই সরে গেছেন নিরাপদ জোনে।
কুয়োর ভিতরে পাতালপুরীতে কি ঘটল আহীমের সাথে? পড়ুন 'মহাকালের মাঝে পর্ব১৩'
সতর্ক থাকার সুফল মিলল একটু পরেই, হাতেনাতে! ক্যাম্পের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে প্রচুর আলোর ব্যবস্থা করেছিল ওরা; দলের সদস্যদের নিয়ে অন্ধকার জায়গাগুলি ধরে ধরে এগিয়ে আসছিলেন নন্দীশ। একটি জায়গায় এসে হঠাৎ সকলকে দাঁড়িয়ে পড়তে নির্দেশ দিয়ে কয়েক সেকেণ্ড কান পেতে কি শুনলেন তিনি, তারপর পলকে বসে পড়তে নির্দেশ দিলেন সকলকে। নিজেদের জায়গায় সকলে বসে পড়তেই এবারে উল্টোদিক থেকে দেখা গেল- তিনজন গার্ডসকে দ্রুতপায়ে এগিয়ে আসতে! যে ঘরটি থেকে বেরিয়ে তারা এখানে এসেছেন, সেদিকেই যাচ্ছিলেন এই গার্ডসগুলি।
-‘রট টট্ টট্’!
নন্দীশের হাতের সাপ্রেসড্ রাইফেল থেকে মৃদুস্বরে তিনটি
বুলেট নির্গত হয়ে হাওয়ায় শিস্ কেটে সামনে এগিয়ে গেল পূর্ণবেগে; কিছু বুঝে ওঠবার আগেই
তিনজনেরই মাথায় গিয়ে আঘাত করল সেগুলি, অবিশ্বাস্য কম সময়ের ব্যবধানে- হাতের বন্দুক
তোলবারও সময় পায় নি তিনজনের কেউই, তার আগেই-
-“দেহগুলিকে লুকিয়ে ফেল! হার্নাণ্ডেজ!!”
চাপাস্বরে নির্দেশ পেতেই তিনটি দেহকেই অন্ধকারে দ্রুত
লুকিয়ে ফেললেন সকলে, তারপর ওদের ‘রেডিওকম’ নিষ্ক্রিয় করে চাপাস্বরে হার্নাণ্ডেজ বললেন-
-“ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আমরা একই দলে কমাণ্ডার! কি অবিশ্বাস্য
অ্যাকিউরেসি!”
জবাবে মৃদুস্বরে হাসলেন নন্দীশ, তারপর এই সন্ধানী টিমটির
সঙ্গে আর কেউ পিছনে আসছে কি না তা বুঝে নিয়ে তিনি নির্দেশ দিলেন-
-“সামনের ঐ ছোট কিউবগুলিতে কোন সেনা লুকিয়ে আছে কি না
তা দেখতে হবে…চারজন আমার সাথে আস, বাকিরা এখানেই লুকিয়ে থাক। অবস্থা বেগতিক দেখলে তবেই
গুলি চালাবে, নয়তো নয়। হার্নাণ্ডেজ এখানেই থাক, শুধু তোমার ছুরিটা বিপিনকে দাও। মুভ!”
সার্চলাইটে আলোকিত অঞ্চলটি খুব সাবধানে পেরিয়ে এলেন নন্দীশরা।
এই পেরিমিটারে অনেকগুলি কিউব তৈরি করে রাখা, এগুলিতে কিছু সেনা পোস্টেড় থাকে সর্বক্ষণ,
এরপর এগোতে গেলে আগে এই সেনাদের মারতে হবে, তারপর বাকি প্রশ্ন।
এখানেই একটু দ্বিধা কাজ করছিল নন্দীশের মনে; ক্যাম্পে আটক গ্রামবাসীদের ছাড়াতে হবে নিঃশব্দে, অথচ তাদের হাতে একটিই মাত্র সাপ্রেসড রাইফেল ও দুটি ছোরা- বাকি বন্দুকগুলির কোনটিতেই কোন সাপ্রেসর নেই; আর তাছাড়া- বন্দুক ও গুলির সংখ্যাও সীমিত! কিভাবে সম্ভব হবে এই অসম্ভব কাজ তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় ছিলেন তিনি। এখন সাহস সম্বল করে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই!
দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম সমগ্রের পাঁচটি স্মরণীয় মুহুর্ত্তগুলি কি? জানতে অবশ্যই চোখ রাখুন এখানে!
কিউবগুলিতে উঁকিঝুঁকি মেরে অবশ্য দেখা গেল- হাতেগোণা দুইএকটি বাদে আর সবগুলি খালি! একটি কিউবে একটি ফ্লেয়ারগান পেয়েছিলেন নন্দীশ; শেল ভরা আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখে নিয়ে সেটিকে কোমরে বাঁধেন তিনি। যে কয়টি মুষ্টিমেয় সেনা ছিল গার্ডে তাদের সকলকে মারা হল নিঃশব্দে, কিন্তু তাও, প্রহরায় এত কম লোক কেন?
সবচেয়ে শেষের ফাঁকা কিউবটির সামনে দাঁড়িয়ে একথাই ভাবছিলেন
নন্দীশ, এমন সময় একটি কাণ্ড ঘটল! জিতেন আর ‘টু-বাই-টু’ তামাং ঢুকেছিলেন ভিতরে সবকিছু
খতিয়ে দেখার জন্য; দেখা শেষ করে বেরিয়েও আসছিলেন তারা, এমন সময়-
-“এটা কি?”
কিউবটির জানলার দিক ঘেঁষে একটুকরো দড়ি বেরিয়েছিল, অন্ধকারে
হঠাৎই সেদিকে চোখ গেল তামাং-এর। নন্দীশ পিছনে ঘাড় ঘুরিয়ে আধো-অন্ধকারে একবার কোনক্রমে
সেটা দেখতে পেয়েই চাপাস্বরে প্রবল উত্তেজিতভাবে বারণ করতে গেলেন দুইজনকে, কিন্তু তার
আগেই আলগোছে সেটি টেনে ফেলেছেন তামাং; পরক্ষণেই-
বিষ্ফোরণ হওয়ার ঠিক আগে একটি তীক্ষ্ন শিসের সোঁ আওয়াজ
কানে ভেসে আসায় সামনের দিকে প্রবল লাফ মেরেছিলেন নন্দীশসহ অবশিষ্ট তিনজনে, এই জন্যই
প্রাণে বেঁচে যান তারা, কারণ পরমুহুর্ত্তেই একটি প্রবল বিষ্ফোরণের শব্দ যেন কানে তালা
ধরিয়ে দিল তাদের; কান চেপে ধরে মাটিতে গড়াগড়ি খেতে লাগলেন সকলে! জিতেন ও তামাং- দুজনেই
যে বিলক্ষণ মারা পড়েছেন এ বিষয়ে আর কোন সন্দেহই নেই তাদের মনে। শক্তিশালী ফ্র্যাগ গ্রেনেডের
বিষ্ফোরণে সামনে থাকা কেউ প্রাণে বাঁচে না!!
আলোর সুতীব্র ঝলকানি, প্রবল শব্দ, তার ক্ষতিকর প্রভাব-
সবকিছু কাটিয়ে উঠিয়ে সামনের দিকে চোখ মেলে এবারে বিষ্ময়ে থ’ হয়ে গেলেন নন্দীশ; সামনে
প্রায় জনাদশেক লোককে নিয়ে দাঁড়িয়ে স্বয়ং কর্ণেল ইয়ুফেই, পাশে তার দীর্ঘদেহী সহচর হাইতাওকে
নিয়ে! একটি ব্যাণ্ডেজ পুরু করে বাঁধা হাইতাওয়ের কানে। বন্দুকে হাত দিয়েও সরিয়ে নিলেন
নন্দীশ, কারণ সামনে দাঁড়ানো প্রতিটি সেনার বন্দুকের নল এখন তাদের দিকেই ফেরানো! নন্দীশরা
যে আর কোন প্রতিরোধ করবেন না তা বুঝে নিয়েই বাচ্চাদের মত হাততালি দিয়ে একপ্রস্থ হেসে
নিলেন কর্ণেল, তারপর বললেন-
দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম সমগ্রের উপন্যাসগুলির প্লট কি? কিভাবে ভাবা হয়েছে গল্পগুলিকে? দেখুন এখানে!
-“হেরে গেছ তোমরা! কি ভেবেছিলে, আমার সেনাবল কমে গিয়েছে বলে আসবে আর এসে আমাকে মেরে চলে যাবে? তোমাদের ঘরে একটি গোপন নাইটভিশন্ ক্যামেরা বসানো ছিল, ফলে প্রতিটি মুভমেন্ট আমরা দেখতে পেয়েছি! তোমাদের উদ্ধারকর্ত্তা ঐ রেডিওকম অফিসারটি…সে কোথায়? সে কি কিউবের ভিতরে ঢুকেছিল? তাহলে বলব খুব সহজে নিষ্কৃতি পেয়েছে ও, নাহলে আমার হাতে পড়লে- আমাদের লোকজনকে মারার মজা ওকে আমি বুঝিয়ে দিতাম…”
দুজন সেনাকে নিয়ে দুই কদম এগিয়ে এসেছিলেন হাইতাও নন্দীশদের
বন্দী করবার উদ্দেশ্যে, কিন্তু তার আগেই আচমকা-
হঠাৎ বাঁদিক থেকে শুরু হল প্রবল গুলিবর্ষণ; ইয়ুফেইয়ের
দলের দু-তিনজন মাটিতে পড়ে গেলেন আর্তনাদ করে! পিছনে যে দলটিকে নন্দীশ বসিয়ে রেখেছিলেন
হার্নাণ্ডেজের নেতৃত্বে, বিপদ বুঝে সেই দলটি আবার এগিয়ে এসেছে উদ্ধারে! পিপলস্ আর্মির
অবশিষ্ট সেনারা তাড়াতাড়ি সরে এলেন অকুস্থল থেকে; কভার নিয়ে বসে পড়ে পাল্টা গুলি চালাতে
লাগলেন এরাও। এদিকে এই আকষ্মিক মুক্তিলাভের সুযোগে নিজেদের বন্দুকগুলি কুড়িয়ে নিয়ে
কিউবের পিছন দিকে অবশিষ্ট দুজনকে নিয়ে আশ্রয় নিলেন নন্দীশ; সেখান থেকেই শত্রুদের উদ্দেশ্যে
ফায়ারিং শুরু করলেন তারা। এভাবেই যুদ্ধ চলতে লাগল বেশ কিছুক্ষণ, দুপক্ষের তীব্র গুলি-বিনিময়ের
মধ্য দিয়ে।
-“কমাণ্ডার…কিছু একটা করতেই হবে, মনে হয় আমাদের লোকজনের
গুলি প্রায় শেষ!”
বেশ কিছুক্ষণ উত্তপ্ত গুলি বিনিময়ের পর মনে হল যেন হার্নাণ্ডেজদের
গুলির ঝাঁঝ অনেকটাই কমে এসেছে! কর্ণেল ইয়ুফেইয়ের সেনারা বেশ সুবিধাজনক একটি অবস্থান
থেকে গুলি চালাচ্ছেন; সামনে-পিছনে দুদিকেই কভার থাকাতে দুদিক দিয়েই নন্দীশরা বেশি সুবিধা
করতে পারছিলেন না। মধ্যিখানে ফাঁকফোঁকড় খুঁজে পেয়ে অবশ্য দুজনকে ফেলতে পেরেছেন নন্দীশ,
কিন্তু এতে বিশেষ…
-“কমাণ্ডার! মনে হয় ওদিকের গুলি শেষ হয়ে গিয়েছে! কি হবে
এখন!!”
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবী; অ-মৃতদের ভিড়ে 'মানবিকতা' একটি বিলুপ্ত শব্দ...সত্যিই কি তাই? পড়ুন 'অমৃতের মৃত্যু'
কেপির গলায় আর্তনাদ ভেসে আসতে আর দেরি করলেন না নন্দীশ, কোমর থেকে ফ্লেয়ারগানটি হাতে তুলে নিলেন তিনি। দ্বিধা করছিলেন এটিকে চালানোর ব্যাপারে, হঠাৎ কভারের অপর প্রান্ত থেকে ভেসে এল কর্ণেলের ঠাট্টার সুরে বলা কথাগুলি-
-“তোমাদের একজন সেনা ভেঙে পড়েছিল, সে আমাদের মেসেজ পাঠিয়ে
দিয়েছে তোমাদের রি-এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে; ওদিক দিয়ে কোন সাহায্য আর পাবে না তোমরা! এখন
তোমরা কোন ব্যাকআপও আর পাবে না, এদিকে তোমাদের গুলিগোলাও ফর্সা! কি করবে এবার? তার
থেকে আমার কথা শোন। আমার এই অভিযানটিতে তোমরা গাইড হিসেবে যদি কাজ কর তবে কথা দিচ্ছি,
তোমাদের কেউ প্রাণে মরবে না-”
-“আপনার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে কর্ণেল…এই ক্যাম্পে আমরা
বহুবছর রয়েছি, এখানকার আশেপাশের ভূপ্রকৃতির সাথে আমরা সম্যক পরিচিত; এখানে কোথাও ‘শ্যাংগ্রিলা’
নেই…”
কি পরিকল্পনা করেছিলেন দেবতারা, যার সূচনা খৃীষ্টের জন্মেরও আগে, মৌর্য্যদের যুগ থেকে? পড়ুন 'বহুযুগের ওপার হতে...'
-“তোমরা মূর্খ, তাই তোমরা খুঁজে পাও নি…আদিগুরু মিলারেপা
স্বয়ং গিয়েছিলেন কৈলাস পর্বতের শীর্ষের কাছাকাছি…তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন তার সেই দুর্লভ
অভিজ্ঞতা…কৈলাসে তার সাথে একটি কিশোরের সাক্ষাৎ হয়েছিল…শ্যাংগ্রিলার অবস্থান একটি হ্রদের
কাছে…এতটা নিখুঁত বিবরণ তিনি দিতে যাবেন কেন যদি তার বাস্তবিক ভিত্তি না থাকে? আমার
কথা মান, তোমরা প্রতিরোধ কোর না আর, বন্দুক নীচে নামাও! পবিত্র ভূমিতে যাওয়ার আগে আমি
চাই না আর রক্ত ঝরাতে-”
হাতের ফ্লেয়ারগানটির দিকে আরও একবার তাকিয়ে দেখলেন নন্দীশ।
কর্ণেলের কথা যদি সত্যি হয়, যদি সতিই আদৌ কোন মেসেজ পাঠানো হয়ে থাকে, তবে একথা সত্য
যে কোন শেলিং হবে না; মেজর রাওয়াত ফিরে যাবেন তার অবস্থান থেকে। ওদেরকে পূর্বেকার প্ল্যানে
চলতে দেওয়ার একটিই উপায় নন্দীশের হাতে রয়েছে; এই ফ্লেয়ারগানটিকে যদি সামনের ঐ উঁচু
বেদীটার ওপর থেকে ফায়ার করা যায়- কিন্তু ঐ অবধি তিনি পৌঁছবেন করে? মধ্যিখানে বেশ কিছুটা
অংশ তো ফাঁকা!
-“আমাকে ‘কভার ফায়ার’ দেওয়ার মত বুলেট আছে তোমাদের কাছে?”
বাকি দুজন ঘাড় নেড়ে সায় দেওয়াতে সকলকে গুছিয়ে তৈরি হয়ে বসতে বললেন নন্দীশ; তারপর ফায়ারিং শুরু করতে বলে তিনি স্বয়ং দৌড় লাগালেন উঁচু বেদীটার দিকে। কভার-ফায়ার শুরু হতেই পিপলস্ আর্মির অবশিষ্ট সেনারা নিজেদের অর্ধে মাথা নীচু করে বসে পড়লেন, আর এই সুযোগে নন্দীশ চড়ে বসলেন বেদীর শীর্ষে! হাতের ফ্লেয়ারগানটি আকাশের দিকে তুলে ফায়ার করতেই একটি লাল ফ্লেয়ার আকাশে উঠে গিয়ে প্রদীপ্ত করে তুলল আশপাশ; যুদ্ধ কিছুক্ষণের জন্য সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে সেদিকে তাকিয়ে রইলেন নন্দীশ! আর এই বিস্মৃতিই ক্ষতি করল তার; খেয়াল করলেন না যে পিছনে তার সহযোগিদের বন্দুকের গুলি শেষ! আচমকা চাইনিজ সেনাদলের দিক থেকে ছোঁড়া একটি গুলি এসে আহত করল তাকে…ধপ্ করে ঐ বেদীর ওপরেই পড়ে গেলেন তিনি…রক্তাক্ত, নিথর অবস্থায়…
[চলবে...]
RELEVANT LINKS
Stay updated to Latest News and Releases; Follow us on our page
You may want to watch my stories on my Pratilipi Profile
In case if you wish to tweet me...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমাদের ব্লগগুলি আপনাদের কেমন লাগছে? অবশ্যই জানান আমাদের-