সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

The Legacy of Ram: Prologue- Part4 (দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম: আদি পর্ব- অধ্যায়৪)- A mystery, post-apocalyptic fiction Bengali Novel series by Aritra Das

দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- আদি পর্ব (The Legacy of Ram- Prologue):  অধ্যায়৪  ( PART4 ) - A Bengali science fiction, mystery, suspense thriller and post-apocalyptic fiction novel series by Aritra Das, the Bengali writer   The Legacy of Ram: Prologue (আদি পর্ব) Part4 [দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- আদি পর্ব (প্রলগ) গল্পটির প্রথম তিনটি পর্ব প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে, পেজে গল্পের শেষে অন্যান্য লিঙ্কগুলি পাওয়া যাবে। অবশ্যই পড়বেন] দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম: আদি পর্ব- অধ্যায়৪ অধ্যায়৩ থেকে শেষের কিছুটা অংশ- -“অভিযুক্ত… দ্যূহ… অভিযুক্ত… দ্যূহ… দ্যূহ…” একটি কথাই পর্যায়ক্রমে উচ্চারণ করে চলেছে ‘মদন’! অস্পষ্টভাবে ‘ব্যূহ’ কথাটি মহর্ষির কানে শোনাল ‘দ্যূহ’। কিন্তু সেদিকে তখন মন নেই তাঁর, তিনি শুধু বিস্মিত এই ভেবে যে এই আদিম মানব দম্পতি তা হলে কথা বলতেও সক্ষম! তিনি আবিষ্ট হয়ে তাকিয়েই থাকলেন তাদের দিকে। -“বিচারকরা সকলেই আপনার জন্য অপেক্ষমান, মহর্ষি! চলুন, আর বেশি দেরি করা উচিৎ হবে না। আমি উপযাচক হয়ে এগিয়ে এসেছিলাম আপনাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আসুন।” -“আমাকে পথ দেখান, ভগবান!”   মাথা নীচু করে ভগবান শ্রীবি

Bengali Historical story Paranormal| Mahakaaler Majhe- Part16 | Aritra Das | Action-adventure story

Mahakaler Majhe- Part16 (মহাকালের মাঝে- পর্ব১৬)

-A Bengali Historical Science fiction and Paranormal story by Aritra Das

Bengali science fiction and suspense story by aritra das on mystic tune of tales

Mahakaaler Majhe is paranormal, historical, suspense thriller audio story in Bengali; original fiction written by Aritra Das and presented by Mystic Tune of Tales.

আপনারা নীচে স্ক্রল করে এই পর্বের গল্পটি পড়তে পারেন, অথবা ভিডিওতে আমার পাঠ করা পর্বটিও দেখতে পারেন। ইউটিউব ভিডিওর লিঙ্কটি দেওয়া রইল:



কি হয়েছিল নন্দীশের সাথে? তিনি ও তার সঙ্গীরা কি পালাতে পারলেন কর্ণেল ইয়ুফেই-এর বন্দীদশা থেকে? পড়ুন- 'মহাকালের মাঝে- পর্ব১৫'


মহাকালের মাঝে পর্ব ১৬:

-“আপনাকে একেবারে ‘কৈলাস’ যাওয়ার মুখটাতেই এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছি আহীম! এই সিধা রাস্তাটি ধরে সোজা সামনের দিকে চলবেন একটানা, কোন ডাইনে-বাঁয়ে নয়, একদম সোজা নাক-বরাবর চলে দ্বিতীয় দিন আপনি গিয়ে পড়বেন মানস সরোবরে; ওখান থেকে একটু এগোলেই কৈলাস পর্বত।”
 
শ্রুং-এর দেখানো পথটার দিকে তাকিয়ে পরিধেয় শীতবস্ত্রটিকে ভালো করে বেঁধে নিলেন আহীম। এই বস্ত্রটি দলপতি টুণ্ডুপ স্বয়ং উপহার দিয়েছেন তাকে; পশমের তৈরি এই বস্ত্রটি ঠাণ্ডা খুব ভালো আটকায়, আর সকলেই বলেছেন- কৈলাস পর্বতের সন্নিহিত অঞ্চলের মারাত্মক শীতের কথা! প্রবীণ গ্রামবাসীরা বলে দিয়েছেন পইপই করে- পথে কোথাও আশ্রয় নিতে হলে কোন গুহার খোঁদলে আগুন জ্বালিয়ে তবে তার পাশে বসে বিশ্রাম করতে পারেন তিনি, কিন্তু খোলা হাওয়ায় কোথাও যেন বসে না পড়েন এক মুহুর্ত্তের জন্যও; নাহলে ধারা-হিমপাতের মধ্যে কোথাও একবার বসে পড়লেই হল- কয়েক মুহুর্ত্তে জমে পাথর হয়ে মৃত্যু অনির্বার্য! একছালা খাদ্য ও পানীয় সঙ্গে দিয়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা, তাদের কৃতজ্ঞতার ঝুলি উজাড় করে। এতদিনের একটি উৎপাতের হাত থেকে এই বিদেশী ছেলেটি তাদের উদ্ধার করেছেন, বিনিময়ে এইটুকুনি তারা করবেন না?
 
শ্রুংকে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘বিদায়’ বলতে যেতেই আহীমকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি। দীর্ঘ আলিঙ্গনের পর শ্রুং বলে উঠলেন-
 
-“আপনি বয়সে প্রায় আমার অর্ধেক, কিন্তু স্বীকার করতে কোন লজ্জা নেই আহীম- আমার দীর্ঘ বর্শা আর প্রাণঘাতী কুঠারও হার মেনেছে আপনার ‘ত্যাগ’-এর কাছে! সারাটা জীবন ধরে অকথ্য নির্যাতন ও প্রাণহরণ করে আমি লোকের কাছ থেকে কোন সম্মান পাই নি, যা পেয়েছি তা অবাধ্য বাধ্যতা! আর তার সাথে একরাশ ঘৃণা! কিন্তু আপনি…শুধু ত্যাগ দিয়েই একদিনে দুটো গ্রামের মন জয় করে ফেললেন…নিজের মেয়েকে পর্যন্ত বাঁচাতে গিয়ে পেছিয়ে এসেছি জীবনের মোহে, সেখানে আপনি ভিন্ন সম্প্রদায়ের একটি বাচ্চাকে বাঁচাতে চাইবার স্পৃহায় অকুতোভয়ে নির্বিচারে লাফ মারলেন মৃত্যুর মু- আপনি আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিন!”
 

নন্দীশরা বন্দী হয়ে গেলেন; তারা কি পারলেন বন্দীদশা থেকে মুক্ত হতে? পড়ুন 'মহাকালের মাঝে- পর্ব১৪'


মৃদু হাসলেন আহীম শ্রুং-এর মুখের দিকে তাকিয়ে, তারপর বললেন-
 
-“‘ভালোবাসা’র শক্তি অপার শ্রুং, কিন্তু তা নিজের অস্তিত্বের ঊর্দ্ধে নয়। প্রাণ বাঁচাতে যা করণীয় তা কোর, কিন্তু অন্যথায়- বিনা কারণে কোন হিংসা নয়। মনে রেখ, ‘রাজার যা প্রাপ্য তা দাও রাজাকে, কিন্তু ঈশ্বরের প্রাপ্য ফেরৎ দাও ঈশ্বরকেই’! এটিই একমাত্র অনাদি সত্য, বাকি সবকিছু মায়া!”
 
দুটি হাত বুকের কাছে জড়ো করে নতমস্তকে তার কথা শুনলেন শ্রুং, কোন কথা না বলে দাঁড়িয়ে রইলেন তিনি, শুধু তার চোখদুটি ভিজে গেল জলে। কিছুক্ষণের জন্য নীরব হয়ে রইলেন তিনি; তারপর বললেন-
 
-“ঐ বিপদসংকুল পর্বতের পথে…ওদিকে যাত্রা করাটা কি একান্তই প্রয়োজনীয়? ওখান থেকে কেউ ফেরৎ আসে না আহীম…যারাই যায়, ঐ রাক্ষুসে পর্বতমালা তাকে জীবন্ত গিলে খায়-”
 
-“জানি। তোমরা বলেছ আমায়। কিন্তু আমার একজন বয়ষ্ক, মহাজ্ঞানী সঙ্গী আমায় বলেছিলেন- ঈশ্বরের কোন একটি দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছে আমার কাঁধে, যা পূরণ করবার জন্য ঐ পথে যাত্রা করাটা একান্তই আবশ্যক! সেটাই করতে চলেছি আমি…বাকিটা ঈশ্বরের ইচ্ছা-”
 
কথাগুলি বলবার সময় প্রয়াত ‘জাদুবাবা’র মুখটি হঠাৎ যেন ভেসে উঠল আহীমের মনে…খানিকক্ষণের জন্য স্থবির হয়ে গেলেন তিনি। তারপর বিহ্বলতা কাটিয়ে উঠে তিনি বললেন-
 
-“তোমরা ভালো থেক। ঈশ্বর তোমাদের মঙ্গল করুক। বিদায় শ্রুং!”
 
-“বিদায়!”
 
শ্রুং-এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ধীরে ধীরে নিজের গন্তব্যের দিকে এগোতে লাগলেন আহীম। চলতে চলতে গতকালকার সদ্য ঘটা ঘটনাগুলি সবই মনে পড়ে যাচ্ছিল তার।

ভয়ঙ্কর ও শক্তিশালী আদিম মানবটিকে কিভাবে পরাস্ত করলেন আহীম? পড়ুন 'মহাকালের মাঝে- পর্ব১৩'

 
ঐ পাতালপুরীটি একটি দূর্ভেদ্য প্রহেলিকার মত ঠেকছিল আহীমের কাছে; বিশেষ করে জ্বলতে থাকা মশালের শিখা এত স্তিমিত হয়ে আসছিল এবং কাঁপছিল যে অন্ধকারে পথ গুলিয়েছিলেন তিনি! রুংমালাইকে একহাতে শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন তিনি, তারপর পাঁজাকোলা করে তুলে নেন, নয়তো আশংকা ছিল অন্ধকারে বাচ্চাটি হারিয়ে যেতে পারে! এইভাবে অনুমানের ওপর বেশ খানিকটা পথ এগিয়ে আসবার পর হঠাৎ তিনি খেয়াল করেন- মশালের শিখাটি আবার উজ্জ্বল হয়ে উঠছে, শিখার কাঁপুনিও যেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর অর্থ পরিষ্কার- মশালটি বাতাস পাচ্ছে!
 
মনে পড়ে যাচ্ছে আহীমের, এই কথাটি মনে হতেই আচমকা তার সমস্ত লুপ্ত আশা আর উদ্দীপনা নতুন করে যেন জেগে উঠেছিল মুহুর্ত্তে! মশালের শিখা বাতাস পাচ্ছে, এর অর্থ- কোন দিক থেকে বাতাস এসে সুস্থির করছে এটিকে; কিন্তু বদ্ধ পাতালপুরীতে বাতাস আসে কোন দিক দিয়ে? চোখ বন্ধ করে নিজের শরীরে বাতাসের স্পর্শ অনুভব করে তার সম্ভাব্য গতিপথ বুঝে নিলেন আহীম; তারপর রুংমালাইকে নিয়ে ধীরে ধীরে সেই দিকে পা বাড়ান তিনি। অনেকটা পথ চলে একসময় এসে তারা আবিষ্কার করেন বহির্পথটি- পাথর ধ্বসে এই মুখটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রায়! হাতের বর্শা দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সেই বহির্মুখ পরিষ্কার করে একসময় গর্ভগৃহ থেকে বেরোতে সক্ষম হন দুজনে, তারপর রুংমালাইয়ের সাহায্যে গ্রামে ফিরে আসেন তারা; ঈশ্বরের অসীম কৃপায়! ফেরৎ আসবার সময় আর কোন বিপদ হয় নি তাদের।
 
একটি ব্যাপার পরে খোলসা হয় আহীমের কাছে। বহুবছর আগে কোন একসময় হয়তো একদল আদিম মানুষ ঘুরতে ঘুরতে এসে আশ্রয় নিয়েছিল তাদের এই পুরনো ডেরায়। এরা গর্ভগৃহে প্রবেশ করেছিল সেই একই পথ ধরে, যে পথটি দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন আহীমরা। এই মানুষগুলির ক্ষেত্রে ভাগ্য খারাপ ছিল; কোন কারণে জমি বসে গিয়ে ঐদিকের প্রবেশপথটি বন্ধ হয়ে যায়, আবার উল্টোদিকের বহির্মুখটি দিয়ে বেরোতে গিয়ে কুয়োর গর্ত্ত খুঁড়তে যাওয়া মানুষজনের সঙ্গে হয়তো এদের হাতাহাতি হয়, এরা ঢুকে পড়ে ‘নিরাপদ’ পাতালপুরীতেই! খুব সম্ভবতঃ এই সময় থেকেই গুহায় ‘অপদেবতা’র তত্ত্বটি প্রতিষ্ঠা পায় এই পাহাড়ি মানুষজনের মধ্যে। এই শেষ আদিম মানবগোষ্ঠির শেষতম সদস্যটিই মারা পড়ে আহীমের হাতে। বিভিন্ন সময়ে ওদের বা ওকে শিকার করতে যাওয়া মানুষজনকে শিকার করে তাদের মাংসে ক্ষুণ্ণিবৃত্তি করত এই মানুষটি, এছাড়া বিভিন্ন সময়ে অপদেবতার উদ্দেশ্যে বলিপ্রদত্ত মানুষগুলিও এর ক্ষুধা মিটিয়ে থাকবে হয়তো! ঘটনাগুলিকে পরপর সাজিয়ে একটিই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন আহীম- তিনি যদি মধ্যিখানে চলে না আসতেন, তবে তার আশ্রয়দাতা গ্রামটির সকল সদস্যকেই ধরেবেঁধে ঐ মানুষটির খাদ্যে পরিণত করতেন দলপতি টুণ্ডুপ, নাহলে নিজের লোকদের পাঠাতে হত তাকে ঐ একই উদ্দেশ্যে! দুটি গ্রামই বেঁচে গেল আহীমের তৎপরতায়!

কি সেই পাঁচটি মুহুর্ত্ত, যা মোড় ঘুরিয়ে দেয় 'লেগ্যাসি' সমগ্রের অন্তর্ভুক্ত উপন্যাসগুলিতে? পড়ুন 'লেগ্যাসি অফ্ রাম সমগ্রের স্মরণীয় পাঁচটি মুহুর্ত্ত'

 
ভাগ্য সুপ্রসন্ন বলতে হবে, নয়তো ওরকম অচেনা, ঘন অন্ধকার পরিবেশে ওরকম দানবীয় শরীরের শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিতে আসাটা মোটেও সহজ কাজ নয়! তবে আরও একটি বিষয় ছিল যা তার প্রাণরক্ষা করেছে, নয়তো প্রথম আঘাতেই মৃত্যু হতে পারত তার! ঐ কাঁটার মুকুটটি, যা তাকে বাঁচিয়েছে প্রতিপক্ষের শক্তিশালী থাবার হাত থেকে, এর জন্য ধন্যবাদ একজনেরই প্রাপ্য; গ্রামে ফিরে এই কারণে প্রথমেই তার কাছে গিয়েছিলেন আহীম।
 
-“প্রায় কুড়ি শীত আগে আমি আর আমার একমাত্র পুত্র কয়েকজনের সাথে গিয়েছিলাম ঐ অভিশপ্ত কুয়োর নীচের গর্ভগৃহে!”-  অনেকটা স্বীকারোক্তির ঢঙে বলে ওঠেন দলপতি টুণ্ডুপের সেই পুরোহিত অনুচরটি; পুরনো, জমানো কথা বলতে গিয়ে বেশ হাল্কা লাগছিল তাকে- “আমার ছেলেটি আমার পাশেই ছিল; সকলে মিলে চলছিলাম একসাথে ঐ অন্ধকার রাস্তাটি ধরে, এমন সময় ঘটল অঘটন! নামগোত্রহীন ঐ প্রাণীটি…ঐ আদিম মানবটি আক্রমণ করে বসল আমাদের!
 
আমার ছেলে সামনে ছিল; কিছু একটা কথা বলবার জন্য ও ঘাড় ঘুরিয়েছিল আমার দিকে, এমন সময় সামনের অন্ধকার থেকে একটি পাথর উড়ে এসে আঘাত করে ওর মাথায়! তৎক্ষণাৎ আমার সামনে মাটিতে পড়ে মারা গেল আমার আত্মজ, আমার নিজের সন্তান…পাশে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারি নি আমি…দলের বাকিরা তেড়ে যায় ঐ প্রাণীটির দিকে, কিন্তু মৃত্যু ছাড়া আর কিছু লাভ হয় নি সেই খণ্ডযুদ্ধে…তারপর, আমি কোনক্রমে পালিয়ে আসি অকুস্থল থেকে-”
 
একটানা কথাগুলি বলে গিয়েছিলেন সেই পুরোহিত; তিনি থামতেই এবারে আহীম প্রতিপ্রশ্ন করেন-
 
-“আপনি নিজের চোখে সেই ‘অপদেবতা’র স্বরূপ দেখেন; আপনি জানতেন এটি রূপকথার পুঁথি থেকে উঠে আসা কোন অশরীরী আত্মা নয়, জলজ্যান্ত একটি আদিম মানব, যার অস্তিত্ব সম্পর্কে আপনারা জানতেন! আপনি সে কথা এসে গ্রামবাসীদের জানান নি কেন? অনর্থক একটি গুজব ও তাকে আশ্রয় করে অনেকগুলি মৃত্যু…কেন?”
 
এই প্রশ্নে বেশ খানিকক্ষণের নীরবতার পর অবশেষে মুখ খুললেন পুরোহিত। বললেন-

কিভাবে গড়ে ওঠে 'লেগ্যাসি অফ্ রাম' সমগ্রের অন্তর্ভুক্ত উপন্যাসগুলির প্লটটি ধীরে ধীরে? অবশ্যই পড়ুন


-“কারণ আধিপত্য কখনও প্রশ্নাতীত হয় না। একে অর্জ্জন করা যেতে পারে কুঠারের সাহায্যে সাময়িকভাবে, কিন্তু ‘চিরকাল’-এর প্রশ্নে বিষয়টি অসম্ভব! চার-পাঁচজনের ঐ দলটিতে একমাত্র জীবন্ত ব্যক্তি ছিলাম আমি; ওপরে উঠে এসে দলপতিকে বিষয়টি আমি জানাই; এরপরেই ‘অপদেবতা’র তত্ত্বটিকে জোরালো করা হয়! মানুষ বিশ্বাস করে নেয়- শক্তিশালী এই অপদেবতাকে তুষ্ট রাখবার নিয়ম একমাত্র দলপতিই জানেন, তাই তার একচ্ছত্র আধিপত্য মেনে নেন প্রত্যেকেই, বিনা প্রশ্নে! পিতৃত্ব হার মানে রাজনীতির প্রশ্নে, সীমাহীন আনুগত্য লাভ হয় বাঁধনছেঁড়া আতংকের পাখায় ভর করে!”
 
উঠে চলে আসছিলেন আহীম পুরোহিতের কথা শুনে; হঠাৎ কি মনে হতে পিছনে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন-
 
-“আপনি ঠিক না ভুল সে বিচার ঈশ্বরই করবেন, তবে আপনার জন্য একটি স্মারক আমি নিয়ে এসেছি-”
 
কোমরের গেঁজের থেকে পাতালপুরীতে প্রাপ্ত সেই অঙ্গুরীয় বের করে আনলেন আহীম, বাড়িয়ে ধরলেন পুরোহিতে দিকে। সেটি হাতে নিয়ে একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন পুরোহিত। আহীম অবশ্য আর দাঁড়ান নি সেখানে; অঙ্গুরীয়টি সঠিক হাতে তুলে দিয়েই উল্টোমুখো হয়ে তিনি ঘর থেকে নিষ্ক্রান্ত হন। বিরক্তির চরম সীমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি।
এই ব্যাপারটিই ভাবিয়ে তুলেছে তাকে; ‘মনুষ্যত্ব’ তাহলে কি অস্তের পথে? বাবা তার নিজের ছেলের প্রকৃত মৃত্যুর কারণ গোপন করেন কিছু প্রাপ্তিযোগের আশায়; দলপতি প্রকৃত সত্য লুকিয়ে রাখেন একচ্ছত্র আধিপত্য রক্ষার প্রশ্নে, আর প্রজাদরদী রাজার বিরুদ্ধে ক্ষেপে ওঠে কিছ পথভ্রষ্ট সেনা- এই আচরণ কিসের সংকেতবাহী? আকাশের দিকে মুখ তুলে একবার তাকিয়েই মুখ নামিয়ে নিলেন আহীম; এই প্রশ্নের মর্মার্থ তার ছোট মাথায় ঢুকবে না। পথের দিকে তাকিয়ে এবারে দ্রুতপদে চলতে শুরু করে দিলেন তিনি...


RELATED CONTENTS:



If you want to look into my works on Pratilipi

You may Twit us any time

Stay updated to our latest releases and updates; Follow and Like our page


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

The Legacy of Ram: Prologue- Part4 (দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম: আদি পর্ব- অধ্যায়৪)- A mystery, post-apocalyptic fiction Bengali Novel series by Aritra Das

দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- আদি পর্ব (The Legacy of Ram- Prologue):  অধ্যায়৪  ( PART4 ) - A Bengali science fiction, mystery, suspense thriller and post-apocalyptic fiction novel series by Aritra Das, the Bengali writer   The Legacy of Ram: Prologue (আদি পর্ব) Part4 [দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- আদি পর্ব (প্রলগ) গল্পটির প্রথম তিনটি পর্ব প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে, পেজে গল্পের শেষে অন্যান্য লিঙ্কগুলি পাওয়া যাবে। অবশ্যই পড়বেন] দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম: আদি পর্ব- অধ্যায়৪ অধ্যায়৩ থেকে শেষের কিছুটা অংশ- -“অভিযুক্ত… দ্যূহ… অভিযুক্ত… দ্যূহ… দ্যূহ…” একটি কথাই পর্যায়ক্রমে উচ্চারণ করে চলেছে ‘মদন’! অস্পষ্টভাবে ‘ব্যূহ’ কথাটি মহর্ষির কানে শোনাল ‘দ্যূহ’। কিন্তু সেদিকে তখন মন নেই তাঁর, তিনি শুধু বিস্মিত এই ভেবে যে এই আদিম মানব দম্পতি তা হলে কথা বলতেও সক্ষম! তিনি আবিষ্ট হয়ে তাকিয়েই থাকলেন তাদের দিকে। -“বিচারকরা সকলেই আপনার জন্য অপেক্ষমান, মহর্ষি! চলুন, আর বেশি দেরি করা উচিৎ হবে না। আমি উপযাচক হয়ে এগিয়ে এসেছিলাম আপনাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আসুন।” -“আমাকে পথ দেখান, ভগবান!”   মাথা নীচু করে ভগবান শ্রীবি

What is the story-plot of the series? A Summery from the Writer's End of the Series of The Legacy of Ram- A Bengali science fiction action-adventure and Suspense novel by Aritra Das, the Author

দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- নিঃসঙ্গ যাত্রার সূচনা - গল্পের প্লট ও এই প্রসঙ্গে কিছু কথা আপনাদের সাথে - © অরিত্র দাস Discussing the plot of The Legacy of Ram by Aritra Das এর আগের ব্লগটিতে আলোচনা করা হয়েছিল মূলতঃ ‘লেগ্যাসি’ সমগ্রটির চরিত্রগুলির নামকরণ নিয়ে বিশদে। এই ব্লগে আমি গল্পটির প্লট নিয়ে দু-চার কথা আলোচনা করব; তবে আলোচনা যত দীর্ঘই হোক না কেন, যা বলব তার থেকে বাকি থেকে যাবে অনেক বেশি! এতটা দীর্ঘ, জটিল, বিভিন্ন তত্ত্ব ও প্রাচীন সভ্যতাগুলিকে ছুঁয়ে যাওয়া ঘটনাবহুল উপন্যাস এই ‘লেগ্যাসি’ পর্বটি যে একে একটি সীমিত ক্ষেত্রে বেঁধে রাখা খুবই কষ্টসাধ্য কাজ!   এই প্রসঙ্গে প্রথমেই যে কথাটি স্বীকার করে নেওয়া ভাল তা হল- আমি মহাকাব্যের একটি অন্ধ অনুকরণ গড়ে তুলতে চাই নি!   এই ছোট্ট কথাটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে অনেকগুলি কথা চলে আসে মনে, কিন্তু সেই সব কথার পুরোটা এই একটি ব্লগের মধ্যে লিখে ফেলা সম্ভব নয় (যেমনটা প্রথমেই উল্লেখ করেছি), তাই আমি যা লিখব, তা হবে আমার সেই চিন্তাধারার একটি নির্যাস মাত্র, পুরো বিষয়টি কিন্তু নয়।   আরও একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন, ‘লেজেণ্ড’ বা ‘লেগ্যাসি’- কোনটিই কিন্তু কোন

A Confession from the Writer's End Part2 on the Series of The Legacy of Ram- A Bengali science fiction action-adventure and Suspense novel by Aritra Das, the Author

দ্যা লেগ্যাসি অফ্ রাম- নিঃসঙ্গ যাত্রার সূচনা প্রসঙ্গে দু-চার কথা পর্ব২- বিবিধ চরিত্রগুলির নামকরণ - © অরিত্র দাস On the new novel 'The Legacy of Ram' এর আগের আলোচনায় মোটামুটি ‘লেগ্যাসি’ পর্বটির মূল ধারাটি আপনাদের কাছে তুলে ধরেছিলাম; এই পর্বে আমি আলোচনা করব এই সমগ্রটিতে ব্যবহার করা নামগুলি প্রসঙ্গে। প্রসঙ্গক্রমে আপনাদের জানাই- মূল গল্পটি প্রাথমিকভাবে ভেবে রাখা হয়েছিল আগেই, কিন্তু ‘সলতে পাকানোর পর্বে’ এসে যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় পড়েছিলাম- চরিত্রগুলির নাম, ও সঙ্গতি মিলিয়ে আনুষঙ্গিক কিছু স্থান বা অন্যান্য বিষয়ের নামকরণ। একটু খোলসা করলে বিষয়টি আশা করি পরিষ্কার হবে।   যেমনটি আমি আগেও বলেছি- ‘লেগ্যাসি’ সমগ্রটিতে গল্প কিন্তু এগিয়ে চলেছে পৃথক, সমান্তরাল দুটি খাতে। এই দুটি খাত কখনোই একটি বিন্দুতে এসে মিলিত হতে পারে না, কারণ- এদের সময়কাল ভিন্ন। একটি খাত গন্ধর্বদের নিয়ে, আধুনিক মানব বিকাশের অনেক আগের সময় সেটি; এমন একটি সময়কাল যখন গন্ধর্বরা প্রযুক্তিগতভাবে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি। কিন্তু- তাদের বিলাসিতা, জীবনের মূল্যবোধ সম্পর্কে পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গী এবং স্বজাতির প্রতি ভ্রান্ত নী